কুলখানি

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:৪৩, ২১ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

কুলখানি  ইসলামি অনুষ্ঠানবিশেষ। তবে এটি বিধিবদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। সাধারণত মৃতব্যক্তির দাফনের চতুর্থ দিনে কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। উপমহাদেশে এর চর্চা বহুকাল থেকেই হয়ে আসছে। মৃত্যুর পর সাধারণত মৃতব্যক্তির গৃহে চল্লিশ দিন যাবৎ  কুরআন তেলাওয়াত করার রীতি রয়েছে।

কুলখানিতে মৃতের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব সমবেত হয়ে দোয়া-দরুদ পাঠ করেন। সাধারণত স্থানীয় মসজিদের  ইমাম অথবা মৃতের কোনো প্রিয় ব্যক্তির পরিচালনায়  মীলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম মৃত্যুর ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। কোনো কোনো ইমাম আজরাইলের (আ.) আগমন ও কবরের আযাব (শাস্তি) সম্বন্ধে বিভিন্ন বর্ণনা দেন। দরুদ পাঠ শেষে জীবিত ও মৃতদের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। মৃতব্যক্তির সৎকর্ম সম্বন্ধেও বক্তব্য রাখা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে তবাররুক বিতরণ করা হয়।

সচরাচর মৃতব্যক্তির বাড়িতেই কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদ, যেখানে মৃতব্যক্তি জুমু‘আর  নামায আদায় করতেন বা তাঁর পরিবার যার সঙ্গে কোনো-না-কোনোভাবে জড়িত, সেখানে কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। [নিয়াজ জামান]