আহমদ, খানবাহাদুর সৈয়দ আশরাফুদ্দীন

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:৪৭, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

আহমদ, খানবাহাদুর সৈয়দ আশরাফুদ্দীন (১৮৫৫-?)  উর্দু ও ফারসি ভাষার কবি। কলকাতায় তাঁর জন্ম। পিতা নওয়াব আমিরুদ্দীন খানবাহাদুর ছিলেন পাটনার অধিবাসী। কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাশেষে আশরাফুদ্দীন ডভটন কলেজে অধ্যয়ন করেন। তিনি প্রথমে মেটিয়া বুরুজের ওয়াজিদ আলী শাহের দরবারে চাকরি করেন, পরে সরকার কর্তৃক হুগলির ইমামবারার মতওয়াল্লি নিযুক্ত হন।

আশরাফুদ্দীন ছিলেন সেকালের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। সমাজের নানা ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি হুগলির অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার, আঞ্জুমানে ইসলামির সেক্রেটারি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং আলিগড় কলেজের ট্রাস্টি ছিলেন। উর্দু ও ফারসি ভাষায় রচিত তাঁর ১৪ খানি গ্রন্থের নাম জানা যায়। সেগুলির মধ্যে তুহফা-এ-সুখান (১৮৮১), নওরতন (১৮৮২), ইবরাতনামা (১৮৮৩), দুরদানা (১৮৮৪), তাবাকাত-এ-মুহসিনিয়া (১৮৮৯), গুলদাস্তা (১৮৯০) ও আওরাক-এ-আশরাফ (১৯১৫) প্রধান। এগুলির কোনটি জীবনী, কোনটি মৌলিক কবিতাগ্রন্থ। তাবাকাত-এ-মুহসিনিয়া গ্রন্থে হাজি মুহম্মদ মুহসিন প্রতিষ্ঠিত হুগলি ইমামবারার মতওয়াল্লিদের জীবন ও কর্ম আলোচিত হয়েছে। আওরাক-এ-আশরাফ কাব্যে উর্দু ও ফারসিতে নাত,  গজল, কাসিদা ও সালাম জাতীয় কবিতা স্থান পেয়েছে। সাহিত্য ও সমাজের নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৩ সালে সৈয়দ আশরাফুদ্দীনকে ‘খানবাহাদুর’  উপাধি ও ‘সম্মান সনদ’ (১৯০৩) প্রদান করে।  [ওয়াকিল আহমদ]