সচিবালয়

সচিবালয়  দেশের গোটা প্রশাসন ও সরকারি কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। প্রধানত এখানেই সরকারের সকল নীতি নির্ধারণী সংস্থা অবস্থিত। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার ছিল কার্যত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারেরই অবিকল প্রতিরূপ। নির্বাচিত সরকার থাকাকালে প্রাদেশিক মন্ত্রীদের অধীনে কয়েকটি বিভাগ সমন্বয়ে গঠিত এর একটি সচিবালয় থাকত। স্বাধীনতা লাভের পর বিদ্যমান প্রাদেশিক প্রশাসনিক কাঠামোটি জাতীয় সরকারের প্রশাসনে রূপান্তরিত হয়।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর স্বাধীনতার ঘোষণাবলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং এই সরকারের সদরদপ্তর ছিল মুজিবনগর। অস্থায়ী সরকারের অধীনে কতগুলি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ একটি সচিবালয় ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর স্বাধীন বাংলাদেশে এই সচিবালয়টি ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসার পরপরই ১৯৭২ সালের সাময়িক সংবিধানের ভিত্তিতে অস্থায়ী সরকারের বিলুপ্তি ঘটে এবং তাতে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার গঠনের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়। ১৯৭২ সালের জানুয়ারির শেষ নাগাদ সম্প্রসারিত একটি মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হলে ১৯টি মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে সচিবালয়টিও পুনর্গঠিত হয়। ১৯৯৯ সালে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৮ ও ৪৬।

সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে অর্পিত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির জারি করা আদেশে কার্যবিধি  অনুসারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন নিষ্পন্ন হয়। অধিকন্তু, সরকারি কার্যবিধির ৪(১০) ধারার আওতায় প্রস্ত্তত ‘সচিবালয় নির্দেশাবলী’ নামে আরেকটি পৃথক দলিলের মাধ্যমে সচিবালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে সরকারি কাজকর্ম সম্পাদনের ধরন নির্ধারিত হয়। সচিবালয় কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে- নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়নাধীন পরিকল্পনাগুলির মূল্যায়ন, জাতীয় সংসদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের সহায়তা প্রদান, শীর্ষ পর্যায়ে কর্মকর্তা ব্যবস্থাপনা এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত অনুরূপ অন্যান্য কাজকর্ম।

প্রয়োজনবোধে প্রধানমন্ত্রী যেকোন সময় এক বা একাধিক বিভাগের সমন্বয়ে নতুন একটি মন্ত্রণালয় গঠন করতে পারেন। একটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এটিকে বিভিন্ন উইং, শাখা ও সেকশনে বিভক্ত করা হয়। উইং হলো কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগের অধীনে বিশেষ ধরনের নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি উপবিভাগ। এটি একজন যুগ্মসচিব অথবা অতিরিক্ত সচিব পরিচালনা করেন। একটি ব্রাঞ্চ কয়েকটি সেকশন নিয়ে গঠিত হয়, যার প্রধান থাকেন উপসচিব বা সমমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা। পক্ষান্তরে, সেকশন হলো কার্যপরিচালনার মৌলিক একক, যা পরিচালনা করেন একজন সহকারি/ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব।

প্রধানমন্ত্রী নিজে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন এবং একজন মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীর ওপর এক বা একাধিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব অর্পণ করেন। ক্ষেত্র বিশেষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিন্নভাবে নির্দেশিত না হলে তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়/বিভাগের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না।

