সেন, রঙ্গলাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

("right|thumbnail|200px|রঙ্গলাল সেন '''সেন, রঙ্গলাল''' (১৯৩৩-২০১৪) জাতীয় অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ এবং লেখক। রঙ্গলাল সেন ২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ সালে, মৌলভীবাজার জেলার কামালপুর গ্রামের ত্..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
জাতীয় অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত সমাজবিজ্ঞানী রঙ্গলাল সেন কিডনির রোগ এবং বার্ধক্যজনিত কারণে ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী কমলা সেন, দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে যান।  [গোবিন্দ চক্রবর্তী]
জাতীয় অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত সমাজবিজ্ঞানী রঙ্গলাল সেন কিডনির রোগ এবং বার্ধক্যজনিত কারণে ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী কমলা সেন, দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে যান।  [গোবিন্দ চক্রবর্তী]


'''Sen, Rangalal'''
[[en: Sen, Rangalal]]

১৬:৪১, ৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রঙ্গলাল সেন

সেন, রঙ্গলাল (১৯৩৩-২০১৪) জাতীয় অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ এবং লেখক। রঙ্গলাল সেন ২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ সালে, মৌলভীবাজার জেলার কামালপুর গ্রামের ত্রৈলোক্যবিজয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গিরিবালা সেন ও রমনচন্দ্র সেনের পুত্র। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন। জীবনকে তিনি গড়ে নিয়েছিলেন নানাবিধ প্রতিকূলতা ও বাধাবিপত্তি জয় করে। বয়স বেশি হলেও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয়ে ১৯৬২ সালে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন । তিনি উক্ত বিভাগে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া প্রথম ব্যক্তি। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে ১৯৭৭ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ‘Political Elites in Bangladesh’ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়।

রঙ্গলাল সেন ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের একজন সদস্য। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৯১ সালে পার্টির পঞ্চম কংগ্রেসে তিনি পার্টির কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও রমনা থানা কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতনের পর তিনি পার্টির মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালান। ১৯৯৩ সালের জুন মাসে বিলুপ্তবাদীরা পার্টি ছেড়ে চলে গেলে পার্টি ভেঙে যায়। বিভাজনের পরে তিনি পার্টির কোনো অংশেই আর থাকেননি। কিন্তু আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অনড়।

১৯৬৬ সালে রঙ্গলাল সেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরের বছর তিনি যোগদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। তিনি জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা থেকে ১৯৯৩ সালে অবসরগ্রহণ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে শিক্ষা ও গবেষণায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করে।

রঙ্গলাল সেন বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে সর্বমোট ২৩টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাংলাদেশের সামাজিক স্তরবিন্যাস’ (১৯৮৫), ‘Political Elites in Bangladesh’ (১৯৮৬), ‘সমাজকাঠামো, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র’ (১৯৯৭), ‘বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ (২০০৩), ‘প্রারম্ভিক সমাজবিজ্ঞান’ (২০০৩), ‘সুশীল সমাজ, রাষ্ট্র ও অন্যান্য’ (২০০৬)। তিনি জর্জ সিম্পসনের ‘গধহ রহ ঝড়পরবঃু’ এবং স্যামুয়েল কোনিগের ‘ঝড়পরড়ষড়মু’ গ্রন্থদ্বয়ের অনুবাদও করেন।

জাতীয় অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত সমাজবিজ্ঞানী রঙ্গলাল সেন কিডনির রোগ এবং বার্ধক্যজনিত কারণে ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী কমলা সেন, দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে যান। [গোবিন্দ চক্রবর্তী]