হাকীম, আবদুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "সোহ্রাওয়ার্দী" to "সোহ্‌রাওয়ার্দী")
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''হাকীম, আবদুল''' (১৯০১-১৯৬৮)  আইনজীবী, রাজনীতিক। ১৯০১ সালের ১৭ আগস্ট যশোর জেলার কালিয়া উপজেলার তোনা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা মৌলভী নাজিমুদ্দিন মোল্লা এবং মা মোসাম্মৎ রববানী বেগম। আবদুল হাকীম তাঁর গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। খুলনার কালিয়া হাইস্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা পাশ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে বি.এ, এম.এ এবং এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন।
'''হাকীম, আবদুল''' (১৯০১-১৯৬৮)  আইনজীবী, রাজনীতিক। ১৯০১ সালের ১৭ আগস্ট যশোর জেলার কালিয়া উপজেলার তোনা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা মৌলভী নাজিমুদ্দিন মোল্লা এবং মা মোসাম্মৎ রববানী বেগম। আবদুল হাকীম তাঁর গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। খুলনার কালিয়া হাইস্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা পাশ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে বি.এ, এম.এ এবং এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন।


আবদুল হাকীম কলকাতায় আইন ব্যবসা শুরু করেন। কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, আশুতোষ মুখার্জী ও সুভাষ বসু প্রমুখ নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। এঁদের প্রভাবে তিনি ব্রিটিশ-বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
আবদুল হাকীম কলকাতায় আইন ব্যবসা শুরু করেন। কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, আশুতোষ মুখার্জী ও সুভাষ বসু প্রমুখ নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। এঁদের প্রভাবে তিনি ব্রিটিশ-বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।


১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর আবদুল হাকীম পূর্ব বাংলায় চলে আসেন এবং খুলনা জেলা আদালতে আইন ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন। ১৯৪৭ সালে তিনি খুলনা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে আবদুল হাকীম যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর আবদুল হাকীম পূর্ব বাংলায় চলে আসেন এবং খুলনা জেলা আদালতে আইন ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন। ১৯৪৭ সালে তিনি খুলনা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে আবদুল হাকীম যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন।

১৫:৫৮, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

হাকীম, আবদুল (১৯০১-১৯৬৮)  আইনজীবী, রাজনীতিক। ১৯০১ সালের ১৭ আগস্ট যশোর জেলার কালিয়া উপজেলার তোনা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা মৌলভী নাজিমুদ্দিন মোল্লা এবং মা মোসাম্মৎ রববানী বেগম। আবদুল হাকীম তাঁর গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। খুলনার কালিয়া হাইস্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা পাশ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে বি.এ, এম.এ এবং এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন।

আবদুল হাকীম কলকাতায় আইন ব্যবসা শুরু করেন। কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, আশুতোষ মুখার্জী ও সুভাষ বসু প্রমুখ নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। এঁদের প্রভাবে তিনি ব্রিটিশ-বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর আবদুল হাকীম পূর্ব বাংলায় চলে আসেন এবং খুলনা জেলা আদালতে আইন ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন। ১৯৪৭ সালে তিনি খুলনা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে আবদুল হাকীম যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন।

আবদুল হাকীম খুলনায় জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে তৎপর ছিলেন। ১৯৪০ সালে তিনি খুলনা শহরে খুলনা পল্লিমঙ্গল হাইস্কুল এবং ১৯৬৫ সালে খুলনা সিটি ল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন খুলনা সিটি ল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। আমৃত্যু তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।

আবদুল হাকীম ছিলেন কবি। তিনি তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে বেশসংখ্যক কবিতা রচনা করেন। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের কিছুসংখ্যক কবিতা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং The Fiery lyre of Nazrul Islam শিরোনামে উক্ত কবিতার একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। তিনি ওই সময় দি পাকিস্তান অবজারভার হলিডে, দি ওয়েভ এবং অন্যান্য সংবাদপত্রে নিয়মিত লিখতেন। ১৯৬৮ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [শামীমা আক্তার]