মৌলভীবাজার জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
(সংশোধন)
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''মৌলভীবাজার জেলা''' ([[সিলেট বিভাগ|সিলেট বিভাগ]])  আয়তন: ২৬০১.৮৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৮´ থেকে ২৪°২৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৬´ থেকে ৯২°১৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।। সীমানা: উত্তরে সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা।
'''মৌলভীবাজার জেলা''' ([[সিলেট বিভাগ|সিলেট বিভাগ]])  আয়তন: ২৭৯৯.৩৮  বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৮´ থেকে ২৪°২৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৬´ থেকে ৯২°১৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।। সীমানা: উত্তরে সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা।


''জনসংখ্যা'' ১৭৮০৭৯৭; পুরুষ ৯০৪৯১৮, মহিলা ৮৭৫৮৭৯। মুসলিম ১২৮১৭৭৩, হিন্দু ৪৮২৯৫২, বৌদ্ধ ১৪১৮৯, খ্রিস্টান ২৯ এবং অন্যান্য ৩০। উপজাতীয়দের মধ্যে মণিপুরী, খাসিয়া, ত্রিপুরা, হালাম উল্লেখযোগ্য।
''জনসংখ্যা'' ১৯১৯০৬২; পুরুষ ৯৪৪৭২৮, মহিলা ৯৭৪৩৩৪। মুসলিম ১৪২৫৭৮৬, হিন্দু ৪৭১৯৭৪, বৌদ্ধ ২২৫, খ্রিস্টান ১৫৩৫০ এবং অন্যান্য ৫৭২৭। উপজাতীয়দের মধ্যে মণিপুরী, খাসিয়া, ত্রিপুরা, হালাম উল্লেখযোগ্য।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: মনু, ধলাই, জুড়ী, লংলা। হাকালুকি, হাইল ও কাউয়াদিঘি হাওর উল্লেখযোগ্য।
''জলাশয়'' প্রধান নদী: মনু, ধলাই, জুড়ী, লংলা। হাকালুকি, হাইল ও কাউয়াদিঘি হাওর উল্লেখযোগ্য।
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
| শহর  || গ্রাম  
| শহর  || গ্রাম  
|-
|-
| ২৬০১.৮৪  || ৭ || ৫ || ৬৭ || ৯১৭ || ২১৩৪  || ১৫০৩০১  || ১৬৩০৪৯৬  || ৬২৫  || ৪২.৬৬
| ২৭৯৯.৩৮ || ৭ || ৫ || ৬৭ || ৯১৭ || ২০১৫ || ২০৮০৭৯ || ১৭১০৯৮৩ || ৬৮৬ || ৫১.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
| উপজেলার নাম  || আয়তন(বর্গ কিমি)  || পৌরসভা  || ইউনিয়ন  || মৌজা  || গ্রাম  || জনসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| উপজেলার নাম  || আয়তন(বর্গ কিমি)  || পৌরসভা  || ইউনিয়ন  || মৌজা  || গ্রাম  || জনসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| কমলগঞ্জ ৫৬ || ১১৯৯১২  || ১ || ৯ || ১১১  || ২৫১  || ২২৯৬৪৮  || ৪৭৩  || ৪০.৬৭
| কমলগঞ্জ ৫৬ || ৪৮৫.২৬ || ১ || ৯ || ১১৯ || ২৫৩ || ২৫৯১৩০ || ৫৩৪ || ৪৮.
|-
|-
| কুলাউড়া ৬৫ || ১৬৭৮৪৭  || ১ || ১৩ || ১২১  || ৪৭০  || ৩৯৫৮৭৮  || ৭০৯  || ৫১.০৮
| কুলাউড়া ৬৫ || ৫৪৫.৭৩ || ১ || ১৩ || ১২৮ || ৪৪৭ || ৩৬০১৯৫ || ৬৬০ || ৫১.
|-
|-
| জুড়ী  || ৫৮৯২০  || - || ৮  || ৯২  || ১৪৪  || ১৬৮৪২৩  || ৭০৬  || ৩৯.৭৯
| জুড়ী  || ১৮৬.৩০ || - || || ৭১ || ১৪২ || ১৪৮৯৫৮ || ৮০০ || ৫২.
|-
|-
| মৌলভীবাজার সদর ৭৪ || ৮৫০৮৫  || ১ || ১২ || ১৯২  || ৪৩৪  || ২৮১৫৯৩  || ৮১৮  || ৪৮.
| মৌলভীবাজার সদর ৭৪ || ৩৪৪.৩২ || ১ || ১২ || ২০২ || ৪২৯ || ৩৪২৪৬৮ || ৯৯৫ || ৫৪.
|-
|-
| বড়লেখা ১৪ || ১২৩৯৫৮  || ১ || ১০ || ১৫০  || ৩২৫  || ২৩৩৭২০  || ৪৮০  || ৪২.৬৯
| বড়লেখা ১৪ || ৪৪৮.৮৬ || ১ || ১০ || ১৪০ || ২৬৯ || ২৫৭৬২০ || ৫৭৪ || ৫২.
|-
|-
| রাজনগর ৮০ || ৮৩৫৬০  || - || ৮ || ১৪২  || ২৫৯  || ১৯৩৩০৩  || ৫৭২  || ৩৬.
| রাজনগর ৮০ || ৩৩৮.১৫ || - || ৮ || ১৪৭ || ২৬৭ || ২৩২৬৬৬ || ৬৮৮ || ৪৮.
|-
|-
| শ্রীমঙ্গল ৮৩ || ১১১৭৯  || ১ || ৯ || ১০৯  || ২০৭  || ২৭৮২৩২  || ৬১৭  || ৩৯.৫৭
| শ্রীমঙ্গল ৮৩ || ৪৫০.৭৩ || ১ || ৯ || ১১০ || ২০৮ || ৩১৮০২৫ || ৭০৬ || ৪৮.
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:MaulvibazarDistrict.jpg|thumb|right|400px]]
[[Image:MaulvibazarDistrict.jpg|thumb|right|400px]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ জেলা ৪ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ২৭ মার্চ মৌলভীবাজার সদরের শ্রীরাইনগর গ্রামে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। সেখানে জনগণের এক মিছিলে পাকবাহিনী হঠাৎ আক্রমণ করলে দু’জন নিহত হন। মনুমুখ, কামালপুর ও শেরপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়। ২৭ মার্চ বড়লেখা উপজেলায় সূচিত হয় প্রতিরোধ এবং ৬ মে পর্যন্ত শত্রু মুক্ত ছিল। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। ২৯ মার্চ কমলগঞ্জ উপজেলায় ইপিআর জওয়ান ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত প্রতিরোধে বহু পাকসেনা নিহত হয়। ৩০ এপ্রিল পাকবাহিনী শ্রীমঙ্গলে প্রবেশ করে হত্যা, লুণ্ঠন, নারী নির্যাতন এবং অগ্নিসংযোগ করে। ৭ মে রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে পাকবাহিনী ৫৯ জনকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। পাকবাহিনী মুন্সিবাজারের ধরবাড়ি ও শাহাজীবাড়ির ১৫ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। ১৪ মে পাকবাহিনী উত্তর ভাগ, চাটুরা, মহলাল, পঞ্চেশ্বর ও রাজনগরে গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ করে। পাকবাহিনীর সঙ্গে এক মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২ ও ৩ ডিসেম্বর কুলাউড়া উপজেলার ফুলতলা, সাগরনাল ও কাপনাপাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াই সংঘটিত হয়। ৪ ডিসেম্বর ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা রাজনগর উপজেলার উদনা চা বাগানে অবস্থিত পাকবাহিনী ক্যাম্প দখল করে। বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান কমলগঞ্জের সীমান্ত এলাকার আমবাসা গ্রামে শহীদ হন। পাকবাহিনী কুলাউড়া হাসপাতাল ও নবীনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে। এসময় পাকবাহিনী কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোককে হত্যা করে। জুড়ী উপজেলার আওতাধীন এলাকায় শহরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের নিয়ন্ত্রনাধীন বিভিন্ন চা কারখানায় হামলা চালায় এবং কালভার্ট ও ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। ৪ ডিসেম্বর জুড়ি শত্রুমুক্ত হয়। ৬ ডিসেম্বর বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' বধ্যভূমি: ৬, গণকবর: ৯, স্মৃতিস্তম্ভ: ৭।