শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
'''শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ''' (১৯৩৬-১৯৭১)  পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ল্যান্স নায়েক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল জেলার মহিষখালি গ্রামে ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পিতৃমাতৃহীন অবস্থায় আর্থিক সংকটের ফলে তিনি পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করে ফেলেন। পরে তিনি স্থানীয় আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ তিনি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস্-এ যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর পোস্টিং হয় দিনাজপুর সেক্টরে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি দিনাজপুর সেক্টরে যুদ্ধে আহত হন। যুদ্ধে তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাঁকে ‘তমগা-এ-জং’ ও ‘সিতারা-এ-হরব’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে তিনি যশোর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে বদলি হন।
'''শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ''' (১৯৩৬-১৯৭১)  পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ল্যান্স নায়েক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল জেলার মহিষখালি গ্রামে ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পিতৃমাতৃহীন অবস্থায় আর্থিক সংকটের ফলে তিনি পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করে ফেলেন। পরে তিনি স্থানীয় আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ তিনি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস্-এ যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর পোস্টিং হয় দিনাজপুর সেক্টরে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি দিনাজপুর সেক্টরে যুদ্ধে আহত হন। যুদ্ধে তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাঁকে ‘তমগা-এ-জং’ ও ‘সিতারা-এ-হরব’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে তিনি যশোর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে বদলি হন।


১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসে নূর মোহাম্মদ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি যশোর ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন। একটি স্থায়ী টহল-দলের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনকালে ৫ সেপ্টেম্বর পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ঘাঁটির তিন দিকে অবস্থান নেয় এবং অতর্কিতে টহল-দলটিকে ঘিরে ফেলে। নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে টহল-দলটি পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী কাশীপুরে সমাহিত করে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘বীরশ্রে্রষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।  [মোঃ সিদ্দিকুর রহমান]
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসে নূর মোহাম্মদ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি যশোর ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন। একটি স্থায়ী টহল-দলের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনকালে ৫ সেপ্টেম্বর পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ঘাঁটির তিন দিকে অবস্থান নেয় এবং অতর্কিতে টহল-দলটিকে ঘিরে ফেলে। নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে টহল-দলটি পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী কাশীপুরে সমাহিত করে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।  [মোঃ সিদ্দিকুর রহমান]


[[en:Sheikh, Birsrestha Nur Mohammad]]
[[en:Sheikh, Birsrestha Nur Mohammad]]

০৯:৫৪, ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ

শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ (১৯৩৬-১৯৭১)  পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ল্যান্স নায়েক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল জেলার মহিষখালি গ্রামে ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পিতৃমাতৃহীন অবস্থায় আর্থিক সংকটের ফলে তিনি পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করে ফেলেন। পরে তিনি স্থানীয় আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ তিনি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস্-এ যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর পোস্টিং হয় দিনাজপুর সেক্টরে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি দিনাজপুর সেক্টরে যুদ্ধে আহত হন। যুদ্ধে তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাঁকে ‘তমগা-এ-জং’ ও ‘সিতারা-এ-হরব’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে তিনি যশোর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে বদলি হন।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসে নূর মোহাম্মদ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি যশোর ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন। একটি স্থায়ী টহল-দলের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনকালে ৫ সেপ্টেম্বর পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ঘাঁটির তিন দিকে অবস্থান নেয় এবং অতর্কিতে টহল-দলটিকে ঘিরে ফেলে। নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে টহল-দলটি পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী কাশীপুরে সমাহিত করে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।  [মোঃ সিদ্দিকুর রহমান]