হরিচরণ আচার্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
নব্য ধনিক শ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতায় কবিগানের আসর বসত বলে তখন কবিগানে অশ্লীলতা স্থান পেত, কিন্তু হরি আচার্যের কবিগানে তা ছিল না। সমাজচিত্র, মানুষের অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব, দুঃখদৈন্য, দ্রব্যমূল্য, পরাধীনতার বেদনা, হিন্দু-মুসলিম মিলনের বাণী, স্বদেশী আন্দোলন, ইংরেজদের কুশিক্ষা ইত্যাদি তাঁর গানের বিষয় ছিল। তাঁর গানে ‘বেদ-পুরাণ’, ‘কিতাব-কোরান’, ‘মসজিদ-মন্দির’ ইত্যাদি শব্দ সমভাবে ব্যবহূত হয়েছে।
নব্য ধনিক শ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতায় কবিগানের আসর বসত বলে তখন কবিগানে অশ্লীলতা স্থান পেত, কিন্তু হরি আচার্যের কবিগানে তা ছিল না। সমাজচিত্র, মানুষের অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব, দুঃখদৈন্য, দ্রব্যমূল্য, পরাধীনতার বেদনা, হিন্দু-মুসলিম মিলনের বাণী, স্বদেশী আন্দোলন, ইংরেজদের কুশিক্ষা ইত্যাদি তাঁর গানের বিষয় ছিল। তাঁর গানে ‘বেদ-পুরাণ’, ‘কিতাব-কোরান’, ‘মসজিদ-মন্দির’ ইত্যাদি শব্দ সমভাবে ব্যবহূত হয়েছে।


হরিচরণ ছিলেন বৈষ্ণবধর্মাবলম্বী। তিনি নিজগ্রামে ‘শ্রী শ্রী গৌরবিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে শিষ্যদের কবিগান ও শাস্ত্র শিক্ষা দিতেন। কবিগানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কিশোরগঞ্জের পন্ডিতসমাজ তাঁকে ‘কবিগুণাকর’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের (১৯৪১) ১৩ জ্যৈষ্ঠ তাঁর     মৃত্যু হয়।  [আলি নওয়াজ]
হরিচরণ ছিলেন বৈষ্ণবধর্মাবলম্বী। তিনি নিজগ্রামে ‘শ্রী শ্রী গৌরবিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে শিষ্যদের কবিগান ও শাস্ত্র শিক্ষা দিতেন। কবিগানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কিশোরগঞ্জের পন্ডিতসমাজ তাঁকে ‘কবিগুণাকর’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের (১৯৪১) ১৩ জ্যৈষ্ঠ তাঁর মৃত্যু হয়।  [আলি নওয়াজ]


[[en:Haricharan Acharya]]
[[en:Haricharan Acharya]]

০৪:০৫, ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

হরিচরণ আচার্য (১৮৬১-১৯৪১)  কবিয়াল। বৃহত্তর ঢাকা জেলার নরসিংদীতে তাঁর জন্ম। তিনি ‘হরি আচার্য’ নামেও পরিচিত। ছাত্রবৃত্তি পাস করে তিনি সাটিরপাড়ার রঘুনাথ ভট্টাচার্যের টোলে অধ্যয়ন করেন। পরে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর বেশিদূর অগ্রসর হয়নি, কারণ পনেরো-ষোলো বছর বয়সেই তিনি  কবিগান শুরু করেন। তিনি রামকানাই আচার্য, বৈকুণ্ঠনাথ চক্রবর্তী, হরিশ্চন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ কবিয়ালের নিকট গান শেখেন। এক সময় নিজেই কবিগানের দল গঠন করে প্রায় অর্ধ-শতাব্দী বাংলার বিভিন্ন শহর-গ্রামে কবিগান পরিবেশন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

হরি আচার্যের কবিগানের সঙ্কলন কবির ঝঙ্কার (১ম খন্ড ১৯২৯) নরসিংদীর বন্ধু সেবাশ্রম থেকে প্রকাশিত হয়। এর দ্বিতীয় খন্ডের প্রকাশকাল ১৯৫০ সাল। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থ: অমিয় লহরী (১৯৩১), বঙ্গের কবি লড়াই (১৯৩১), বসন্ত লীলামৃত  ইত্যাদি।

নব্য ধনিক শ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতায় কবিগানের আসর বসত বলে তখন কবিগানে অশ্লীলতা স্থান পেত, কিন্তু হরি আচার্যের কবিগানে তা ছিল না। সমাজচিত্র, মানুষের অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব, দুঃখদৈন্য, দ্রব্যমূল্য, পরাধীনতার বেদনা, হিন্দু-মুসলিম মিলনের বাণী, স্বদেশী আন্দোলন, ইংরেজদের কুশিক্ষা ইত্যাদি তাঁর গানের বিষয় ছিল। তাঁর গানে ‘বেদ-পুরাণ’, ‘কিতাব-কোরান’, ‘মসজিদ-মন্দির’ ইত্যাদি শব্দ সমভাবে ব্যবহূত হয়েছে।

হরিচরণ ছিলেন বৈষ্ণবধর্মাবলম্বী। তিনি নিজগ্রামে ‘শ্রী শ্রী গৌরবিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে শিষ্যদের কবিগান ও শাস্ত্র শিক্ষা দিতেন। কবিগানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কিশোরগঞ্জের পন্ডিতসমাজ তাঁকে ‘কবিগুণাকর’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের (১৯৪১) ১৩ জ্যৈষ্ঠ তাঁর মৃত্যু হয়।  [আলি নওয়াজ]