আলীম, আবদুল

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:৪৪, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
আবদুল আলীম

আলীম, আবদুল (১৯৩১-১৯৭৪)  লোকসঙ্গীত শিল্পী। ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি দূর অগ্রসর হয় নি। পাঠশালায় পড়ার সময়  গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে সঙ্গীতের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হন, পরে স্থানীয় ওস্তাদ সৈয়দ গোলাম আলীর নিকট সঙ্গীতে তালিম নেন। শৈশবেই সভা-সমিতিতে গান গেয়ে আবদুল আলীম সুনাম অর্জন করেন। পরে  কলকাতা গিয়ে  আব্বাসউদ্দীন আহমদ ও কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তিনি পরিচিত হন। ১৯৪৩ সালে মেগাফোন কোম্পানিতে ওতোর মোস্তফাকে দে না মাগোহ এবং  ওআফতাব ওই বসলো পাটেহ গান দুটি রেকর্ড করেন।

দেশভাগের পর আবদুল আলীম  ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে  বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ  মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ,  কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের নিকট তিনি  লোকসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ঢাকার সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় লোকগীতি বিভাগে তিনি কিছুদিন অধ্যাপনাও করেন।  বেতারটেলিভিশন,  চলচ্চিত্র ইত্যাদি মাধ্যমে গান গেয়ে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কলকাতা, বার্মা, চীন ও প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করে তিনি বিদেশীদে নিকট বাংলা লোকসঙ্গীতের পরিচয় তুলে ধরেন।

আবদুল আলীম মারফতি-মুর্শিদি গানে ছিলেন অদ্বিতীয়। তাঁর দরদভরা কণ্ঠে মরমিধারার এ গান অতি চমৎকারভাবে ফুটে উঠত। তাঁর গাওয়া ওহলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ, পাখিটি ছাড়িল কে?হ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি প্রায় পাঁচশ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এসবের মধ্যে কিছু গান তাঁর নিজের রচনা। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার একুশে পদক (মরণোত্তর, ১৯৭৭), পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার লাভ করেন।  [ওয়াকিল আহমদ]