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' খোয়াজা মসজিদ (বড়লেখা উপজেলার লঘাটি গ্রামে), মাধব মন্দির (মাধবকুণ্ড), কুলাউড়া উপজেলার রঙ্গীরকুল বিদ্যাশ্রম, পৃথ্বিম পাশার নবাব বাড়ি (অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগ), মজলিশ আলম নির্মিত গয়ঘরের খোজার মসজিদ (চতুর্দশ শতাব্দী), অজ্ঞান ঠাকুরের মন্দির, নির্মাই শিববাড়ি (১৪৫৪)। ফিরোজ শাহ তুঘলকের আমলের (১৩০৩ খ্রি) ফারসি লিপি, অনন্ত নারায়ণ দেবতার বিগ্রহ (বর্তমানে কলকাতা জাদুঘরে সংরক্ষিত)।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪২.৬৬%; পুরুষ ৪৫.৬%, মহিলা ৩৮.৫%। কলেজ ২৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০৩, সমবায় ইনস্টিটিউট ১, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ১, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ১, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ইনস্টিটিউট ১, প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, অন্ধগুকল্যাণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, মাদ্রাসা ১০৮। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ (১৯৫৬), মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৮৫), আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ (২০০০), শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ, রাজনগর ডিগ্রি কলেজ (১৯৭৩), মৌলানা  মুফাজ্জল হোসেন মহিলা কলেজ (১৯৯৪), তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমী ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), জগৎসী গোপাল কৃষ্ণ এম সাইফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ (১৯১৫), মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯১), রাজনগর পোর্টিয়াস উচ্চবিদ্যালয় (১৮৯৩), কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৫), দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৬), কাশীনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), বিটি আর আই হাইস্কুল এন্ড কলেজ, দি বাড্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), শমসেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), আলী আমজাদ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৩২), এমএ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৩), কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৪), তেঁতইগাঁও রশিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৪), দয়াময়সিংহ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), হাজী উস্তওয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৮৩), আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৫), জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), সুজা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), একাসন্তোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮০), ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮২), চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৪), বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩০), চন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৪), শমসেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৪৬), রানীরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৫৩), রাজদিঘিরপার প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭২), তেঁতইগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭৮), উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘড়গাঁও হেদায়েতুল ইসলাম টাইটেল মাদ্রাসা (১৯২৬), নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫৮), রাজনগর ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৭৩), দারুল উলুম মাদ্রাসা।
''ঐতিহাসিক ঘটনা'' ১৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে জেলার রাজনগরে আফগান দলপতি খাজা ওসমান সামন্ত রাজা সুবিধ নারায়ণের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহকালে চট্ট্রগামের ট্রেজারি লুট করে প্রায় ৩০০ সিপাহি পৃথ্বিম পাশার জমিদার গউসআলী খাঁর নিকট আশ্রয় নেয়।  ১৯২১ সালে মৌলভীবাজারে খেলাফত সম্মেলনে সর্বভারতীয় নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মাওলানা হোসেন আহমদ মদনী, সরোজিনী নাইডু প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কুলাউড়ার রঙ্গীরকুলে পূর্ণেন্দু কিশোর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে গড়ে উঠে বিদ্যাশ্রম। এছাড়া ১৯৩১-৩২ সালের নানকার বিদ্রোহ, ১৯৬৮-৬৯ এর হাওর করাইয়ার কৃষক আন্দোলন উল্লেখযোগ্য। জমিদারি অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জের ভানুবিল এলাকার পঞ্চানন সিংহ, কাসেম আলী, বৈকুণ্ঠ শর্মা, থেম্বা সিংহ প্রমুখের নেতৃত্বে বাংলা ১৩০৭ সালে ভানুবিল প্রজাবিদ্রোহ সংঘটিত হয়।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৪০.৩৭%, অকৃষি শ্রমিক ১৩.১৩%, শিল্প ১.৬৩%, ব্যবসা ১১.২৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২০%, চাকরি ৬.৬২%, নির্মাণ ১.৪৪%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৭১% এবং অন্যান্য ১৮.২১%।
''মুক্তিযুদ্ধ'' মহান মুক্তিযুদ্ধে শমসের নগর, শেরপুর, ইত্যাদি স্থানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এবং বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান কমলগঞ্জের সীমান্ত এলাকার আমবাসা গ্রামে শহীদ হন। মৌলভীবাজার জেলায় অন্যান্য যেসব স্থানে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয় সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মুনমুখ, কালামপুর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, ফুলতলা, সাগরনাল, কাপনা, শাহবাজপুর, উদনা চা বাগান প্রভৃতি। জেলায় ৬টি বধ্যভূমি ও ৯টি গণকবর রয়েছে; ৭টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।


