রঞ্জক উদ্ভিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''রঞ্জক উদ্ভিদ''' (Dye plant)  প্রাকৃতিক রং উৎপাদক গাছগাছড়া। এসব উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত রং কাপড়, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, কাগজ, কাঠ, পশম, ওষুধ, প্রসাধনী ইত্যাদিতে ব্যবহার্য। পৃথিবীতে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১৫০। বাংলাদেশে উদ্ভিজ্জ রঞ্জক প্রধানত তুলা, কৃত্রিম অাঁশ ও রেশমিবস্ত্র রং করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কাপড়ে ব্যবহার্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জকের উৎস খয়ের গাছ (Acacia catechu), বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত বৃক্ষ, দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যার চাষ হয়।
'''রঞ্জক উদ্ভিদ''' (Dye plant)  প্রাকৃতিক রং উৎপাদক গাছগাছড়া। এসব উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত রং কাপড়, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, কাগজ, কাঠ, পশম, ওষুধ, প্রসাধনী ইত্যাদিতে ব্যবহার্য। পৃথিবীতে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১৫০। বাংলাদেশে উদ্ভিজ্জ রঞ্জক প্রধানত তুলা, কৃত্রিম অাঁশ ও রেশমিবস্ত্র রং করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কাপড়ে ব্যবহার্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জকের উৎস খয়ের গাছ (Acacia catechu), বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত বৃক্ষ, দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যার চাষ হয়।


[[Image:DyePlant2.jpg|thumb|right|
[[Image:DyePlant2.jpg|thumb|right|400px|কয়েকটি রঞ্জক উদ্ভিদ]]
কয়েকটি রঞ্জক উদ্ভিদ]]
 
 
এ গাছের সারকাঠ (heartwood) থেকে সংগৃহীত রঞ্জক প্রধানত বাদামি, খাকি ও মেটে রং হিসেবে এবং ক্যানভাস, মাছ ধরার জাল ও দড়িতে রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার্য। মেহেদি গাছ (Lawsonia inermis) যোগায় জনপ্রিয় কমলা রং। এটি দিয়ে উৎসব অনুষ্ঠানে চুল, হাতের নখ ও তালু রাঙানো হয়। হলুদগাছের (Curcuma longa) কন্দ থেকে পাওয়া রঞ্জক রান্না ছাড়াও কাপড়, কার্পেট, ক্যালিকো প্রিন্টিং ও খাদ্যবস্ত্তর হলুদ রং হিসেবে ব্যবহূত হয়। কুসুম (Carthamus tinctorius) ফুলের হলুদ বা কমলা রং খাদ্যবস্ত্ত ও বস্ত্র রঞ্জনে ব্যবহার্য। অতি সাধারণ আরেকটি কমলা রং যোগায় শেফালী (Nyctanthes arbortristis) ফুলের বোঁটা। লটকনের (Bixa orellana) বীজ থেকে পাওয়া যায় খাদ্যবস্ত্ত, পশম, বার্নিশ ও সাবানে ব্যবহার উপযোগী রঞ্জক।  [মোস্তফা কামাল পাশা]
এ গাছের সারকাঠ (heartwood) থেকে সংগৃহীত রঞ্জক প্রধানত বাদামি, খাকি ও মেটে রং হিসেবে এবং ক্যানভাস, মাছ ধরার জাল ও দড়িতে রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার্য। মেহেদি গাছ (Lawsonia inermis) যোগায় জনপ্রিয় কমলা রং। এটি দিয়ে উৎসব অনুষ্ঠানে চুল, হাতের নখ ও তালু রাঙানো হয়। হলুদগাছের (Curcuma longa) কন্দ থেকে পাওয়া রঞ্জক রান্না ছাড়াও কাপড়, কার্পেট, ক্যালিকো প্রিন্টিং ও খাদ্যবস্ত্তর হলুদ রং হিসেবে ব্যবহূত হয়। কুসুম (Carthamus tinctorius) ফুলের হলুদ বা কমলা রং খাদ্যবস্ত্ত ও বস্ত্র রঞ্জনে ব্যবহার্য। অতি সাধারণ আরেকটি কমলা রং যোগায় শেফালী (Nyctanthes arbortristis) ফুলের বোঁটা। লটকনের (Bixa orellana) বীজ থেকে পাওয়া যায় খাদ্যবস্ত্ত, পশম, বার্নিশ ও সাবানে ব্যবহার উপযোগী রঞ্জক।  [মোস্তফা কামাল পাশা]


''আরও দেখুন'' লাক্ষা।
''আরও দেখুন'' [[লাক্ষা|লাক্ষা]]।


[[en:Dye Plant]]
[[en:Dye Plant]]

০৫:১০, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রঞ্জক উদ্ভিদ (Dye plant)  প্রাকৃতিক রং উৎপাদক গাছগাছড়া। এসব উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত রং কাপড়, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, কাগজ, কাঠ, পশম, ওষুধ, প্রসাধনী ইত্যাদিতে ব্যবহার্য। পৃথিবীতে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১৫০। বাংলাদেশে উদ্ভিজ্জ রঞ্জক প্রধানত তুলা, কৃত্রিম অাঁশ ও রেশমিবস্ত্র রং করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কাপড়ে ব্যবহার্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জকের উৎস খয়ের গাছ (Acacia catechu), বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত বৃক্ষ, দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যার চাষ হয়।

কয়েকটি রঞ্জক উদ্ভিদ

এ গাছের সারকাঠ (heartwood) থেকে সংগৃহীত রঞ্জক প্রধানত বাদামি, খাকি ও মেটে রং হিসেবে এবং ক্যানভাস, মাছ ধরার জাল ও দড়িতে রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার্য। মেহেদি গাছ (Lawsonia inermis) যোগায় জনপ্রিয় কমলা রং। এটি দিয়ে উৎসব অনুষ্ঠানে চুল, হাতের নখ ও তালু রাঙানো হয়। হলুদগাছের (Curcuma longa) কন্দ থেকে পাওয়া রঞ্জক রান্না ছাড়াও কাপড়, কার্পেট, ক্যালিকো প্রিন্টিং ও খাদ্যবস্ত্তর হলুদ রং হিসেবে ব্যবহূত হয়। কুসুম (Carthamus tinctorius) ফুলের হলুদ বা কমলা রং খাদ্যবস্ত্ত ও বস্ত্র রঞ্জনে ব্যবহার্য। অতি সাধারণ আরেকটি কমলা রং যোগায় শেফালী (Nyctanthes arbortristis) ফুলের বোঁটা। লটকনের (Bixa orellana) বীজ থেকে পাওয়া যায় খাদ্যবস্ত্ত, পশম, বার্নিশ ও সাবানে ব্যবহার উপযোগী রঞ্জক।  [মোস্তফা কামাল পাশা]

আরও দেখুন লাক্ষা