রংপুর জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''রংপুর জিলা স্কুল''' বৃহত্তর রংপুরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৩২ সালে রংপুর জমিদার স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। মুষ্টিমেয় নেতৃস্থানীয় জমিদার পরিবার এবং রংপুরের জেলা কালেক্টর নাথিয়াল স্মিথ স্কুলটির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন বড় লাট উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক স্কুলটি উদ্বোধন করেন। কুচবিহারের মহারাজা কর্তৃক দানকৃত একটি বড় দোতলা ভবনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কুন্ডীর জমিদার রাজমোহন রায়চৌধুরী (১৭৮৭-১৮৪৭) ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সচিব এবং কৃষ্ণনাথ রায় ছিলেন প্রথম প্রধান শিক্ষক। ১৮৫৭ সালে সরকার কর্তৃক অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় এবং এটিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।
'''রংপুর জিলা স্কুল''' বৃহত্তর রংপুরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৩২ সালে রংপুর জমিদার স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। মুষ্টিমেয় নেতৃস্থানীয় জমিদার পরিবার এবং রংপুরের জেলা কালেক্টর নাথিয়াল স্মিথ স্কুলটির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন বড় লাট উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক স্কুলটি উদ্বোধন করেন। কুচবিহারের মহারাজা কর্তৃক দানকৃত একটি বড় দোতলা ভবনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কুন্ডীর জমিদার রাজমোহন রায়চৌধুরী (১৭৮৭-১৮৪৭) ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সচিব এবং কৃষ্ণনাথ রায় ছিলেন প্রথম প্রধান শিক্ষক। ১৮৫৭ সালে সরকার কর্তৃক অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় এবং এটিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।


[[Image:RangpurZillaSchool.jpg|thumb|right|300px|রংপুর জিলা স্কুল]]
প্রতিটি জেলায় একটি করে জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮৬২ সালে স্কুলটি সরকার কর্তৃক অধিগৃহীত হয় এবং এর নতুন নাম দেওয়া হয় রংপুর জিলা স্কুল। সে সময়ে স্কুলটি ২,৬১৬ রুপি বার্ষিক অনুদান পেত।
প্রতিটি জেলায় একটি করে জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮৬২ সালে স্কুলটি সরকার কর্তৃক অধিগৃহীত হয় এবং এর নতুন নাম দেওয়া হয় রংপুর জিলা স্কুল। সে সময়ে স্কুলটি ২,৬১৬ রুপি বার্ষিক অনুদান পেত।


১৮৭০-১৮৭৪ সময়কালে স্কুলের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং নতুন ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ১৮৯৯ সালে মোট ছাত্রসংখ্যা ছিল ৩৬৭ জন। ১৯১৪ সালের মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৩টি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। #
১৮৭০-১৮৭৪ সময়কালে স্কুলের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং নতুন ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ১৮৯৯ সালে মোট ছাত্রসংখ্যা ছিল ৩৬৭ জন। ১৯১৪ সালের মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৩টি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৪ সাল থেকে জেলার জমিদারগণ মেধাবী ছাত্রদের জন্য দয়াল সিংহের নামানুসারে একটি রৌপ্য পদক এবং  ৮ ও ১০ রুপি হারে মাসিক বৃত্তির প্রবর্তন করেন।
 
[[Image:RangpurZillaSchool.jpg|thumb|right|রংপুর জিলা স্কুল]]
 
 
১৮৭৪ সাল থেকে জেলার জমিদারগণ মেধাবী ছাত্রদের জন্য দয়াল সিংহের নামানুসারে একটি রৌপ্য পদক এবং  ৮ ও ১০ রুপি হারে মাসিক বৃত্তির প্রবর্তন করেন।


১৯৯০ সাল থেকে স্কুলটিতে প্রভাতি এবং দিবা দুটি শিফটের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। বর্তমানে স্কুলটি বাংলার তৎকালীন বড় লাট স্যার অ্যাশলি ইডেন (১৮৭৭-৮২) কর্তৃক উদ্বোধনকৃত একটি বড় প্রশাসনিক ভবনসহ ১৫.৬৬ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে। স্কুলটিতে ১০,০০০ পুস্তকসম্বলিত একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এছাড়া একটি ডিবেটিং ক্লাব, একটি গণিত ক্লাব, একটি ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ৫টি বিজ্ঞানাগার এবং একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম রংপুর জিলা স্কুলকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।  [মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান]
১৯৯০ সাল থেকে স্কুলটিতে প্রভাতি এবং দিবা দুটি শিফটের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। বর্তমানে স্কুলটি বাংলার তৎকালীন বড় লাট স্যার অ্যাশলি ইডেন (১৮৭৭-৮২) কর্তৃক উদ্বোধনকৃত একটি বড় প্রশাসনিক ভবনসহ ১৫.৬৬ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে। স্কুলটিতে ১০,০০০ পুস্তকসম্বলিত একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এছাড়া একটি ডিবেটিং ক্লাব, একটি গণিত ক্লাব, একটি ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ৫টি বিজ্ঞানাগার এবং একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম রংপুর জিলা স্কুলকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।  [মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান]

০৪:৪৬, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রংপুর জিলা স্কুল বৃহত্তর রংপুরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৩২ সালে রংপুর জমিদার স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। মুষ্টিমেয় নেতৃস্থানীয় জমিদার পরিবার এবং রংপুরের জেলা কালেক্টর নাথিয়াল স্মিথ স্কুলটির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন বড় লাট উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক স্কুলটি উদ্বোধন করেন। কুচবিহারের মহারাজা কর্তৃক দানকৃত একটি বড় দোতলা ভবনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কুন্ডীর জমিদার রাজমোহন রায়চৌধুরী (১৭৮৭-১৮৪৭) ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সচিব এবং কৃষ্ণনাথ রায় ছিলেন প্রথম প্রধান শিক্ষক। ১৮৫৭ সালে সরকার কর্তৃক অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় এবং এটিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।

রংপুর জিলা স্কুল

প্রতিটি জেলায় একটি করে জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮৬২ সালে স্কুলটি সরকার কর্তৃক অধিগৃহীত হয় এবং এর নতুন নাম দেওয়া হয় রংপুর জিলা স্কুল। সে সময়ে স্কুলটি ২,৬১৬ রুপি বার্ষিক অনুদান পেত।

১৮৭০-১৮৭৪ সময়কালে স্কুলের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং নতুন ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ১৮৯৯ সালে মোট ছাত্রসংখ্যা ছিল ৩৬৭ জন। ১৯১৪ সালের মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৩টি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৪ সাল থেকে জেলার জমিদারগণ মেধাবী ছাত্রদের জন্য দয়াল সিংহের নামানুসারে একটি রৌপ্য পদক এবং  ৮ ও ১০ রুপি হারে মাসিক বৃত্তির প্রবর্তন করেন।

১৯৯০ সাল থেকে স্কুলটিতে প্রভাতি এবং দিবা দুটি শিফটের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। বর্তমানে স্কুলটি বাংলার তৎকালীন বড় লাট স্যার অ্যাশলি ইডেন (১৮৭৭-৮২) কর্তৃক উদ্বোধনকৃত একটি বড় প্রশাসনিক ভবনসহ ১৫.৬৬ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে। স্কুলটিতে ১০,০০০ পুস্তকসম্বলিত একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এছাড়া একটি ডিবেটিং ক্লাব, একটি গণিত ক্লাব, একটি ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ৫টি বিজ্ঞানাগার এবং একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম রংপুর জিলা স্কুলকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।  [মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান]