ওয়াসা, চট্টগ্রাম

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:১৪, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ওয়াসা, চট্টগ্রাম  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। গৃহস্থালি, শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পানি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, পরিচালনা ও সংরক্ষণ; পয়ঃব্যবস্থা নির্মাণ, পরিচালনা ও সংরক্ষণ; বৃষ্টি, বন্যা ও ভূ-উপরিস্থ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ, পরিচালনা ও সংরক্ষণ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা বিবেচনা করে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে আলাদা করে ১৯৬৩ সালের ১৬ অক্টোবর ইপি অর্ডিন্যান্স নং ১৯ বলে চট্টগ্রাম নগরীতে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (চট্টগ্রাম ওয়াসা) স্থাপিত হয়।

চট্টগ্রাম শহরে পাইপের সাহায্যে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয় ১৮৯২ সালের পর যখন চট্টগ্রামে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯২৯ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ  ফয়’জ লেক থেকে পানি নিয়ে স্লো স্যান্ড ফিল্টার ইউনিটের সাহায্যে দৈনিক ১.৮ মিলিয়ন লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পানি শোধনাগার নির্মাণ করে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি থেকে প্রাপ্ত ২৫টি গভীর নলকূপ থেকে দৈনিক প্রায় ২০.২৫ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করা হতো। চট্টগ্রাম ওয়াসা সৃষ্টির শুরুতেই বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যে প্রথম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কালুরঘাট এলাকায় ১৩টি গভীর নলকূপ খনন করা হয় এবং এ সকল নলকূপের পানিতে বিদ্যমান লৌহ দূরীকরণের জন্য কালুরঘাট আয়রন রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট ও বুষ্টার ষ্টেশন স্থাপন করা হয়। এ প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক ৪৫ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। শহরের ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা ১৯৮১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় যা ১৯৮৮ সালে সমাপ্ত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় হালদা নদী থেকে পানি নিয়ে মোহরা পানি শোধনাগারে পরিশোধনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৯০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। ৫টি গভীর নলকূপ খননের মাধ্যমে কালুরঘাট আয়রণ রিমুভ্যাল প্ল্যান্টের ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রতিদিন ৬৭.৫০ মিলিয়ন লিটারে পানি সরবরাহ বৃদ্ধিকরণের কাজও এ প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন করা হয়। এ পর্যায়ে শহরে পানি সরবরাহের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় প্রতিদিন ১৮০ মিলিয়ন লিটার।

কয়েকটি নতুন গভীর নলকুপ স্থাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে  দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন লিটার চাহিদার বিপরীতে ২৪০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করছে যার ৩৭% ভূ-উপরিস্থ এবং ৬৩% ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে আহরিত। পানি সরবরাহের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প, মোহরা সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প (CWSISP) হাতে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম ওয়াসা পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে ৯০% ভাগ পানি সংগ্রহ করার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা গত ২৬ জুলাই ২০১০ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে CWSISP প্রকল্পের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। উক্ত প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম ওয়াসা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করার সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।  [মোঃ মোকসেদুর রহমান]