''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: মৌলভীবাজার বার্তা, বাংলার দিন, খোলা চিঠি; সাপ্তাহিক: পাতাকুঁড়ির দেশ, মনু বার্তা, জনপ্রত্যাশা, মুক্তকথা, মানব ঠিকানা, হেফাজতে ইসলাম, মৌলভীবাজার দর্পণ, আল ইনসান, শ্রীমঙ্গলের চিঠি, শ্রী বাণী, পূবালী বার্তা, শ্রী ভূমি, জয় বার্তা, কুলাউড়ার ডাক, রাজকণ্ঠ; পাক্ষিক: সিলেট টু ডে, বহ্নি শিখা; মাসিক: দূর দিগন্ত, শ্রী গৌরবাণী। অবলুপ্ত: মাসিক তবলিগুল ইসলাম ও তানজিমুল মুসলিমিন (১৯২৪), শ্রীহট্ট ভ্রমণ-পরিদর্শন (১৯৩০), সাপ্তাহিক অভিযান (১৯৩৫), মাসিক খ্রিস্টান জগৎ (১৯৩৫), ত্রৈমাসিক ব্রতী (১৯৩৬), সাপ্তাহিক নকিব (১৯৩৭), বার্ষিক আবাহনী (১৯৩৯), সাপ্তাহিক অগ্রদূত (১৯৬০), মাসিক বন্যা (১৯৭০), সাপ্তাহিক বিপ্লবী বাংলা (১৯৭২), সাপ্তাহিক মুক্তবার্তা (১৯৭২), সাপ্তাহিক ফরিয়াদ (১৯৮৭)।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৯৭০, মন্দির ৪১৯, গির্জা ১৬, তীর্থস্থান ২, মাযার ১৬। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: পশ্চিম বাজার জামে মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, হযরত শাহ মোস্তফার (রঃ) মাযার, খোয়াজ মসজিদ (গয়গড়), হযরত শাহ কামালের (র:) মাযার (কুলাউড়া), শ্রীশ্রী পুরাতন কালীবাড়ি ও শ্রীশ্রী দূর্গাবাড়ি (পশ্চিম বাজার), নতুন কালীবাড়ি (চৌমুহনা), সার্বজনীন শিব মন্দির (পালিতকোনা, বৃন্দাবনপুর), ঠাকুরবাণীর আশ্রম (হরিশ্মরণ)।


