খসরু, মোহাম্মদ হোসেন

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৫৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

খসরু, মোহাম্মদ হোসেন (১৯০৩-১৯৫৯)  উচ্চাঙ্গসঙ্গীতশিল্পী, সুরসাধক; ওস্তাদ খসরু নামে তিনি সমধিক পরিচিত। ১৯০৩ সালের ২ এপ্রিল কুমিল্লা শহরে মাতুলালয় প্রসিদ্ধ দারোগা বাড়িতে তাঁর জন্ম। এখানেই তিনি লালিতপালিত হন। তাঁর পিতৃনিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার মঈনপুর গ্রামে। পিতা জাইদুল হোসেন ছিলেন একজন বংশীবাদক।

মোহাম্মদ খসরু ১৯২৪ সালে  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে প্রাদেশিক সমবায় বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন, কিন্তু সঙ্গীতসাধনা ও গানের জলসা নিয়ে ব্যাপৃত থাকায় চাকরিতে তাঁর উন্নতি হয়নি। তিনি  কলকাতা ও লক্ষ্ণৌতে সঙ্গীতবিশেষজ্ঞ ওস্তাদদের নিকট  উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিক্ষা করেন এবং শুদ্ধ রাগ, তাল, লয়, সুর ও বিভিন্ন শ্রেণির সঙ্গীতে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেন। অত্যন্ত কঠিন রাগ-রাগিণীতেও তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। রাজা-মহারাজাদের দরবারে  সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য তিনি আমন্ত্রিত হতেন।  খেয়াল ও  ঠুংরি গায়ক হিসেবে তাঁর বিশেষ খ্যাতি ছিল;  গজল গানেও তিনি দক্ষ ছিলেন। তিনি বাংলা,  উর্দু ও হিন্দিতে বহু উচ্চাঙ্গসঙ্গীত রচনা করেন। ওস্তাদ  আলাউদ্দিন খাঁ তাঁকে ‘দেশমণি’ বলে আখ্যাত করেন। যন্ত্রসঙ্গীত বিশেষত  তবলাসেতার ও এস্রাজে তিনি উচ্চমানের পারদর্শিতা লাভ করেন।

জীবনের শেষদিকে মোহাম্মদ খসরু স্বল্পকালের জন্য ঢাকার  বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর অধ্যক্ষ ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাঁকে মরণোত্তর ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ (১৯৬২) উপাধি এবং বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর ‘শিল্পকলা একাডেমী পদক’ (১৯৭৮) প্রদান করে। ১৯৫৯ সালের ৬ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়।  [আলি নওয়াজ]