শোলাকিয়া ঈদ জামাত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
জেলার দুরবর্তী এলাকা এবং দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লিরা শোলাকিয়া ঈদ জামাতে শরীক হন। বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত জামাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। স্থানীয় হিসাব এবং সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী জামাতে যোগদানকারীর সংখ্যা অন্তত তিন লক্ষ বলে দাবি করা হয়। তবে জামাতের আওতাভূক্ত সংলগ্ন এলাকাসহ ঈদগাহ ময়দানের ধারণক্ষমতা বিবেচনায় এই সংখ্যা দুই লক্ষের অধিক হবার কথা নয়।
জেলার দুরবর্তী এলাকা এবং দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লিরা শোলাকিয়া ঈদ জামাতে শরীক হন। বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত জামাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। স্থানীয় হিসাব এবং সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী জামাতে যোগদানকারীর সংখ্যা অন্তত তিন লক্ষ বলে দাবি করা হয়। তবে জামাতের আওতাভূক্ত সংলগ্ন এলাকাসহ ঈদগাহ ময়দানের ধারণক্ষমতা বিবেচনায় এই সংখ্যা দুই লক্ষের অধিক হবার কথা নয়।


ঈদ উৎসব উপলক্ষে শোলাকিয়া ঈদগাহকে জাঁকালোভাবে সজ্জিত করা হয়। রেলস্টেশন থেকে ঈদগাহ ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় সচরাচর আকর্ষণীয় তোরণ নির্মাণ করা হয়। ঈদের দিন ঈদগাহ মসজিদটি চমৎকারভাবে সাজান হয় এবং গোটা চত্বর নানা সাজ ও আলোকসজ্জায় অপরূপ হয়ে ওঠে। সমগ্র ময়দান জুড়ে বিপুল সংখ্যক মাইকের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদ উৎসব উপলক্ষে ঈদগাহ ময়দানের পাশে দিনব্যাপী একটি ছোটখাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
ঈদ উৎসব উপলক্ষে শোলাকিয়া ঈদগাহকে জাঁকালোভাবে সজ্জিত করা হয়। রেলস্টেশন থেকে ঈদগাহ ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় সচরাচর আকর্ষণীয় তোরণ নির্মাণ করা হয়। ঈদের দিন ঈদগাহ মসজিদটি চমৎকারভাবে সাজান হয় এবং গোটা চত্বর নানা সাজ ও আলোকসজ্জায় অপরূপ হয়ে ওঠে। সমগ্র ময়দান জুড়ে বিপুল সংখ্যক মাইকের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদ উৎসব উপলক্ষে ঈদগাহ ময়দানের পাশে দিনব্যাপী একটি ছোটখাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Solakia Eid Congregation]]
[[en:Solakia Eid Congregation]]

১৬:০৫, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শোলাকিয়া ঈদ জামাত  বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অন্যতম সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহ্যবাহী এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ভাটির অধিপতি ঈসা খান মসনদ-ই-আলার জনৈক বংশধর দেওয়ান হায়বত মুহাম্মদ খান কর্তৃক শোলাকিয়া ঈদগাহ স্থাপিত হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। কথিত আছে যে, এখানে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় ১৭৫০ সালে। হায়বত খানের উত্তরসূরী দেওয়ান মান্নান দাদ খান পরবর্তীকালে ঈদগাহ চত্বরের বিপুল পরিমাণ জমি ওয়াক্ফ সম্পত্তি হিসেবে দান করেন। দাতার উত্তরসূরীদের মধ্য থেকে মনোনীত একজন মুতাওয়াল্লীর নেতৃত্বে গঠিত ওয়াক্ফ কমিটি বর্তমানে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। ঈদগাহর মূল চত্বরটি ইটের দেয়াল বেষ্টিত। ঈদগাহের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ঈদগাহ মসজিদ নামে পরিচিত একটি পাকা মসজিদ।

জেলার দুরবর্তী এলাকা এবং দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লিরা শোলাকিয়া ঈদ জামাতে শরীক হন। বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত জামাতগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। স্থানীয় হিসাব এবং সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী জামাতে যোগদানকারীর সংখ্যা অন্তত তিন লক্ষ বলে দাবি করা হয়। তবে জামাতের আওতাভূক্ত সংলগ্ন এলাকাসহ ঈদগাহ ময়দানের ধারণক্ষমতা বিবেচনায় এই সংখ্যা দুই লক্ষের অধিক হবার কথা নয়।

ঈদ উৎসব উপলক্ষে শোলাকিয়া ঈদগাহকে জাঁকালোভাবে সজ্জিত করা হয়। রেলস্টেশন থেকে ঈদগাহ ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় সচরাচর আকর্ষণীয় তোরণ নির্মাণ করা হয়। ঈদের দিন ঈদগাহ মসজিদটি চমৎকারভাবে সাজান হয় এবং গোটা চত্বর নানা সাজ ও আলোকসজ্জায় অপরূপ হয়ে ওঠে। সমগ্র ময়দান জুড়ে বিপুল সংখ্যক মাইকের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদ উৎসব উপলক্ষে ঈদগাহ ময়দানের পাশে দিনব্যাপী একটি ছোটখাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]