রায়, মন্মথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: tag)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''রায়, মন্মথ '''(১৮৯৯-১৯৮৮)  নাট্যকার। ১৮৯৯ সালের ১৬ জুন টাঙ্গাইল জেলার গালা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁদের স্থায়ী নিবাস ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের বালুর ঘাট। সেখানেই তাঁর বাল্যজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি পশ্চিম দিনাজপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক,  [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী কলেজ]] থেকে আইএ, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ (১৯২২) এবং  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। ১৯২৫ সালে বিএল পাস করে তিনি বালুর ঘাটে ওকালতি শুরু করেন এবং একই সঙ্গে সরকারি দায়িত্বও পালন করেন।
'''রায়, মন্মথ''' (১৮৯৯-১৯৮৮)  নাট্যকার। ১৮৯৯ সালের ১৬ জুন টাঙ্গাইল জেলার গালা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁদের স্থায়ী নিবাস ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের বালুর ঘাট। সেখানেই তাঁর বাল্যজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি পশ্চিম দিনাজপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক,  [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী কলেজ]] থেকে আইএ, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ (১৯২২) এবং  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। ১৯২৫ সালে বিএল পাস করে তিনি বালুর ঘাটে ওকালতি শুরু করেন এবং একই সঙ্গে সরকারি দায়িত্বও পালন করেন।


[[Image:RoyManmatha.jpg|thumb|400px|right|মন্মথ রায়]]
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মন্মথ রায় নাট্যচর্চাও করতেন। স্বদেশপ্রীতি তাঁর নাট্য রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য নাটকের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ। সেগুলির মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে মুক্তির ডাক (১৯২৩)। ১৯২৭ সালে পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত তাঁর প্রথম নাটক চাঁদ সওদাগর প্রকাশিত হয়। নাটকটি পৌরাণিক হলেও এতে আধুনিক জীবন-সমস্যা প্রতিফলিত হয়েছে। পরে তিনি মহুয়া (১৯২৯), কারাগার (১৯৩০) ও সাবিত্রী (১৯৩১) নাটকত্রয় লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মন্মথ রায় ধর্মঘট (১৯৫৩), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৯৫৮), অমৃত অতীত (১৯৬০), লালন ফকির (১৯৬৯) ইত্যাদি নাটক রচনা করেন। পাবলিক থিয়েটারে মঞ্চস্থ তাঁর নাটকগুলির মধ্যে অশোক (১৯৩৩), খনা (১৯৩৫), মীর কাশিম (১৯৩৮) ও জীবনটাই নাটক (১৯৫৩) উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালে তিনি রচনা করেন আমি মুজিব নই। তিনি বহু সংখ্যক একাঙ্ক নাটকও রচনা করেন। বাংলা ভাষায় যথার্থ একাঙ্ক নাটক রচনার কৃতিত্ব তাঁরই।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মন্মথ রায় নাট্যচর্চাও করতেন। স্বদেশপ্রীতি তাঁর নাট্য রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য নাটকের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ। সেগুলির মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে মুক্তির ডাক (১৯২৩)। ১৯২৭ সালে পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত তাঁর প্রথম নাটক চাঁদ সওদাগর প্রকাশিত হয়। নাটকটি পৌরাণিক হলেও এতে আধুনিক জীবন-সমস্যা প্রতিফলিত হয়েছে। পরে তিনি মহুয়া (১৯২৯), কারাগার (১৯৩০) ও সাবিত্রী (১৯৩১) নাটকত্রয় লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মন্মথ রায় ধর্মঘট (১৯৫৩), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৯৫৮), অমৃত অতীত (১৯৬০), লালন ফকির (১৯৬৯) ইত্যাদি নাটক রচনা করেন। পাবলিক থিয়েটারে মঞ্চস্থ তাঁর নাটকগুলির মধ্যে অশোক (১৯৩৩), খনা (১৯৩৫), মীর কাশিম (১৯৩৮) ও জীবনটাই নাটক (১৯৫৩) উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালে তিনি রচনা করেন আমি মুজিব নই। তিনি বহু সংখ্যক একাঙ্ক নাটকও রচনা করেন। বাংলা ভাষায় যথার্থ একাঙ্ক নাটক রচনার কৃতিত্ব তাঁরই।


