লতালু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''লতালু''' (Yam)  Dioscoreaceae গোত্রের Dioscorea গণের নানা প্রজাতির বৃহৎ, অর্ধ-বায়বীয়, নরম ও শর্করাসমৃদ্ধ মাংসল মূল বা কন্দ। প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৬০০, যাদের মাত্র ১১-১২টি উষ্ণমন্ডল ও উপ-উষ্ণমন্ডলে চাষাধীন। এগুলির মধ্যে সহজদৃষ্ট গুরানিয়া আলু (''Dioscorea alata''), ''D. rotunda, D. apposita, D. cayenansis'' এবং মৌ-আলু (D. esculanta)। এসব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য আফ্রিকা ও উষ্ণমন্ডলীয় আফ্রিকার লক্ষ লক্ষ লোকের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশে গুরানিয়া আলুর ফলনই সবচেয়ে বেশি, গাছপ্রতি প্রায় ৮ কেজি। শাঁস সাদা, হলদেটে, কখনও লালচে বা বেগুনি। মৌ-আলু আকারে ছোট, অধিক সুস্বাদু, কোথাও কোথাও চাষ আছে। এক বা একাধিক কুঁড়িসহ মূলের খন্ড কেটে এপ্রিল-মে মাসে চাষ হয়। বাংলাদেশে বসতবাড়ির আঙিনায় লতালুর চাষ হয়। সবজি হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে। বুনো প্রজাতির ব্যবহার পাহাড়ি অঞ্চলে সীমিত।  [মোস্তফা কামাল পাশা]
'''লতালু''' (Yam)  Dioscoreaceae গোত্রের Dioscorea গণের নানা প্রজাতির বৃহৎ, অর্ধ-বায়বীয়, নরম ও শর্করাসমৃদ্ধ মাংসল মূল বা কন্দ। প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৬০০, যাদের মাত্র ১১-১২টি উষ্ণমন্ডল ও উপ-উষ্ণমন্ডলে চাষাধীন। এগুলির মধ্যে সহজদৃষ্ট গুরানিয়া আলু (''Dioscorea alata''), ''D. rotunda'', ''D. apposita'', ''D. cayenansis'' এবং মৌ-আলু (''D. esculanta'')। এসব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য আফ্রিকা ও উষ্ণমন্ডলীয় আফ্রিকার লক্ষ লক্ষ লোকের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশে গুরানিয়া আলুর ফলনই সবচেয়ে বেশি, গাছপ্রতি প্রায় ৮ কেজি। শাঁস সাদা, হলদেটে, কখনও লালচে বা বেগুনি। মৌ-আলু আকারে ছোট, অধিক সুস্বাদু, কোথাও কোথাও চাষ আছে। এক বা একাধিক কুঁড়িসহ মূলের খন্ড কেটে এপ্রিল-মে মাসে চাষ হয়। বাংলাদেশে বসতবাড়ির আঙিনায় লতালুর চাষ হয়। সবজি হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে। বুনো প্রজাতির ব্যবহার পাহাড়ি অঞ্চলে সীমিত।  [মোস্তফা কামাল পাশা]


''আরও দেখুন'' কন্দাল ফসল।
''আরও দেখুন'' [[কন্দাল ফসল|কন্দাল ফসল]]।


[[en:Yam]]
[[en:Yam]]

১০:০৮, ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

লতালু (Yam)  Dioscoreaceae গোত্রের Dioscorea গণের নানা প্রজাতির বৃহৎ, অর্ধ-বায়বীয়, নরম ও শর্করাসমৃদ্ধ মাংসল মূল বা কন্দ। প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৬০০, যাদের মাত্র ১১-১২টি উষ্ণমন্ডল ও উপ-উষ্ণমন্ডলে চাষাধীন। এগুলির মধ্যে সহজদৃষ্ট গুরানিয়া আলু (Dioscorea alata), D. rotunda, D. apposita, D. cayenansis এবং মৌ-আলু (D. esculanta)। এসব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য আফ্রিকা ও উষ্ণমন্ডলীয় আফ্রিকার লক্ষ লক্ষ লোকের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশে গুরানিয়া আলুর ফলনই সবচেয়ে বেশি, গাছপ্রতি প্রায় ৮ কেজি। শাঁস সাদা, হলদেটে, কখনও লালচে বা বেগুনি। মৌ-আলু আকারে ছোট, অধিক সুস্বাদু, কোথাও কোথাও চাষ আছে। এক বা একাধিক কুঁড়িসহ মূলের খন্ড কেটে এপ্রিল-মে মাসে চাষ হয়। বাংলাদেশে বসতবাড়ির আঙিনায় লতালুর চাষ হয়। সবজি হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে। বুনো প্রজাতির ব্যবহার পাহাড়ি অঞ্চলে সীমিত।  [মোস্তফা কামাল পাশা]

আরও দেখুন কন্দাল ফসল