শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী (রঃ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী (র.)'''  বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রাথমিক পর্বের প্রখ্যাত পীর-দরবেশদের অন্যতম। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বীরভূম জেলায় খুস্তিগিরি নামক স্থানে সমাহিত আছেন। প্রচলিত কাহিনীমতে তিনি পারস্য দেশের কিরমান শহর থেকে বাংলায় আগমন করেন। ছোট অবস্থায় তিনি স্বদেশ ত্যাগ করে ভারতবর্ষে আসেন। এখানে বিভিন্ন জায়গা পরিভ্রমণ করে পরিশেষে তিনি পাটনায় শাহ আরজানীর শিষ্য হন। মুর্শিদ (যিনি খুব সম্ভবত ১৬৩০ সালে মারা যান) তাঁকে বাংলায় গমনের নির্দেশ দেন। শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী বীরভূমে আসেন এবং খুস্তিগিরিতে বসবাস শুরু করেন।
'''শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী (রঃ)'''  বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রাথমিক পর্বের প্রখ্যাত পীর-দরবেশদের অন্যতম। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বীরভূম জেলায় খুস্তিগিরি নামক স্থানে সমাহিত আছেন। প্রচলিত কাহিনীমতে তিনি পারস্য দেশের কিরমান শহর থেকে বাংলায় আগমন করেন। ছোট অবস্থায় তিনি স্বদেশ ত্যাগ করে ভারতবর্ষে আসেন। এখানে বিভিন্ন জায়গা পরিভ্রমণ করে পরিশেষে তিনি পাটনায় শাহ আরজানীর শিষ্য হন। মুর্শিদ (যিনি খুব সম্ভবত ১৬৩০ সালে মারা যান) তাঁকে বাংলায় গমনের নির্দেশ দেন। শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী বীরভূমে আসেন এবং খুস্তিগিরিতে বসবাস শুরু করেন।


উর্দুতে লেখা ''তাজকিরা-ই-আওলিয়া-ই-হিন্দ'' গ্রন্থে শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন কাহিনী পরিবেশন করা হয়। এ কাহিনী মতে, তিনি জন্মসূত্রে বাঙালি এবং আজমীরের শেখ মঈনউদ্দীন চিশতীর শিষ্য ছিলেন। উল্লিখিত এ দুটি বিবরণের কোনটি সত্য তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন, কেননা উভয় সূত্রই পরবর্তী সময়ের। তিনি যদি বাঙালিই হবেন তবে কিরমানী উপাধি কেন নিলেন তাও বোধগম্য নয়। বিপুল সংখ্যক লোক খুস্তিগিরিতে অবস্থিত শাহ আবদুল্লাহ কিরমানীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। সরিসৃপের ওপর বিশেষ ক্ষমতা ও প্রভাবের জন্য তিনি বিখ্যাত। অধুনা বীরভূম অঞ্চলে সাপ তাড়ানো ও সাপে কাটলে বিষ নামানোর জন্য শাহ আবদুল্লাহ কিরমানীর নাম মন্ত্রের সঙ্গে উচ্চারিত হয়।  [আবদুল করিম]
উর্দুতে লেখা ''তাজকিরা-ই-আওলিয়া-ই-হিন্দ'' গ্রন্থে শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন কাহিনী পরিবেশন করা হয়। এ কাহিনী মতে, তিনি জন্মসূত্রে বাঙালি এবং আজমীরের শেখ মঈনউদ্দীন চিশতীর শিষ্য ছিলেন। উল্লিখিত এ দুটি বিবরণের কোনটি সত্য তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন, কেননা উভয় সূত্রই পরবর্তী সময়ের। তিনি যদি বাঙালিই হবেন তবে কিরমানী উপাধি কেন নিলেন তাও বোধগম্য নয়। বিপুল সংখ্যক লোক খুস্তিগিরিতে অবস্থিত শাহ আবদুল্লাহ কিরমানীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। সরিসৃপের ওপর বিশেষ ক্ষমতা ও প্রভাবের জন্য তিনি বিখ্যাত। অধুনা বীরভূম অঞ্চলে সাপ তাড়ানো ও সাপে কাটলে বিষ নামানোর জন্য শাহ আবদুল্লাহ কিরমানীর নাম মন্ত্রের সঙ্গে উচ্চারিত হয়।  [আবদুল করিম]


[[en:Shah Abdullah Kirmani (R)]]
[[en:Shah Abdullah Kirmani (R)]]

১০:৪৫, ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী (রঃ) বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রাথমিক পর্বের প্রখ্যাত পীর-দরবেশদের অন্যতম। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বীরভূম জেলায় খুস্তিগিরি নামক স্থানে সমাহিত আছেন। প্রচলিত কাহিনীমতে তিনি পারস্য দেশের কিরমান শহর থেকে বাংলায় আগমন করেন। ছোট অবস্থায় তিনি স্বদেশ ত্যাগ করে ভারতবর্ষে আসেন। এখানে বিভিন্ন জায়গা পরিভ্রমণ করে পরিশেষে তিনি পাটনায় শাহ আরজানীর শিষ্য হন। মুর্শিদ (যিনি খুব সম্ভবত ১৬৩০ সালে মারা যান) তাঁকে বাংলায় গমনের নির্দেশ দেন। শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী বীরভূমে আসেন এবং খুস্তিগিরিতে বসবাস শুরু করেন।

উর্দুতে লেখা তাজকিরা-ই-আওলিয়া-ই-হিন্দ গ্রন্থে শাহ আবদুল্লাহ কিরমানী সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন কাহিনী পরিবেশন করা হয়। এ কাহিনী মতে, তিনি জন্মসূত্রে বাঙালি এবং আজমীরের শেখ মঈনউদ্দীন চিশতীর শিষ্য ছিলেন। উল্লিখিত এ দুটি বিবরণের কোনটি সত্য তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন, কেননা উভয় সূত্রই পরবর্তী সময়ের। তিনি যদি বাঙালিই হবেন তবে কিরমানী উপাধি কেন নিলেন তাও বোধগম্য নয়। বিপুল সংখ্যক লোক খুস্তিগিরিতে অবস্থিত শাহ আবদুল্লাহ কিরমানীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। সরিসৃপের ওপর বিশেষ ক্ষমতা ও প্রভাবের জন্য তিনি বিখ্যাত। অধুনা বীরভূম অঞ্চলে সাপ তাড়ানো ও সাপে কাটলে বিষ নামানোর জন্য শাহ আবদুল্লাহ কিরমানীর নাম মন্ত্রের সঙ্গে উচ্চারিত হয়।  [আবদুল করিম]