গৌড়ীয় ব্যাকরণ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:২৬, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

গৌড়ীয় ব্যাকরণ  বাঙালি রচিত প্রথম বাংলা  ব্যাকরণ। রচয়িতা রাজা  রামমোহন রায়, প্রকাশিত ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে। এটি তাঁর সর্বশেষ গ্রন্থ। এর আগে তিনি ইংরেজিতে Bengali Grammar in the English Language নামের একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন। গৌড়ীয় ব্যাকরণ রচিত হয় তৎকালীন স্কুল-বুক সোসাইটির অভিপ্রায়ে এবং ছাত্রদের পাঠোপযোগী করে। সর্বমোট বারোটি অধ্যায়ে এটি বিন্যস্ত। প্রথম অধ্যায়ে ধ্বনি, বর্ণ, উচ্চারণ, শব্দ, অক্ষর প্রভৃতি সম্পর্কে দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করা হয়েছে। গ্রন্থে বাংলা ভাষার স্বকীয় উচ্চারণ-পদ্ধতি সম্পর্কে রামমোহন কিছু মৌলিক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বাংলা ভাষার লিঙ্গ, প্রত্যয়, পদান্বয়, বাক্যরীতি, ছন্দ ইত্যাদি। মোটামুটিভাবে গৌড়ীয় ব্যাকরণে রয়েছে বাংলা ভাষার ধ্বনি ও রূপগত বৈশিষ্ট্যের বৈয়াকরণিক বিশ্লেষণ।

এ গ্রন্থে রামমোহন রায়ের রচনারীতি স্বকীয় এবং ব্যাখ্যামূলক। তিনি সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ করেন যে, বাংলা ব্যাকরণ  সংস্কৃত ব্যাকরণ-পদ্ধতির অনুসরণ করে না। তিনি ব্যাকরণ আলোচনায় দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করেছেন খাঁটি  তদ্ভব শব্দ ও বাংলা ক্রিয়াপদ। তাঁর মূল লক্ষ্যই ছিল বাংলা ভাষার বিশিষ্টতাকে নিয়মশৃঙ্খলায় শ্রেণিবদ্ধ করা। গৌড়ীয় ব্যাকরণের বক্তব্য ও ভাষা প্রাঞ্জল ও সরল, যা রামমোহন রায়ের অন্যান্য গ্রন্থের তুলনায় অনেক বেশি সহজ ও আধুনিক।  [বেগম আকতার কামাল]