গোপীচন্দ্রের গান

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:১৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

গোপীচন্দ্রের গান  পালাগান বিশেষ। ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নাথদের মধ্যে প্রচলিত সর্বাধিক জনপ্রিয় গান এটি। রাজপুত্র গোপীচন্দ্র ও তাঁর সন্ন্যাসগ্রহণের ঘটনাবলি এর মূল কাহিনী। রাজা মানিকচন্দ্র, রাণী ময়নামতী, গোপীচন্দ্রের দুই স্ত্রী অদুনা ও পদুনা এবং বারবনিতা হীরা এ কাহিনীর কয়েকটি প্রধান চরিত্র। ১৮৭৩ সালে জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন মানিকচন্দ্র রাজার গান নামে এটি প্রথম প্রকাশ করেন। তারপর  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এর পাঠান্তর সংগৃহীত হলে তা গোপীচন্দ্রের গান নামে পুনঃপ্রকাশিত হয়।

যোগবিদ্যার সহজ কৌশলের মোহ ছেড়ে প্রকৃত যোগনির্দেশে কিভাবে সন্ন্যাসজীবন আশ্রয় করতে হয় তা রূপকের মাধ্যমে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। সিদ্ধাই মা ময়নামতীর পরামর্শে মেহেরকুলের তরুণ সংসারী রাজা গোবিন্দচন্দ্র বা গোপীচন্দ্র অনিচ্ছাক্রমে হাড়িপার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বারো বছর সন্ন্যাসজীবন যাপনের পরও যোগবিদ্যার গভীর তাৎপর্য বুঝতে না পেরে তাঁর মধ্যে চিত্তচাঞ্চল্য প্রকাশ পায় এবং এতে তিনি গুরুর বিরাগভাজন হন। পরে ভুল বুঝতে পেরে তিনি চিরতরে গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন।

গোপীচন্দ্রের কাহিনী বাংলাদেশে ময়নামতীর গান, গোবিন্দচন্দ্রগীত এবং গোপীচাঁদের সন্ন্যাস এ তিন নামে প্রচলিত। এ কাহিনীর তিনজন কবি হলেন দুর্লভ মল্লিক, ভবানী দাস ও সুকুর মহম্মদ।  [জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়]