এ্যাম্পথিল, লর্ড আর্থার অলিভার ভিলিয়ার্স রাসেল

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৫:৪৭, ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
লর্ড রাসেল এ্যাম্পথিল

এ্যাম্পথিল, লর্ড আর্থার অলিভার ভিলিয়ার্স রাসেল (১৮৬৯- ১৯৩৫)  দ্বিতীয় ব্যারণ, ব্রিটিশ পিয়ের ও প্রশাসক যিনি ১৯০০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাদ্রাজ-এর গভর্নর জেনারেল এবং ১৯০৪ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওলিভার রাসেল ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৯ সালে রোমে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ওডো রাসেল, প্রথম ব্যারণ এ্যাম্পথিল ও মা লেডি এমিলি রাসেল। লর্ড রাসেল ইটন ও সিংনেলে শিক্ষা গ্রহণ করার পর অক্সফোর্ডের নিউ কলেজ থেকে ১৮৯৮ সালে ইতিহাসে সম্মানসহ ডিগ্রি লাভ করেন। পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে লর্ড রাসেল এ্যাম্পথিল-এর ব্যারণ হন। তিনি ১৯০০ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সী (মাত্র ৩১ বৎসর বয়সে) গভর্নর হিসেবে মাদ্রাজে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়েই একটি পৃথক প্রদেশের দাবিতে উড়িষ্যায় উড়িয়া আন্দোলন নতুন গতি পায়। তিনি মাদ্রাজ -এর বিশাখাপট্টম ও গঞ্জাম জেলার উড়িয়া ভাষাগোষ্ঠীকে নিয়ে পৃথক প্রদেশ গঠনের ঘোর বিরোধী ছিলেন।

১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন-এর ভাইস রয় হিসেবে দায়িত্বকাল শেষ হয় এবং একজন নতুন ভাইসরয় নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত এ্যাম্পথিল ভারতের অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯০৬ সালে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তনের পর লর্ড রাসেল দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের বিষয় নিয়ে কাজ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ভারতীয় ছাত্রদের জন্য গঠিত পরামর্শক পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হন কিন্তু তিনি ভারতের সেক্রেটারি অব স্টেট জন মার্লোর সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেন। ১৯০৯ সালে তিনি ‘M.K. Gandhi: an Indian Patriot in South Africa’ শীর্ষক জোসেপ ডোক-এর গ্রন্থের ভূমিকা রচনা করেন।

১৯০০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ্যাম্পথিল জি সি আই ই (নাইট গ্রান্ড কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার) খেতাবে ভূষিত হন। ভারত ত্যাগের কিছু পূর্বে ১৯০৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জি সি এস আই (নাইট গ্রান্ড কমান্ডার অব দ্যা অর্ডার অব দ্যা স্টার অব ইন্ডিয়া) খেতাব লাভ করেন। লর্ড এ্যাম্পথিল ১৯৩৫ সালের ৭ জুলাই নিউমোনিয়ায় মারা যান।  [নাসরীন আক্তার]