সচিব হলেন মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি এর প্রশাসন, নিয়ম-শৃঙ্খলা ও ন্যস্ত যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও অধীনস্থ অফিসসমূহের কার্যবিধি যথাযথভাবে অনুসৃত হচ্ছে কিনা তাও সতর্কতার সঙ্গে তদারক করেন। তিনি মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যকলাপ সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে অবহিত রাখেন। সচিব সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও অধীনস্থ অফিসমূহসহ মন্ত্রণালয়/বিভাগের মুখ্য হিসাবরক্ষক এবং এগুলির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে বাজেট ও প্রচলিত হিসাববিধি অনুসারে ব্যয়িত হয় সেটিও নিশ্চিত করেন। প্রয়োজনীয় উপাত্ত, তথ্য ও উদাহরণ সংগ্রহ, পরীক্ষা, বিশে­ষণ ও সমন্বয়ের দায়িত্বও সচিবের। আর এসবের ভিত্তিতেই মন্ত্রী নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। কোনো নীতি গৃহীত হওয়ার পর সেটি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না তিনি তা দেখেন এবং নীতিসমূহ বাস্তবায়নকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রণালয়/বিভাগকে কয়েকটি কার্যনির্বাহী ইউনিটে বিভক্তকরণ এবং তার অধীনস্থ উইং, শাখা ও সেকশনগুলির মধ্যে বিভাগ/মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টনের দায়িত্বও তার উপর ন্যস্ত। অধীনস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষমতা অর্পণের ধরন ও মাত্রা সচিবই নির্ধারণ করেন। তিনি অধীনস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অর্পিত ক্ষমতা বণ্টন এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যসম্পাদনের ধরন সম্পর্কিত সুস্পষ্ট স্থায়ী নির্দেশও জারি করেন।

একজন অতিরিক্ত সচিব/যুগ্মসচিব তার এখতিয়ার অনুযায়ী পূর্ণমাত্রায় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশের জন্য সকল বিষয় সরাসরি মন্ত্রীর নিকট পেশ করেন। সচিবের মাধ্যমেই এগুলি আবার তার কাছে ফেরত আসে। সচিব বিবেচনার জন্য অতিরিক্ত সচিব/যুগ্মসচিবের কাছ থেকে যেকোন বিষয়ের নথি চেয়ে পাঠাতে পারেন। যেসব বিষয়ে মুখ্য কোনো নীতিগত প্রশ্ন জড়িত নয়, অথবা স্থায়ী আদেশ কিংবা বিদ্যমান বিধিবলে এগুলি নিষ্পত্তির ক্ষমতা তার রয়েছে, একজন উপসচিব সেগুলি মীমাংসা করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নজির থাকলে এবং এ নজিরের কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে একজন সহকারি সচিব/ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব তার আওতাধীন সকল বিষয়ই নিষ্পত্তি করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ দেখা দিলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শ চাইতে পারেন। সাধারণত সহকারি সচিব/ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিবকে সহায়তার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োজিত থাকেন।