মন্মথ রায় তাঁর নাটকের মধ্য দিয়ে সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি জনগণের ওপর ব্রিটিশ সরকারের নির্যাতনের কাহিনীও তুলে ধরেন। এ কারণে ১৯৩০ সালে সরকার তাঁর কারাগার নাটকটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারবিরোধী এরূপ বক্তব্য তাঁর অন্য কয়েকটি নাটকেও প্রকাশ পেয়েছে।
মন্মথ রায় তাঁর নাটকের মধ্য দিয়ে সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি জনগণের ওপর ব্রিটিশ সরকারের নির্যাতনের কাহিনীও তুলে ধরেন। এ কারণে ১৯৩০ সালে সরকার তাঁর কারাগার নাটকটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারবিরোধী এরূপ বক্তব্য তাঁর অন্য কয়েকটি নাটকেও প্রকাশ পেয়েছে।


১৯৪৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংসদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি ১৯৬১ সালে নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের রজতজয়ন্তী অধিবেশনের নাট্যশাখার এবং বিশ্বরূপা বঙ্গনাট্য সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৩ ও ১৯৭০ সালে তিনি''' '''কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা নাটক ও নাট্যবিষয়ে গিরিশ ঘোষ’ এবং ‘ডি.এল রায় মেমোরিয়াল’ লেকচার দেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ম্যাক্সিম গোর্কির জন্মশতবার্ষিকী উৎসবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।#
১৯৪৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংসদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি ১৯৬১ সালে নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের রজতজয়ন্তী অধিবেশনের নাট্যশাখার এবং বিশ্বরূপা বঙ্গনাট্য সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৩ ও ১৯৭০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা নাটক ও নাট্যবিষয়ে গিরিশ ঘোষ’ এবং ‘ডি.এল রায় মেমোরিয়াল’ লেকচার দেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ম্যাক্সিম গোর্কির জন্মশতবার্ষিকী উৎসবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।


[[Image:RoyManmatha.jpg]]
নাট্য রচনায় কৃতিত্বের জন্য মন্মথ ১৯৬৯ সালে সঙ্গীত নাটক একাডেমী, ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্টেট একাডেমী এবং ১৯৭২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুধাংশুবালা’ পুরস্কারে ভূষিত হন। এসব ব্যতীত তিনি ১৯৬৪ সালে বিশ্বরূপা পদক, ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কার ও উল্টোরথ শ্রেষ্ঠ নাট্য পুরস্কার এবং ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত নাটক চারুকলা আকাদেমিক পুরস্কার লাভ করেন।  [[স্টার থিয়েটার১|স্টার থিয়েটার]] তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। ১৯৭৯ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৮১ সালে নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবর্তিত সর্বোচ্চ নাট্য সম্মান ‘দীনবন্ধু পুরস্কার’-এর তিনিই প্রথম প্রাপক (১৯৮৪)। ১৯৮৮ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। [নাজমুল আহসান]
 
 
 
#মন্মথ রায়
 
নাট্য রচনায় কৃতিত্বের জন্য মন্মথ ১৯৬৯ সালে সঙ্গীত নাটক একাডেমী, ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্টেট একাডেমী এবং ১৯৭২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুধাংশুবালা’ পুরস্কারে ভূষিত হন। এসব ব্যতীত তিনি ১৯৬৪ সালে বিশ্বরূপা পদক, ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কার ও উল্টোরথ শ্রেষ্ঠ নাট্য পুরস্কার এবং ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত নাটক চারুকলা আকাদেমিক পুরস্কার লাভ করেন।  [[স্টার থিয়েটার১|স্টার থিয়েটার]] তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। ১৯৭৯ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৮১ সালে নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবর্তিত সর্বোচ্চ নাট্য সম্মান ‘দীনবন্ধু পুরস্কার’-এর তিনিই প্রথম প্রাপক (১৯৮৪)। ১৯৮৮ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
 