''লোকসংস্কৃতি''  রাসনৃত্য, খাম্বা-থোইবি, লাই-হারাওবা, থাবল-চংবা, মৃদঙ্গনৃত্য, দোল-উৎসব, বিষু-উৎসব, করমপূজা, কাঠি-নৃত্য, ঝুমুর নৃত্য, শব্দকর সম্প্রদায়ের চড়ক-নৃত্য, প্রবাদ, পই, ডিটান, ধাঁধা, প্রবচন, ডাক, গীত, বিয়ের গান, ধামাইল গান, বাউল গান, সারি গান, বাউলা গান, লাচাড়ি, বান্ধা গান, বারোমাসি, মালজোড়া গান, বিচ্ছেদের গান ইত্যাদি।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান''  গড় হার ৫১.১ %; পুরুষ ৫২.৭%, মহিলা ৪৯.৫%। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কলেজ ২৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০৩, মাদ্রাসা ১০৮, সমবায় ইনস্টিটিউট ১, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ১, ভকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ১, উদ্যান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১, প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, অন্ধ শিক্ষা প্রকল্প ১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ (১৯৫৬), মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৮৫), আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ (২০০০), শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ, রাজনগর ডিগ্রি কলেজ (১৯৭৩), মৌলানা  মুফাজ্জল হোসেন মহিলা কলেজ (১৯৯৪), জগৎসী গোপাল কৃষ্ণ এম সাইফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ (১৯১৫), মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯১), রাজনগর পোর্টিয়াস উচ্চবিদ্যালয় (১৮৯৩), কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৫), দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৬), কাশীনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), বিটি আর আই হাইস্কুল এন্ড কলেজ, দি বাড্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), শমসেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), আলী আমজাদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (১৯৩২), এমএ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৩), কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৪), তেঁতইগাঁও রশিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৪), দয়াময়সিংহ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), হাজী উস্তওয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৮৩), আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৫), সুজা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), একাসন্তোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮০), ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮২), চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৪), বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩০), চন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৪), শমসেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৪৬), রানীরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৫৩), রাজদিঘিরপার প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭২), তেঁতইগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭৮), উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘড়গাঁও হেদায়েতুল ইসলাম টাইটেল মাদ্রাসা (১৯২৬), নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫৮), রাজনগর ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৭৩), তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমী ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), দারুল উলুম মাদ্রাসা।
 
