চৌধুরী, মকবুল হোসেন

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৫০, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

চৌধুরী, মকবুল হোসেন (১৮৯৮-১৯৫৭)  সাংবাদিক, রাজনীতিক। ১৮৯৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বিন্নাকুলি গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতার নাম আবুল হোসেন চৌধুরী ও মাতা আজিজুন্নেছা চৌধুরী। ১৯১৯ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি হাইস্কুল থেকে তিনি এন্ট্রাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯২০ সালে এম.সি কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি খিলাফত আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ১৯২৫ সালে সাপ্তাহিক যুগবাণী এবং ১৯৩২ সালে সাপ্তাহিক যুগভেরী পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন। এ ছাড়া তিনি কিছুকাল দৈনিক ছোলতান ও সাপ্তাহিক সিলেট পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

১৯২০ সালের ২০ ডিসেম্বর নাগপুরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস ও খেলাফত কনফারেন্সে তিনি সিলেটের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ উপনিবেশিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ১৯২২ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মুসলিম লীগের মনোনয়নে ১৯৩৭ সালে আসাম ব্যবস্থাপক পরিষদের এম.এল.এ নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত গণভোটে সিলেটকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষার দাবিতে মিছিলকারী ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ ও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মকবুল হোসেন চৌধুরী বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: খোলাফায়ে রাশেদীন, কোরান শরীফের ইতিহাস, জ্ঞানবাণী, কোরান পরিচয়, ইসলামী জীবনাদর্শ, শেখ আব্দুল কাদের জিলানী, মুজাদ্দিদে আলফে-সানী ও মাল্টার বন্দী। ১৯৫৭ সালের ২০ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।  [মুর্শিদা বিন্তে রহমান]