শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:ZainulAbedinMuseum.jpg|thumb|right|শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, ময়মনসিংহ]]
'''শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা'''  শিল্পকর্ম সংরক্ষণ কেন্দ্র। সরকার কর্তৃক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম দেশব্যাপী সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়ার পর শিল্পীর নিজের এলাকা ময়মনসিংহে এই সংগ্রহশালাটি গড়ে ওঠে। ময়মনসিংহ শহরের উত্তর প্রান্তে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ছায়াঘেরা পরিবেশে ১৯৭৫ সালে এটি স্থাপিত হয়। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে শিল্পাচার্যের মনে এই ধরনের সংগ্রহশালার ধারণা জন্মে এবং বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত অসংখ্য মূল্যবান শিল্পকর্ম সংগ্রহে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৫ সালের ৭ জুলাই ঔপনিবেশিক আমলের একটি ভবনে সংগ্রহশালার কাজ শুরু হয়। ভবনটির মালিক ছিলেন জনৈক মি. বার্ডেন। বার্ডেনের কাছ থেকে বড় লাটের (ভাইসরয়) কাউন্সিল সদস্য নলিনীরঞ্জন সরকার বাড়িটি ক্রয় করেন।
'''শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা'''  শিল্পকর্ম সংরক্ষণ কেন্দ্র। সরকার কর্তৃক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম দেশব্যাপী সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়ার পর শিল্পীর নিজের এলাকা ময়মনসিংহে এই সংগ্রহশালাটি গড়ে ওঠে। ময়মনসিংহ শহরের উত্তর প্রান্তে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ছায়াঘেরা পরিবেশে ১৯৭৫ সালে এটি স্থাপিত হয়। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে শিল্পাচার্যের মনে এই ধরনের সংগ্রহশালার ধারণা জন্মে এবং বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত অসংখ্য মূল্যবান শিল্পকর্ম সংগ্রহে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৫ সালের ৭ জুলাই ঔপনিবেশিক আমলের একটি ভবনে সংগ্রহশালার কাজ শুরু হয়। ভবনটির মালিক ছিলেন জনৈক মি. বার্ডেন। বার্ডেনের কাছ থেকে বড় লাটের (ভাইসরয়) কাউন্সিল সদস্য নলিনীরঞ্জন সরকার বাড়িটি ক্রয় করেন।


সংগ্রহশালার প্রতিটি চিত্রকর্মে ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সংগ্রহশালায় প্রথমে ৭০টি চিত্রকর্ম স্থান পায়। ছবিগুলির বেশির ভাগই ছিল তৈলচিত্র। এগুলির মধ্যে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণকালে শিল্পাচার্যের অঙ্কিত ছবি, গুণটানা, নদী পারাপারের অপেক্ষায় পিতা-পুত্র ও দুর্ভিক্ষের ছবি উল্লেখযোগ্য। সংগ্রহশালা থেকে আকর্ষণীয় এবং বিখ্যাত ১৭টি ছবি ১৯৮২ সালে চুরি হয়ে যায়। এর মধ্যে ১০টি ছবি ১৯৯৪ সালে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বর্তমানে এই সংগ্রহশালায় ৫৩টি অমূল্য ছবি রয়েছে। শিল্পাচার্যের স্বপ্ন অনুযায়ী পরবর্তীকালে এখানে একটি আর্ট স্কুলও প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই স্কুলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।  [মেজবাহ উদ্দিন তুহিন]
সংগ্রহশালার প্রতিটি চিত্রকর্মে ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সংগ্রহশালায় প্রথমে ৭০টি চিত্রকর্ম স্থান পায়। ছবিগুলির বেশির ভাগই ছিল তৈলচিত্র। এগুলির মধ্যে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণকালে শিল্পাচার্যের অঙ্কিত ছবি, গুণটানা, নদী পারাপারের অপেক্ষায় পিতা-পুত্র ও দুর্ভিক্ষের ছবি উল্লেখযোগ্য। সংগ্রহশালা থেকে আকর্ষণীয় এবং বিখ্যাত ১৭টি ছবি ১৯৮২ সালে চুরি হয়ে যায়। এর মধ্যে ১০টি ছবি ১৯৯৪ সালে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বর্তমানে এই সংগ্রহশালায় ৫৩টি অমূল্য ছবি রয়েছে। শিল্পাচার্যের স্বপ্ন অনুযায়ী পরবর্তীকালে এখানে একটি আর্ট স্কুলও প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই স্কুলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।  [মেজবাহ উদ্দিন তুহিন]
[[Image:ZainulAbedinMuseum.jpg|thumb|right|শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, ময়মনসিংহ]]


[[en:Shilpacharya Zainul Abedin Museum]]
[[en:Shilpacharya Zainul Abedin Museum]]

০৭:২৩, ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, ময়মনসিংহ

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা  শিল্পকর্ম সংরক্ষণ কেন্দ্র। সরকার কর্তৃক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম দেশব্যাপী সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়ার পর শিল্পীর নিজের এলাকা ময়মনসিংহে এই সংগ্রহশালাটি গড়ে ওঠে। ময়মনসিংহ শহরের উত্তর প্রান্তে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ছায়াঘেরা পরিবেশে ১৯৭৫ সালে এটি স্থাপিত হয়। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে শিল্পাচার্যের মনে এই ধরনের সংগ্রহশালার ধারণা জন্মে এবং বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত অসংখ্য মূল্যবান শিল্পকর্ম সংগ্রহে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৫ সালের ৭ জুলাই ঔপনিবেশিক আমলের একটি ভবনে সংগ্রহশালার কাজ শুরু হয়। ভবনটির মালিক ছিলেন জনৈক মি. বার্ডেন। বার্ডেনের কাছ থেকে বড় লাটের (ভাইসরয়) কাউন্সিল সদস্য নলিনীরঞ্জন সরকার বাড়িটি ক্রয় করেন।

সংগ্রহশালার প্রতিটি চিত্রকর্মে ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সংগ্রহশালায় প্রথমে ৭০টি চিত্রকর্ম স্থান পায়। ছবিগুলির বেশির ভাগই ছিল তৈলচিত্র। এগুলির মধ্যে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণকালে শিল্পাচার্যের অঙ্কিত ছবি, গুণটানা, নদী পারাপারের অপেক্ষায় পিতা-পুত্র ও দুর্ভিক্ষের ছবি উল্লেখযোগ্য। সংগ্রহশালা থেকে আকর্ষণীয় এবং বিখ্যাত ১৭টি ছবি ১৯৮২ সালে চুরি হয়ে যায়। এর মধ্যে ১০টি ছবি ১৯৯৪ সালে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বর্তমানে এই সংগ্রহশালায় ৫৩টি অমূল্য ছবি রয়েছে। শিল্পাচার্যের স্বপ্ন অনুযায়ী পরবর্তীকালে এখানে একটি আর্ট স্কুলও প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই স্কুলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।  [মেজবাহ উদ্দিন তুহিন]