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী''  দৈনিক: মৌলভীবাজার বার্তা, বাংলার দিন, খোলা চিঠি; সাপ্তাহিক: পাতাকুঁড়ির দেশ, মনু বার্তা, জনপ্রত্যাশা, মুক্তকথা, মানব ঠিকানা, হেফাজতে ইসলাম, মৌলভীবাজার দর্পণ, আল ইনসান, শ্রীমঙ্গলের চিঠি, শ্রী বাণী, পূবালী বার্তা, শ্রী ভূমি, জয় বার্তা, কুলাউড়ার ডাক, রাজকণ্ঠ; পাক্ষিক: সিলেট টু ডে, বহ্নি শিখা; মাসিক: দূর দিগন্ত, শ্রী গৌরবাণী। অবলুপ্ত: মাসিক তবলিগুল ইসলাম ও তানজিমুল মুসলিমিন (১৯২৪), শ্রীহট্ট ভ্রমণ-পরিদর্শন (১৯৩০), সাপ্তাহিক অভিযান (১৯৩৫), মাসিক খ্রিষ্টান জগৎ (১৯৩৫), ত্রৈমাসিক ব্রতী (১৯৩৬), সাপ্তাহিক নকিব (১৯৩৭), বার্ষিক আবাহনী (১৯৩৯), সাপ্তাহিক অগ্রদূত (১৯৬০), মাসিক বন্যা (১৯৭০), সাপ্তাহিক বিপ্ল¬বী বাংলা (১৯৭২), সাপ্তাহিক মুক্তবার্তা (১৯৭২), সাপ্তাহিক ফরিয়াদ (১৯৮৭)।
 
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান''  ক্লাব ২৫৬, সিনেমা হল ৯, লাইব্রেরি ৯, কমিউনিটি সেন্টার ২৫, যাত্রাপার্টি ৪, সমাজকল্যাণ সংগঠন ২৩৭, শিশু সদন ১৮, শিশু একাডেমী ১, শিল্পকলা একাডেমী ১।
 
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস''  কৃষি ৪০.৩৭%, অকৃষি শ্রমিক ১৩.১৩%, শিল্প ১.৬৩%, ব্যবসা ১১.২৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২০%, চাকরি ৬.৬২%, নির্মাণ ১.৪৪%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৭১% এবং অন্যান্য ১৮.২১%।
 
''প্রধান কৃষি ফসল''  আউশ, আমন ও বোরো ধান; কচু, তিল, চা, রাবার, পান, মরিচ, সুপারি।
 
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি''  স্থানীয় জাতের ধান, কাউন, তিসি, চিনা, অড়হর, মিষ্টি আলু, পাট।
 
''প্রধান ফল-ফলাদি''  কাঁঠাল, আনারস, লিচু, লেবু, কমলা, বাতাবি লেবু, সাতকড়া, কামরাঙ্গা।
 
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার''  গবাদিপশু ১৩০, হাঁস-মুরগি ২০০, মৎস্য ১৬০।
 
''যোগাযোগ বিশেষত্ব''  পাকারাস্তা ১০২৫.৫২ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৬১.৯৩ কিমি, কাঁচা রাস্তা ২৬৭৫.১৮ কিমি; রেলওয়ে জংশন ১, রেল স্টেশন ১৮, বিমানবন্দর ১ (শমসের নগর, বর্তমানে পরিত্যক্ত); নদীবন্দর ১ (শেরপুর)।
 
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন''  পাল্কি, গরুর গাড়ি।
 
''শিল্প ও কলকারখানা''  দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ৯২টি এ জেলায় অবস্থিত। দেশের মোট উৎপাদনের ৬৪% চা এখানে উৎপন্ন হয়।
 
''কুটিরশিল্প''  আগরশিল্প, আতরশিল্প, মণিপুরী তাঁত, বাঁশ ও বেতের কাজ, শীতল পাটি প্রভৃতি।
 
''খনিজ সম্পদ''  মৌলভীবাজার ও পাথারিয়া এলাকায় কয়লা, লিগনাইট, প্রচুর কাঁচ বালি পাওয়া যায়। তেল ও গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
 
''হাটবাজার, মেলা''  হাটবাজার ১৬৫, মেলা ১১। হাটবাজার : শেরপুর, দীঘিরপার বাজার, টেংরাবাজার, মুনশিবাজার, ভৈরব বাজার, সরকার বাজার, ভানুগাছ, রাজদীঘিরপার বাজার, শমশেরনগর, ব্রাহ্মণ বাজার, রবির বাজার, বরমচাল, ভবানিগঞ্জ, কামিনীগঞ্জ, শাহবাজপুর, চান্দগ্রাম, দাশের বাজার, দক্ষিণভাগ ইত্যাদি। মেলা : সৈয়দ শাহ মোস্তফার (রঃ) মেলা, শেরপুরের মাছমেলা, রাসমেলা, কালভৈরবের মেলা, নির্ম্মাই শিববাড়ির মেলা, বাগিরপারের পৌষমেলা, পালিতকোনা রাজদীঘিরপার চড়ক মেলা, ছয়চিরির চড়ক মেলা উল্লেখযোগ্য।
 
