রূপসা-পসুর নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''রূপসা-পসুর নদী'''  বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি বৃহৎ শাখা নদী। নদীটি প্রকৃতপক্ষে রূপসা নদীরই বর্ধিত রূপ। খুলনা জেলার দক্ষিণে ভৈরব নদী বা রূপসা নদী আরও দক্ষিণে মংলা বন্দরের কাছে পসুর নামে প্রবাহিত হয়ে ত্রিকোণা ও দুবলা দ্বীপদুটির ডানদিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। মংলার দক্ষিণে পসুর নদী সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গড়াই নদীর অধিকাংশ প্রবাহ নবগঙ্গা নদীর মধ্য দিয়ে এই নদীতে প্রবাহিত হয়। বদ্বীপ অঞ্চলে আকারের দিক দিয়ে মেঘনার পর রূপসা-পসুরের স্থান। মংলা থেকে পসুর প্রায় ৩২ কিমি দক্ষিণে মংলা খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারপর প্রায় দক্ষিণাভিমুখে প্রবাহিত হয়ে মোহনার ৩২ কিমি উত্তরে শিবসার সঙ্গে মিলিত হয় এবং পসুর নামে সাগরে পতিত হয়। নদীটি খুব গভীর এবং সারা বছরই নাব্য থাকে বলে এর মধ্যে সামুদ্রিক জাহাজ প্রবেশ করতে পারে। এই নদীর তীরে মংলা সমুদ্রবন্দর অবস্থিত। নদীটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ, যে পথে খুলনা-বরিশাল স্টীমারসহ লঞ্চ ও বিভিন্ন নৌ-যান বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে। নদীটি রূপসায় প্রায় ৪৬০ মি, বাজুয়ানে প্রায় ৭৯০ মি এবং শিবসার সংযোগস্থলে প্রায় ২,৪৪০ মি প্রশস্থ। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১৪১ কিমি। রূপসা-পসুর ও এর শাখা-প্রশাখাগুলো সবই জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত। নদীটির অবস্থান ২১০.৭৫০ উ: ও অক্ষাংশে এবং ৮৯.৫০ দ্রাঘিমাংশে লক্ষ্য করা যায়।  [মাসুদ হাসান চৌধুরী]
'''রূপসা-পসুর নদী'''  বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি বৃহৎ শাখা নদী। নদীটি প্রকৃতপক্ষে রূপসা নদীরই বর্ধিত রূপ। খুলনা জেলার দক্ষিণে ভৈরব নদী বা রূপসা নদী আরও দক্ষিণে মংলা বন্দরের কাছে পসুর নামে প্রবাহিত হয়ে ত্রিকোণা ও দুবলা দ্বীপদুটির ডানদিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। মংলার দক্ষিণে পসুর নদী সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গড়াই নদীর অধিকাংশ প্রবাহ নবগঙ্গা নদীর মধ্য দিয়ে এই নদীতে প্রবাহিত হয়। বদ্বীপ অঞ্চলে আকারের দিক দিয়ে মেঘনার পর রূপসা-পসুরের স্থান। মংলা থেকে পসুর প্রায় ৩২ কিমি দক্ষিণে মংলা খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারপর প্রায় দক্ষিণাভিমুখে প্রবাহিত হয়ে মোহনার ৩২ কিমি উত্তরে শিবসার সঙ্গে মিলিত হয় এবং পসুর নামে সাগরে পতিত হয়। নদীটি খুব গভীর এবং সারা বছরই নাব্য থাকে বলে এর মধ্যে সামুদ্রিক জাহাজ প্রবেশ করতে পারে। এই নদীর তীরে মংলা সমুদ্রবন্দর অবস্থিত। নদীটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ, যে পথে খুলনা-বরিশাল স্টীমারসহ লঞ্চ ও বিভিন্ন নৌ-যান বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে। নদীটি রূপসায় প্রায় ৪৬০ মি, বাজুয়ানে প্রায় ৭৯০ মি এবং শিবসার সংযোগস্থলে প্রায় ২,৪৪০ মি প্রশস্থ। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১৪১ কিমি। রূপসা-পসুর ও এর শাখা-প্রশাখাগুলো সবই জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত। নদীটির অবস্থান ২১০.৭৫০ উ: ও অক্ষাংশে এবং ৮৯.৫০ দ্রাঘিমাংশে লক্ষ্য করা যায়।  [মাসুদ হাসান চৌধুরী]
''মানচিত্রের জন্য দেখুন''  [[গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী|গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী]]।


[[en:Rupsa-Pasur River]]
[[en:Rupsa-Pasur River]]

০৪:৪০, ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রূপসা-পসুর নদী  বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি বৃহৎ শাখা নদী। নদীটি প্রকৃতপক্ষে রূপসা নদীরই বর্ধিত রূপ। খুলনা জেলার দক্ষিণে ভৈরব নদী বা রূপসা নদী আরও দক্ষিণে মংলা বন্দরের কাছে পসুর নামে প্রবাহিত হয়ে ত্রিকোণা ও দুবলা দ্বীপদুটির ডানদিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। মংলার দক্ষিণে পসুর নদী সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গড়াই নদীর অধিকাংশ প্রবাহ নবগঙ্গা নদীর মধ্য দিয়ে এই নদীতে প্রবাহিত হয়। বদ্বীপ অঞ্চলে আকারের দিক দিয়ে মেঘনার পর রূপসা-পসুরের স্থান। মংলা থেকে পসুর প্রায় ৩২ কিমি দক্ষিণে মংলা খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারপর প্রায় দক্ষিণাভিমুখে প্রবাহিত হয়ে মোহনার ৩২ কিমি উত্তরে শিবসার সঙ্গে মিলিত হয় এবং পসুর নামে সাগরে পতিত হয়। নদীটি খুব গভীর এবং সারা বছরই নাব্য থাকে বলে এর মধ্যে সামুদ্রিক জাহাজ প্রবেশ করতে পারে। এই নদীর তীরে মংলা সমুদ্রবন্দর অবস্থিত। নদীটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ, যে পথে খুলনা-বরিশাল স্টীমারসহ লঞ্চ ও বিভিন্ন নৌ-যান বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে। নদীটি রূপসায় প্রায় ৪৬০ মি, বাজুয়ানে প্রায় ৭৯০ মি এবং শিবসার সংযোগস্থলে প্রায় ২,৪৪০ মি প্রশস্থ। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১৪১ কিমি। রূপসা-পসুর ও এর শাখা-প্রশাখাগুলো সবই জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত। নদীটির অবস্থান ২১০.৭৫০ উ: ও অক্ষাংশে এবং ৮৯.৫০ দ্রাঘিমাংশে লক্ষ্য করা যায়।  [মাসুদ হাসান চৌধুরী]

মানচিত্রের জন্য দেখুন গঙ্গা-পদ্মা নদীপ্রণালী