[নাজমুল আহসান]


[[en:Roy, Manmatha]]
[[en:Roy, Manmatha]]

০৭:০৬, ৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রায়, মন্মথ (১৮৯৯-১৯৮৮)  নাট্যকার। ১৮৯৯ সালের ১৬ জুন টাঙ্গাইল জেলার গালা গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁদের স্থায়ী নিবাস ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের বালুর ঘাট। সেখানেই তাঁর বাল্যজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি পশ্চিম দিনাজপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক,  রাজশাহী কলেজ থেকে আইএ, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ (১৯২২) এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। ১৯২৫ সালে বিএল পাস করে তিনি বালুর ঘাটে ওকালতি শুরু করেন এবং একই সঙ্গে সরকারি দায়িত্বও পালন করেন।

মন্মথ রায়

পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মন্মথ রায় নাট্যচর্চাও করতেন। স্বদেশপ্রীতি তাঁর নাট্য রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য নাটকের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ। সেগুলির মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে মুক্তির ডাক (১৯২৩)। ১৯২৭ সালে পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত তাঁর প্রথম নাটক চাঁদ সওদাগর প্রকাশিত হয়। নাটকটি পৌরাণিক হলেও এতে আধুনিক জীবন-সমস্যা প্রতিফলিত হয়েছে। পরে তিনি মহুয়া (১৯২৯), কারাগার (১৯৩০) ও সাবিত্রী (১৯৩১) নাটকত্রয় লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মন্মথ রায় ধর্মঘট (১৯৫৩), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৯৫৮), অমৃত অতীত (১৯৬০), লালন ফকির (১৯৬৯) ইত্যাদি নাটক রচনা করেন। পাবলিক থিয়েটারে মঞ্চস্থ তাঁর নাটকগুলির মধ্যে অশোক (১৯৩৩), খনা (১৯৩৫), মীর কাশিম (১৯৩৮) ও জীবনটাই নাটক (১৯৫৩) উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালে তিনি রচনা করেন আমি মুজিব নই। তিনি বহু সংখ্যক একাঙ্ক নাটকও রচনা করেন। বাংলা ভাষায় যথার্থ একাঙ্ক নাটক রচনার কৃতিত্ব তাঁরই।

মন্মথ রায় তাঁর নাটকের মধ্য দিয়ে সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি জনগণের ওপর ব্রিটিশ সরকারের নির্যাতনের কাহিনীও তুলে ধরেন। এ কারণে ১৯৩০ সালে সরকার তাঁর কারাগার নাটকটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারবিরোধী এরূপ বক্তব্য তাঁর অন্য কয়েকটি নাটকেও প্রকাশ পেয়েছে।

১৯৪৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংসদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি ১৯৬১ সালে নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের রজতজয়ন্তী অধিবেশনের নাট্যশাখার এবং বিশ্বরূপা বঙ্গনাট্য সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৩ ও ১৯৭০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা নাটক ও নাট্যবিষয়ে গিরিশ ঘোষ’ এবং ‘ডি.এল রায় মেমোরিয়াল’ লেকচার দেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ম্যাক্সিম গোর্কির জন্মশতবার্ষিকী উৎসবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।

নাট্য রচনায় কৃতিত্বের জন্য মন্মথ ১৯৬৯ সালে সঙ্গীত নাটক একাডেমী, ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্টেট একাডেমী এবং ১৯৭২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুধাংশুবালা’ পুরস্কারে ভূষিত হন। এসব ব্যতীত তিনি ১৯৬৪ সালে বিশ্বরূপা পদক, ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কার ও উল্টোরথ শ্রেষ্ঠ নাট্য পুরস্কার এবং ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত নাটক চারুকলা আকাদেমিক পুরস্কার লাভ করেন।  স্টার থিয়েটার তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। ১৯৭৯ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৮১ সালে নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবর্তিত সর্বোচ্চ নাট্য সম্মান ‘দীনবন্ধু পুরস্কার’-এর তিনিই প্রথম প্রাপক (১৯৮৪)। ১৯৮৮ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। [নাজমুল আহসান]