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  চা, শাকসবজি, সাতকড়া, লেবু, নাগা মরিচ, কাঁচ বালি।
 
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র''  জেলা সদর হাসপাতাল ১, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৪, ইউনিয়ন পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২০, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩৮, মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ৫০-শয্যা হাসপাতাল ১, টিবি ক্লিনিক ১, চক্ষু হাসপাতাল ১, মিশন হাসপাতাল ৪, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১, পুলিশ হাসপাতাল ১, আন্ডার ফাইভ ক্লিনিক ১, জেল হাসপাতাল ১, দাতব্য চিকিৎসালয় ৯।
 
''এনজিও''  কেয়ার, ব্র্যাক, আশা, কারিতাস, উন্নয়ন সহায়ক সংস্থা (উসস), এফআইভিডিবি, সহায়তা, আউস, জনকল্যাণ কেন্দ্র। [শাহ আবদুল ওদুদ]


''দর্শনীয় স্থান'' মাধবকুন্ড জলপ্রপাত (বড়লেখা), মাধবপুর লেক, পরীকুন্ড, মনু ব্যারেজ, হাকালুকি হাওর (কমলগঞ্জ), মুরাইছড়া ইকোপার্ক, রাবার বাগান ও টিলা (কুলাউড়া), বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, চা বাগান ও মনু ব্যারেজ (মৌলভীবাজার সদর), লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, ভাড়াউড়া লেক, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি ও গ্যাসকূপ, ডেনস্টন সিমেট্রি (শ্রীমঙ্গল)।  [শাহ আবদুল ওদুদ]


''আরও দেখুন'' সংশ্লিষ্ট উপজেলা।
''আরও দেখুন'' সংশ্লিষ্ট উপজেলা।


'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মৌলভীবাজার জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭, মৌলভীবাজার জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মৌলভীবাজার জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭, মৌলভীবাজার জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Maulvibazar District]]
[[en:Maulvibazar District]]

০৩:৪৯, ২৯ মে ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মৌলভীবাজার জেলা (সিলেট বিভাগ)  আয়তন: ২৭৯৯.৩৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৮´ থেকে ২৪°২৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৬´ থেকে ৯২°১৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।। সীমানা: উত্তরে সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা।

জনসংখ্যা ১৯১৯০৬২; পুরুষ ৯৪৪৭২৮, মহিলা ৯৭৪৩৩৪। মুসলিম ১৪২৫৭৮৬, হিন্দু ৪৭১৯৭৪, বৌদ্ধ ২২৫, খ্রিস্টান ১৫৩৫০ এবং অন্যান্য ৫৭২৭। উপজাতীয়দের মধ্যে মণিপুরী, খাসিয়া, ত্রিপুরা, হালাম উল্লেখযোগ্য।

জলাশয় প্রধান নদী: মনু, ধলাই, জুড়ী, লংলা। হাকালুকি, হাইল ও কাউয়াদিঘি হাওর উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন মৌলভীবাজার মহকুমা গঠিত হয় ১৯৬০ সালে এবং মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে। পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৩০ সালে।

জেলা
আয়তন (বর্গ কিমি) উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম
২৭৯৯.৩৮ ৬৭ ৯১৭ ২০১৫ ২০৮০৭৯ ১৭১০৯৮৩ ৬৮৬ ৫১.১
জেলার অন্যান্য তথ্য
উপজেলার নাম আয়তন(বর্গ কিমি) পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
কমলগঞ্জ ৫৬ ৪৮৫.২৬ ১১৯ ২৫৩ ২৫৯১৩০ ৫৩৪ ৪৮.৬
কুলাউড়া ৬৫ ৫৪৫.৭৩ ১৩ ১২৮ ৪৪৭ ৩৬০১৯৫ ৬৬০ ৫১.৯
জুড়ী ১৮৬.৩০ - ৭১ ১৪২ ১৪৮৯৫৮ ৮০০ ৫২.৩
মৌলভীবাজার সদর ৭৪ ৩৪৪.৩২ ১২ ২০২ ৪২৯ ৩৪২৪৬৮ ৯৯৫ ৫৪.৯
বড়লেখা ১৪ ৪৪৮.৮৬ ১০ ১৪০ ২৬৯ ২৫৭৬২০ ৫৭৪ ৫২.৪
রাজনগর ৮০ ৩৩৮.১৫ - ১৪৭ ২৬৭ ২৩২৬৬৬ ৬৮৮ ৪৮.৬
শ্রীমঙ্গল ৮৩ ৪৫০.৭৩ ১১০ ২০৮ ৩১৮০২৫ ৭০৬ ৪৮.৩

