চৈতন্যচন্দ্রোদয়

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৪৫, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

চৈতন্যচন্দ্রোদয়  সংস্কৃত নাটক। আনুমানিক ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে  কবিকর্ণপূর পরমান্দ সেন চৈতন্যদেবের জীবনী অবলম্বনে দশ অঙ্কবিশিষ্ট এ নাটকটি রচনা করেন। নাটক রচনায় তিনি কৃষ্ণমিশ্র রচিত প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটক দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

চৈতন্যদেবের তিরোধানে উড়িষ্যারাজ প্রতাপরুদ্রের শোকাপনোদন উদ্দেশ্যে নাটকটি রচিত হয়। প্রথম পাঁচ অঙ্কে চৈতন্যের পুরীধামে বসবাস এবং বাকি পাঁচ অঙ্কে শেষ কয় বছরের কাহিনী নাট্যাকারে উপস্থাপিত হয়েছে। বৈধী ও রাগানুগা ভক্তির পার্থক্যবিচার এ নাটকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। কলি, অধর্ম, বিরাগ, ভক্তিদেবী, গঙ্গা, রত্নাকর প্রমুখ পৌরাণিক পাত্রপাত্রী এবং চৈতন্যানুরাগী ঐতিহাসিক ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে নাটকটি রচিত। চৈতন্যের আবির্ভাবের কারণ এবং পার্ষদবৃন্দের পরিচয়সহ চৈতন্যজীবনের বহু লৌকিক-অলৌকিক ঘটনা ও প্রেমলীলা বিভিন্ন অঙ্ক ও দৃশ্যের মাধ্যমে এতে রূপায়িত হয়েছে।

চৈতন্যভক্তি হচ্ছে নাটকের মৌলিক আবেদন। এতে ঘটনা-সংবেগের স্থলে বিবৃতি, আবেগ ও ধর্মতত্ত্বকথা প্রাধান্য পেয়েছে। জটিল রচনারীতি, দীর্ঘসংলাপ, কবিত্বের আতিশয্য এবং শব্দালঙ্কারাধিক্য নাট্যগতি ও নাট্যরস সৃষ্টিতে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। প্রেমদাস রচিত চৈতন্যচন্দ্রোদয়কৌমুদী এ নাটকের বঙ্গানুবাদ।  [মঞ্জুলা চৌধুরী]