শাহ আলী বাগদাদী (রঃ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''শাহ আলী বাগদাদী .রঃ'''''')'''  একজন সুফি দরবেশ। তিনি পনেরো শতকের প্রথম দিকে বাগদাদ থেকে এ অঞ্চলে আসেন। ঢাকার শহরতলী মিরপুরে তাঁর সমাধি রয়েছে। তাঁর পিতা সৈয়দ ফখরুদ্দীন রাজী ছিলেন একাধারে কুরআনে হাফেজ, মোফাচ্ছের, মুহাদ্দেস ও মুফতী।
'''শাহ আলী বাগদাদী (রঃ)'''  একজন সুফি দরবেশ। তিনি পনেরো শতকের প্রথম দিকে বাগদাদ থেকে এ অঞ্চলে আসেন। ঢাকার শহরতলী মিরপুরে তাঁর সমাধি রয়েছে। তাঁর পিতা সৈয়দ ফখরুদ্দীন রাজী ছিলেন একাধারে কুরআনে হাফেজ, মোফাচ্ছের, মুহাদ্দেস ও মুফতী।


শাহ আলী বিশ বছর বয়সে তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ৮১৩-১৪ হিজরিতে (১৪১২ খ্রি) দিল্লিতে আসেন। দিল্লি থেকে তিনি ফতেহাবাদ পরগনার (ফরিদপুর জেলা) কসবা গিরদাহ গ্রামে পৌঁছেন। সুলতান জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহের আমলে এই পরগনা মুসলমানদের দ্বারা বিজিত হয়। জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ তাঁকে ১২০০০ বিঘা জমি দান করেন। গিরদায় তিনি অনেককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। ফরিদপুর থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এখানে তিনি চিশতিয়া তরিকার দরবেশ শাহ বাহার (রঃ)-এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এখানেও তিনি বহু লোককে ধর্মান্তরিত করেন। প্রায় এক শত বছর বয়সে মিরপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া]
শাহ আলী বিশ বছর বয়সে তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ৮১৩-১৪ হিজরিতে (১৪১২ খ্রি) দিল্লিতে আসেন। দিল্লি থেকে তিনি ফতেহাবাদ পরগনার (ফরিদপুর জেলা) কসবা গিরদাহ গ্রামে পৌঁছেন। সুলতান জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহের আমলে এই পরগনা মুসলমানদের দ্বারা বিজিত হয়। জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ তাঁকে ১২০০০ বিঘা জমি দান করেন। গিরদায় তিনি অনেককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। ফরিদপুর থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এখানে তিনি চিশতিয়া তরিকার দরবেশ শাহ বাহার (রঃ)-এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এখানেও তিনি বহু লোককে ধর্মান্তরিত করেন। প্রায় এক শত বছর বয়সে মিরপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া]

০৫:০৮, ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শাহ আলী বাগদাদী (রঃ)  একজন সুফি দরবেশ। তিনি পনেরো শতকের প্রথম দিকে বাগদাদ থেকে এ অঞ্চলে আসেন। ঢাকার শহরতলী মিরপুরে তাঁর সমাধি রয়েছে। তাঁর পিতা সৈয়দ ফখরুদ্দীন রাজী ছিলেন একাধারে কুরআনে হাফেজ, মোফাচ্ছের, মুহাদ্দেস ও মুফতী।

শাহ আলী বিশ বছর বয়সে তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ৮১৩-১৪ হিজরিতে (১৪১২ খ্রি) দিল্লিতে আসেন। দিল্লি থেকে তিনি ফতেহাবাদ পরগনার (ফরিদপুর জেলা) কসবা গিরদাহ গ্রামে পৌঁছেন। সুলতান জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহের আমলে এই পরগনা মুসলমানদের দ্বারা বিজিত হয়। জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ তাঁকে ১২০০০ বিঘা জমি দান করেন। গিরদায় তিনি অনেককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। ফরিদপুর থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এখানে তিনি চিশতিয়া তরিকার দরবেশ শাহ বাহার (রঃ)-এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এখানেও তিনি বহু লোককে ধর্মান্তরিত করেন। প্রায় এক শত বছর বয়সে মিরপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া]