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ খোয়াজা মসজিদ (বড়লেখা উপজেলার লঘাটি গ্রামে), মাধব মন্দির (মাধবকুণ্ড), কুলাউড়া উপজেলার রঙ্গীরকুল বিদ্যাশ্রম, পৃথ্বিম পাশার নবাব বাড়ি (অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগ), মজলিশ আলম নির্মিত গয়ঘরের খোজার মসজিদ (চতুর্দশ শতাব্দী), অজ্ঞান ঠাকুরের মন্দির, নির্মাই শিববাড়ি (১৪৫৪)। ফিরোজ শাহ তুঘলকের আমলের (১৩০৩ খ্রি) ফারসি লিপি, অনন্ত নারায়ণ দেবতার বিগ্রহ (বর্তমানে কলকাতা জাদুঘরে সংরক্ষিত)।

ঐতিহাসিক ঘটনা ১৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে জেলার রাজনগরে আফগান দলপতি খাজা ওসমান ও সামন্ত রাজা সুবিধ নারায়ণের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহকালে চট্ট্রগামের ট্রেজারি লুট করে প্রায় ৩০০ সিপাহি পৃথ্বিম পাশার জমিদার গউসআলী খাঁর নিকট আশ্রয় নেয়। ১৯২১ সালে মৌলভীবাজারে খেলাফত সম্মেলনে সর্বভারতীয় নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মাওলানা হোসেন আহমদ মদনী, সরোজিনী নাইডু প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কুলাউড়ার রঙ্গীরকুলে পূর্ণেন্দু কিশোর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে গড়ে উঠে বিদ্যাশ্রম। এছাড়া ১৯৩১-৩২ সালের নানকার বিদ্রোহ, ১৯৬৮-৬৯ এর হাওর করাইয়ার কৃষক আন্দোলন উল্লেখযোগ্য। জমিদারি অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জের ভানুবিল এলাকার পঞ্চানন সিংহ, কাসেম আলী, বৈকুণ্ঠ শর্মা, থেম্বা সিংহ প্রমুখের নেতৃত্বে বাংলা ১৩০৭ সালে ভানুবিল প্রজাবিদ্রোহ সংঘটিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ মহান মুক্তিযুদ্ধে শমসের নগর, শেরপুর, ইত্যাদি স্থানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এবং বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান কমলগঞ্জের সীমান্ত এলাকার আমবাসা গ্রামে শহীদ হন। মৌলভীবাজার জেলায় অন্যান্য যেসব স্থানে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয় সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মুনমুখ, কালামপুর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, ফুলতলা, সাগরনাল, কাপনা, শাহবাজপুর, উদনা চা বাগান প্রভৃতি। জেলায় ৬টি বধ্যভূমি ও ৯টি গণকবর রয়েছে; ৭টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৯৭০, মন্দির ৪১৯, গির্জা ১৬, তীর্থস্থান ২, মাযার ১৬। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: পশ্চিম বাজার জামে মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, হযরত শাহ মোস্তফার (রঃ) মাযার, খোয়াজ মসজিদ (গয়গড়), হযরত শাহ কামালের (র:) মাযার (কুলাউড়া), শ্রীশ্রী পুরাতন কালীবাড়ি ও শ্রীশ্রী দূর্গাবাড়ি (পশ্চিম বাজার), নতুন কালীবাড়ি (চৌমুহনা), সার্বজনীন শিব মন্দির (পালিতকোনা, বৃন্দাবনপুর), ঠাকুরবাণীর আশ্রম (হরিশ্মরণ)।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫১.১ %; পুরুষ ৫২.৭%, মহিলা ৪৯.৫%। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কলেজ ২৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০৩, মাদ্রাসা ১০৮, সমবায় ইনস্টিটিউট ১, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ১, ভকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ১, উদ্যান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১, প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ১, অন্ধ শিক্ষা প্রকল্প ১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ (১৯৫৬), মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৮৫), আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ (২০০০), শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ, রাজনগর ডিগ্রি কলেজ (১৯৭৩), মৌলানা মুফাজ্জল হোসেন মহিলা কলেজ (১৯৯৪), জগৎসী গোপাল কৃষ্ণ এম সাইফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ (১৯১৫), মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯১), রাজনগর পোর্টিয়াস উচ্চবিদ্যালয় (১৮৯৩), কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৫), দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৬), কাশীনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), বিটি আর আই হাইস্কুল এন্ড কলেজ, দি বাড্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), শমসেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), আলী আমজাদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (১৯৩২), এমএ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৩), কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৪), তেঁতইগাঁও রশিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৪), দয়াময়সিংহ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), হাজী উস্তওয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৮৩), আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৫), সুজা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), একাসন্তোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮০), ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮২), চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৪), বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩০), চন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৪), শমসেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৪৬), রানীরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৫৩), রাজদিঘিরপার প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭২), তেঁতইগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭৮), উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘড়গাঁও হেদায়েতুল ইসলাম টাইটেল মাদ্রাসা (১৯২৬), নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫৮), রাজনগর ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৭৩), তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমী ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), দারুল উলুম মাদ্রাসা।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: মৌলভীবাজার বার্তা, বাংলার দিন, খোলা চিঠি; সাপ্তাহিক: পাতাকুঁড়ির দেশ, মনু বার্তা, জনপ্রত্যাশা, মুক্তকথা, মানব ঠিকানা, হেফাজতে ইসলাম, মৌলভীবাজার দর্পণ, আল ইনসান, শ্রীমঙ্গলের চিঠি, শ্রী বাণী, পূবালী বার্তা, শ্রী ভূমি, জয় বার্তা, কুলাউড়ার ডাক, রাজকণ্ঠ; পাক্ষিক: সিলেট টু ডে, বহ্নি শিখা; মাসিক: দূর দিগন্ত, শ্রী গৌরবাণী। অবলুপ্ত: মাসিক তবলিগুল ইসলাম ও তানজিমুল মুসলিমিন (১৯২৪), শ্রীহট্ট ভ্রমণ-পরিদর্শন (১৯৩০), সাপ্তাহিক অভিযান (১৯৩৫), মাসিক খ্রিষ্টান জগৎ (১৯৩৫), ত্রৈমাসিক ব্রতী (১৯৩৬), সাপ্তাহিক নকিব (১৯৩৭), বার্ষিক আবাহনী (১৯৩৯), সাপ্তাহিক অগ্রদূত (১৯৬০), মাসিক বন্যা (১৯৭০), সাপ্তাহিক বিপ্ল¬বী বাংলা (১৯৭২), সাপ্তাহিক মুক্তবার্তা (১৯৭২), সাপ্তাহিক ফরিয়াদ (১৯৮৭)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ২৫৬, সিনেমা হল ৯, লাইব্রেরি ৯, কমিউনিটি সেন্টার ২৫, যাত্রাপার্টি ৪, সমাজকল্যাণ সংগঠন ২৩৭, শিশু সদন ১৮, শিশু একাডেমী ১, শিল্পকলা একাডেমী ১।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪০.৩৭%, অকৃষি শ্রমিক ১৩.১৩%, শিল্প ১.৬৩%, ব্যবসা ১১.২৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২০%, চাকরি ৬.৬২%, নির্মাণ ১.৪৪%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৭১% এবং অন্যান্য ১৮.২১%।

