ইউসুফ-জুলেখা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:৫৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ইউসুফ-জুলেখা  বাংলা রোমান্টিক  কাব্য। পনেরো শতকে  শাহ মুহম্মদ সগীর এটি রচনা করেন। তিনি ছিলেন গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের (১৩৮৯-১৪১০) সভাকবি। তিনি সুলতানের নির্দেশে কিতাব-কুরআন থেকে কাহিনী সংগ্রহ করে প্রেমের মাধ্যমে ধর্মের বাণী শোনাবার জন্য দীর্ঘ এ আখ্যানকাব্য রচনা করেন। কুরআনে ইউসুফ-জুলেখার প্রেমকাহিনীর মাধ্যমে নীতিশিক্ষা ও আল্লাহর মহিমা প্রচার করা হয়েছে। বাংলা কাহিনীকাব্যে ধর্মভাবের পাশাপাশি মানবপ্রেমের আবেগ-উচ্ছ্বাস প্রকাশিত হয়েছে। এর সঙ্গে ইসলামের বিজয়গৌরবও কীর্তিত হয়েছে। গ্রন্থের শেষে ইউসুফের ভ্রাতা ইবন আমিন ও বিধুপ্রভার অলৌকিক প্রেমকথা আছে। এটি কবির নতুন সংযোজন।

কাব্যটি পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত এবং ছোট ছোট ঘটনায় বিভক্ত। অনুচ্ছেদশীর্ষে রাগ-তালের উল্লেখ থাকায় অনুমিত হয়, কাব্যটি গীতোপযোগী করে রচিত এবং এক সময় তা গীত হতো। কবির ভাষায় ও আঙ্গিক পরিচর্যায় নাগরিকতার ছাপ আছে।

শাহ মুহম্মদ সগীর ছাড়াও মধ্যযুগে  আবদুল হাকিম,  শাহ্ গরীবউল্লাহ, গোলাম সফাতউল্লাহ, সাদেক আলী ও ফকির মোহাম্মদ ইউসুফ-জুলেখা কাব্য রচনা করেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন বাংলা এবং অন্যরা দোভাষী পুথির মিশ্র ভাষা ব্যবহার করেন।  ফারসি ভাষায় ফেরদৌসী (১১শ শতক) ও জামী (১৫শ শতক) ইউসুফ-জুলেখার প্রেমকথা অবলম্বনে সুফি অধ্যাত্মতত্ত্বের কাব্য রচনা করেন। বাংলার কবিগণ কেউ কেউ তাঁদের অনুসরণ করতে পারেন।  [ওয়াকিল আহমদ]