খাঁ, খানবাহাদুর আবদুর রহমান

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৫৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

খাঁ, খানবাহাদুর আবদুর রহমান (১৮৯০-১৯৬৪)  শিক্ষাবিদ, লেখক।  ফরিদপুর জেলার  শিবচর উপজেলার ভান্ডারিয়াকান্দি গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ১৯০৮ সালে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯১২ সালে  ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক এবং ১৯১৪ সালে  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯১৪ সালে ঢাকা ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপকরূপে আবদুর রহমান কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক পদে এবং শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে তিনি প্রায় একত্রিশ বছর চাকরি করেন। ১৯২৬ সালে তিনি শিক্ষা বোর্ডের সেক্রেটারি, ১৯৩৩ সালে স্কুল ইন্সপেক্টর ও ১৯৩৯ সালে এডিপিআই নিযুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে তিনি জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হয়ে ১৯৫৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি কলেজে বি.এ ও বিকম কোর্স চালু এবং নাইট শিফট প্রবর্তন করেন।

তৎকালে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে আবদুর রহমানের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। এ উদ্দেশ্যে তিনি নিজ গ্রাম ভান্ডারিয়াকান্দিতে পিতার নামে ‘আছালত মেমোরিয়াল স্কুল’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। আবদুর রহমান একজন সাহিত্যিক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন। অনুবাদ, প্রবন্ধ ও জীবনী রচনার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা সকলের প্রশংসা অর্জন করে।  কুরআন ও হাদিসের বঙ্গানুবাদ তাঁর বিশেষ কীর্তি। তাঁর অধিকাংশ রচনাই  ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতিবিষয়ক। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো: মোসলেম নারী (১ম খন্ড, ১৯২৭), চার ইয়ার (১৯৩২), শেষ নবী (১৯৪৯), ইসলাম পরিচিতি (১৯৫২), কুরআন শরীফ (৩ খন্ড), হাদিস (৩ খন্ড), ইসলামিক তমদ্দুন ও পাকিস্তান (১৯৫৬), নয়া খুতবা (১৯৫৯), সহীহ বুখারী শরীফ (২ খন্ড ১৯৬১), আমার জীবন (১৯৬৪) ইত্যাদি। তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘খানবাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি (১৯৫৭-৫৯) ছিলেন। ১৯৬৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।  [বদিউজ্জামান]