কাদের, ক্যাপ্টেন মির্জা আফতাব

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৩০, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

কাদের, ক্যাপ্টেন মির্জা আফতাব (১৯৪৮-১৯৭১)  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। পুরো নাম মির্জা আফতাবুল কাদের। তিনি ১৯৪৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবদুল কাদের ছিলেন চট্টগ্রামের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং মাতা রওশন আরা বেগম ছিলেন শিক্ষিকা। আফতাব কাদের ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৬৬ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি ৩৯ পিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬৮ সালের ২৫ নভেম্বর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং ৪০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারিতে যোগ দেন।

১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আফতাব কাদের দু মাসের ছুটিতে ঢাকা আসেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে তিনি ২৭ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। প্রথমে তিনি চট্টগ্রামের শুভপুর ব্রিজের নিকট অবস্থান নেওয়া ইপিআর-এর বাঙালি সদস্যদের সাথে প্রতিরোধে অংশ নেন। পরে রামগড়ে চট্টগ্রাম ইপিআর-এর সেক্টর অ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন রফিকের পরামর্শে তিনি মহালছড়িতে মেজর মীর শওকত আলীর সঙ্গে যোগ দেন। ১৬ এপ্রিল ক্যাপ্টেন কাদের তাঁর বাহিনী নিয়ে রাঙ্গামাটিতে পাকিস্তানি সৈন্যদের রেস্ট হাউজের অবস্থান দখল করেন। ২৪ এপ্রিল ক্যাপ্টেন কাদের এবং লেফটেন্যান্ট মাহফুজ যৌথভাবে কুতুবছড়িতে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করেন।

কমান্ডার মীর শওকত আলীর নির্দেশে ক্যাপ্টেন কাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মহালছড়ি ঘাটি প্রতিরক্ষায় নিজ বাহিনীসহ সড়কপথে অবস্থান গ্রহণ করেন। ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানি কমান্ডো কোম্পানি ও তাদের সহযোগী মিজোদের লায়ন ব্রিগেড মহালছড়ি আক্রমণ করলে ক্যাপ্টেন কাদের বীরত্বের সঙ্গে আক্রমন প্রতিরোধ করেন। যুদ্ধের একপর্যায়ে শত্রু যখন পশ্চাদপসরণ করছিল তখন অকস্মাৎ একটি গুলি এসে তাঁর বক্ষ ভেদ করে এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধ-এ তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার আফতাব কাদেরকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে।  [কাজী সাজ্জাদ আলী জহির]