সূত্রাপুর থানা

Nasirkhan (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৫:৫৫, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Text replacement - "সোহ্রাওয়ার্দী" to "সোহ্‌রাওয়ার্দী")
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

সূত্রাপুর থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ২.০৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪১´ থেকে ২৩°৪৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৪´ থেকে ৯০°২৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পল্টন, মতিঝিল ও সবুজবাগ থানা, দক্ষিণে কেরানীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে সবুজবাগ, যাত্রাবাড়ী এবং গেন্ডারিয়া থানা, পশ্চিমে কোতোয়ালী ও বংশাল থানা।

জনসংখ্যা ১৯১৮৭৯; পুরুষ ১১৩৭৩২, মহিলা ৭৮১৪৭। মুসলিম ১৬৮২৫৮, হিন্দু ২২৭১৩, বৌদ্ধ ৮০১, খ্রিস্টান ৫৫  এবং অন্যান্য ৫২।

প্রশাসন ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ সালে সূত্রাপুর থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৪৭ ১৯১৮৭৯ - ৯২২৫০ ৭৬.১৭ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড  নং ৭৪ ০.৪১ ৩০৭৩৩ ১৮৪১৩ ৭৩.৪৫
ওয়ার্ড  নং ৭৫ ০.৪৮ ১৯১১৫ ১৪৯৫৪ ৮০.১৫
ওয়ার্ড  নং ৭৭ ০.৫০ ২১৭৮২ ১৬৮২০ ৭৫.১৬
ওয়ার্ড  নং ৭৮ ০.২২ ১৫৯২৮ ১১৮২৮ ৭৪.৮৩
ওয়ার্ড  নং ৭৯ ০.৪৭ ২৬১৭৪ ১৬১৩২ ৭৭.২৬

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ ঐতিহাসিক লালকুটি, রূপলাল হাউজ, বিউটি বোডিং, লালখান বিবিকা রওজা (৪০০ বছর আগের), বাহাদুর শাহ পার্ক।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ মালাকাটোলা নামক স্থানে ১৩ জন লোককে পাকবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই থানার মুক্তিযোদ্ধাগণ পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক সফল আক্রমন পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধে এ থানায় আহসান উল্লাহ সরদার এবং মোহাম্মদ শাহজাহানসহ ৫০ জনেরও অধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ  হন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৫০, মন্দির ১০, গির্জা ৩, মাযার ১০। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সূত্রাপুর জামে মসজিদ, গৌড়ীয় মঠ মন্দির, কালী মন্দির, শিবা মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, ব্যাপ্টিস্ট গির্জা।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৭৬.১৭%; পুরুষ ৭৯.৩১%, মহিলা ৭১.৬৯%। মেডিকেল কলেজ ১, কলেজ ৮, স্কুল ১৭, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০, মাদ্রাসা ১০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ (১৯৯৭), সরকারি কবি নজরুল কলেজ, সরকারি শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী কলেজ, কে এল জুবিলী স্কুল এন্ড কলেজ (১৮৬৬), ঢাকা সরকারি মুসলিম হাইস্কুল (১৮৭৪), সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল (১৮৮২), সেন্ট ফ্রান্সিস জেফিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল, নওয়াবপুর সরকারি হাইস্কুল, রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইনকিলাব,; পত্র-পত্রিকা: ডেইলি নিউ নেশন, সাপ্তাহিক রোববার, সাপ্তাহিক পূর্ণিমা।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব, সিনেমা হল, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ।

বিনোদন কেন্দ্র বাহাদুর শাহ পার্ক।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ০.৩৪%, অকৃষি শ্রমিক ০.২৩%, শিল্প ২.২১%, ব্যবসা ৪৮.৪৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.০৮%, চাকরি ৩৩.০৪%, নির্মাণ ০.৭৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৩.০৬% এবং অন্যান্য ৯.৬৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৯.৭৩%, ভূমিহীন ৬০.২৭%।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  ধান, পাট, আখ, ডাল।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, পেঁপে।

যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট রাস্তা ৪০.০৯ বর্গ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা গার্মেন্টস শিল্প, বই প্রকাশনা শিল্প, ঔষধ শিল্প, ওয়েল্ডিং কারখানা।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, চামড়াশিল্প, বুনন শিল্প।

বাজার ও শপিং সেন্টার  বাংলাবাজার, কাপ্তান বাজার, ঠাঁঠারী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সদরঘাট হকার্স মার্কেট, রাজধানী সুপার মার্কেট, ইসলামপুর মার্কেট।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  তৈরি পোশাক, বই, চামড়া শিল্প।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি মহল্লা বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯৯.০৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ১০.০৯%, পুকুর ০.০৬%, ট্যাপ ৮৮.৭৪% এবং অন্যান্য ১.১১%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৯৮.৮১% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১.০৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ০.১৩% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ১৫, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১৩। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ উল্লেখযোগ্য। [সৈয়দ মারুফুজ্জামান]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।