স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ নিজ পরিচালক পর্ষদ বা প্রশাসনিক কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত থাকে। এসব পর্ষদ বা কাউন্সিলে সরকারের বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বাইরের প্রতিনিধি থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী ও পূর্ণকালীন পরিচালকরা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন। নিম্নতর স্তরের পদসমূহে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ ও পদোন্নতির এখতিয়ার স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের। নিয়ম-শৃংখলা রক্ষাসহ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সংস্থার বিধি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়, সরকারি পর্ষদ ও বিভাগের কর্মচারীদের উপর প্রযোজ্য কোন সরকারি বিধানে নয়। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাপরিচালক বা নির্বাহী পরিচালক বা কোনো ক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যান নামে অভিহিত।
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ নিজ পরিচালক পর্ষদ বা প্রশাসনিক কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত থাকে। এসব পর্ষদ বা কাউন্সিলে সরকারের বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বাইরের প্রতিনিধি থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী ও পূর্ণকালীন পরিচালকরা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন। নিম্নতর স্তরের পদসমূহে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ ও পদোন্নতির এখতিয়ার স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের। নিয়ম-শৃংখলা রক্ষাসহ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সংস্থার বিধি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়, সরকারি পর্ষদ ও বিভাগের কর্মচারীদের উপর প্রযোজ্য কোন সরকারি বিধানে নয়। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাপরিচালক বা নির্বাহী পরিচালক বা কোনো ক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যান নামে অভিহিত।


অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের বিষয়ে এসব সংস্থা সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকে এবং একই সঙ্গে আর্থিক ব্যয়ের নায্যতা প্রতিপাদনের ক্ষেত্রে বাৎসরিক হিসাব নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, যা সরকারি হিসাব বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি পরীক্ষা করে। সরকারি খাতের সকল সংস্থার আর্থিক বিষয়ে হিসাব নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক যা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় সম্পন্ন করে থাকে। কিছু স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যথানিয়মে নিযুক্ত চার্টার অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে তাদের হিসাবসমীক্ষা নিষ্পন্ন করতে আইনত বাধ্য থাকে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস্ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ইত্যাদি।
অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের বিষয়ে এসব সংস্থা সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকে এবং একই সঙ্গে আর্থিক ব্যয়ের নায্যতা প্রতিপাদনের ক্ষেত্রে বাৎসরিক হিসাব নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, যা সরকারি হিসাব বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি পরীক্ষা করে। সরকারি খাতের সকল সংস্থার আর্থিক বিষয়ে হিসাব নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক যা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় সম্পন্ন করে থাকে। কিছু স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যথানিয়মে নিযুক্ত চার্টার অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে তাদের হিসাবসমীক্ষা নিষ্পন্ন করতে আইনত বাধ্য থাকে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস্ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ইত্যাদি। [এ.এম.এম শওকত আলী]
 
[এ.এম.এম শওকত আলী]


[[en:Autonomous Bodies]]
[[en:Autonomous Bodies]]


[[en:Autonomous Bodies]]
[[en:Autonomous Bodies]]

০৬:৫৫, ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা  সরকারি খাতে নানা ধরনের বিশেষ কর্মকান্ড সম্পাদনের উদ্দেশ্যে অর্ডিন্যান্স বা বিধানিক আইন দ্বারা (সংসদীয় অনুমোদন সাপেক্ষে) গঠিত সংস্থা। এগুলো কর্পোরেশন, বোর্ড, ইনস্টিটিউট, কর্তৃপক্ষ ইত্যাকার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক নামে পরিচিত। সাধারণভাবে এ সংস্থাগুলো বাণিজ্যিক, উন্নয়নমূলক, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, ও নিয়ন্ত্রনমূলক শ্রেণীতে বিভক্ত।

সরকারি বিভাগ/পরিদপ্তরের সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রাথমিক পার্থক্য হলো শেষোক্তটি প্রশাসনিক ও আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিক স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে থাকে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহ কতটা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে তা ওইসব সংস্থা গঠনকারী বিধানিক আইন দ্বারাই কার্যত নির্ধারিত হয়ে থাকে এবং এসব আইনের অধীনে প্রণীত বিধিবিধান দ্বারা পরিচালিত হয়। এসব বিধিবিধান তৈরির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ নিজ পরিচালক পর্ষদ বা প্রশাসনিক কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত থাকে। এসব পর্ষদ বা কাউন্সিলে সরকারের বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বাইরের প্রতিনিধি থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী ও পূর্ণকালীন পরিচালকরা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন। নিম্নতর স্তরের পদসমূহে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ ও পদোন্নতির এখতিয়ার স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের। নিয়ম-শৃংখলা রক্ষাসহ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সংস্থার বিধি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়, সরকারি পর্ষদ ও বিভাগের কর্মচারীদের উপর প্রযোজ্য কোন সরকারি বিধানে নয়। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাপরিচালক বা নির্বাহী পরিচালক বা কোনো ক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যান নামে অভিহিত।

অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের বিষয়ে এসব সংস্থা সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকে এবং একই সঙ্গে আর্থিক ব্যয়ের নায্যতা প্রতিপাদনের ক্ষেত্রে বাৎসরিক হিসাব নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, যা সরকারি হিসাব বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি পরীক্ষা করে। সরকারি খাতের সকল সংস্থার আর্থিক বিষয়ে হিসাব নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক যা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় সম্পন্ন করে থাকে। কিছু স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যথানিয়মে নিযুক্ত চার্টার অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে তাদের হিসাবসমীক্ষা নিষ্পন্ন করতে আইনত বাধ্য থাকে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস্ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ইত্যাদি। [এ.এম.এম শওকত আলী]