খান, ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:২২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
বাহাদুর হোসেন খান

খান, ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন (১৯৩১-১৯৭৯)  সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত-পরিচালক। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার শিবপুর গ্রামে বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ  ছিলেন একজন বিখ্যাত সঙ্গীতগুণী।

বাহাদুর হোসেন খানের সাহিত্যচর্চার শুরু পারিবারিক পরিবেশেই। পিতার নিকট তিনি প্রথমে সরোদ শেখেন। সেসঙ্গে গানের অনুশীলনও করতেন। গান গেয়ে তিনি বহুবার স্বর্ণপদক লাভ করেন। সঙ্গীতে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাহাদুর হোসেন মাইহারে যান এবং পিতৃব্য আলাউদ্দিন খাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে দীর্ঘ বিশ বছর নিরলস সাধনার পর সরোদে দক্ষতা অর্জন করেন।

১৯৪৯ সাল থেকে দুবছর তিনি ঢাকা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। তারপর ১৯৫১ সালে তিনি বোম্বে যান এবং প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শান্তি বর্ধনের ‘লিটল ব্যালে ট্রুপ’-এর সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন, রাশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে পরিচিত করে তোলেন। তিনি কলকাতা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘আলী আকবর কলেজ অব মিউজিক’-এ কয়েক বছর অধ্যাপনা করেন।

বাহাদুর হোসেন খানের বেশ কয়েকটি লংপ্লেসহ অন্যান্য রেকর্ড বের হয়েছে। ১৯৬৫ সালে ঋত্বিক ঘটকের সুবর্ণ রেখা ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করে তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের সম্মান লাভ করেন। নতুন পাতা  ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালনার জন্যও তিনি বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি যে সব ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন সেগুলি হলো: মেঘে ঢাকা তারা, ত্রিসন্ধ্যায়, যেখানে দাঁড়িয়ে, শ্বেত ময়ূর ও তিতাস একটি নদীর নাম। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও যামিনী রায়ের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রের আবহ সঙ্গীতও রচনা করেন।  [মোবারক হোসেন খান]