প্রয়োজনবোধে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগেই একজন যুগ্মসচিব/যুগ্মপ্রধানের অধীনে একটি করে গবেষণা উইং থাকে এবং সাধারণত তাকে সহায়তা প্রদানের জন্য একজন উপপ্রধান, সহকারি প্রধান ও একজন গবেষণা কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। পরিকল্পনা উইং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রকল্প সংক্রান্ত দলিলপত্র প্রস্ত্তত করে। উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন এবং তদারকিও এই বিভাগের দায়িত্ব। সচিবালয়ের বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারাই সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব পদে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। ১৯৮০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সরকার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বি.সি.এস) নামে মোট ২৮ ক্যাডার ও সহ-ক্যাডারের নতুন একটি সমন্বিত চাকুরি কাঠামো চালু করে। পরবর্তীকালে বি.সি.এস পুনর্গঠিত হয় এবং ক্যাডার বাড়িয়ে সংখ্যা করা হয় ২৯। অবশ্য বি.সি.এস চালু হওয়ার আগে সিনিয়র সার্ভিসেস পুল (এস.এস.পি) নামে একটি নতুন ও উচ্চতর ক্যাডার সার্ভিস ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের উন্মুক্ত সিভিল সার্ভিস পদ্ধতি ধরনের এই ব্যবস্থায় ছিল সচিবালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসনিক পদ তথা বিভিন্ন নির্বাহী বিভাগ, জেলা ও বিভাগীয় সদর দপ্তরের উচ্চতর কিছু প্রশাসনিক পদ। পররাষ্ট্র বিষয়ক এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়া সচিবালয়ের অবশিষ্ট উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পর্যায়ের সকল পদের জন্য এস.এস.পি কর্মকর্তারা যোগ্য বিবেচিত হতেন। শুরুতেই স্বাভাবিকভাবে সি.এস.পি, ই.পি.সি.এস ও ই.পি.এস.এস কর্মকর্তারা এস.এস.পি হয়ে যান। সচিবালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসনিক পদগুলিতে অন্য সার্ভিসের ক্যাডারদের যোগদানের পথ উন্মুক্ত করার জন্য সরকার ১৯৮৯ সালে এস.এস.পি প্রথা বাতিল করে এবং উপসচিব ও যুগ্মসচিব পদগুলিতে অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিস কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা পদ্ধতি চালু হয়। সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের পদগুলি সকল ক্যাডার সার্ভিস কর্মকর্তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। শুরুতে ১৫৯টি যুগ্মসচিবের পদের মধ্যে ৯৫টি এবং ৩৭৭টি উপসচিব পদের মধ্যে ২৪৫টি বি.সি.এস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। সরকার ১৯৯৮ সালে ৭৫% উপসচিব এবং ৭০% যুগ্মসচিবের পদ বি.সি.এস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত রেখে অবশিষ্ট পদগুলিতে অন্যান্য ক্যডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উপসচিবের অধঃস্তন পদগুলি, যেমন সহকারি সচিব/ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব প্রধানত বি.সি.এস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দ্বারা পূরণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়। সহকারি সচিবের কয়েকটি পদে অবশ্য সচিবালয়ে কর্মরত ক্যাডার সার্ভিস বহির্ভূত কিছু কর্মকর্তাকেও নিয়োগ দেওয়া হয়। উপ-প্রধান, ঊর্ধ্বতন সহকারি প্রধান/সহকারি প্রধান ও গবেষণা কর্মকর্তাদের পদগুলি বি.সি.এস অর্থ-ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সংরিক্ষত থাকে। বি.সি.এস তথ্য-ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। উপরোক্ত সকল কর্মকর্তা ছাড়া প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পারসোনাল কর্মকর্তা, স্টেনোটাইপিস্ট ও বার্তাবহের মতো পদে বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিভাগ/মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত নীতিসমূহ সাধারণত কয়েকটি নির্বাহী সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। সেগুলি হলো সংযুক্ত অধিদপ্তর ও অধীনস্থ অফিসসমূহ। সংযুক্ত অধিদপ্তর বলতে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলিই বোঝায়। সংযুক্ত অধিদপ্তরগুলি সাধারণত তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক গৃহীত নীতিসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্বাহী নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়া এগুলি নিজস্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে তাদের পরিচালিত কার্যাদির কৌশলগত দিকগুলি সম্পর্কে টেকনিক্যাল তথ্য-উপদেশ প্রদান করে থাকে। অধীনস্থ অফিস বলতে সরকারের সেসব অফিসকেই বুঝায় যেগুলি সংযুক্ত অধিদপ্তর হিসেবে ঘোষিত হয় নি এবং কার্যসূত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে সরাসরি সম্পর্কিতও নয়। অধীনস্থ অফিসসমূহ সাধারণত মাঠপর্যায় সংস্থা হিসেবে সরকারের গৃহীত নীতিসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে। সাধারণভাবে এগুলি সংযুক্ত বিভাগগুলির সরাসরি নির্দেশে পরিচালিত হয়। তবে নির্বাহী কাজের চাপ অধিক না হলে কিছু কিছু অধীনস্থ অফিস সরাসরি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের অধীনে থেকেই কাজ করে।

আরও কিছু ভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও পাবলিক করপোরেশন, যেগুলি কিছু বিশেষ ধরনের সরকারি কাজ বা সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়। সেগুলি বাণিজ্যিক, উদ্যোগমূলক, সমন্বয়মূলক ইত্যাকার বিবিধ ধরনের। এসব সংস্থা ও মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের মধ্যেকার সম্পর্ক সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।  [আইয়ুব মিয়া]