প্রধান কৃষি ফসল আউশ, আমন ও বোরো ধান; কচু, তিল, চা, রাবার, পান, মরিচ, সুপারি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি স্থানীয় জাতের ধান, কাউন, তিসি, চিনা, অড়হর, মিষ্টি আলু, পাট।

প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, আনারস, লিচু, লেবু, কমলা, বাতাবি লেবু, সাতকড়া, কামরাঙ্গা।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার গবাদিপশু ১৩০, হাঁস-মুরগি ২০০, মৎস্য ১৬০।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১০২৫.৫২ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৬১.৯৩ কিমি, কাঁচা রাস্তা ২৬৭৫.১৮ কিমি; রেলওয়ে জংশন ১, রেল স্টেশন ১৮, বিমানবন্দর ১ (শমসের নগর, বর্তমানে পরিত্যক্ত); নদীবন্দর ১ (শেরপুর)।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ৯২টি এ জেলায় অবস্থিত। দেশের মোট উৎপাদনের ৬৪% চা এখানে উৎপন্ন হয়।

কুটিরশিল্প আগরশিল্প, আতরশিল্প, মণিপুরী তাঁত, বাঁশ ও বেতের কাজ, শীতল পাটি প্রভৃতি।

খনিজ সম্পদ মৌলভীবাজার ও পাথারিয়া এলাকায় কয়লা, লিগনাইট, প্রচুর কাঁচ বালি পাওয়া যায়। তেল ও গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

হাটবাজার, মেলা হাটবাজার ১৬৫, মেলা ১১। হাটবাজার : শেরপুর, দীঘিরপার বাজার, টেংরাবাজার, মুনশিবাজার, ভৈরব বাজার, সরকার বাজার, ভানুগাছ, রাজদীঘিরপার বাজার, শমশেরনগর, ব্রাহ্মণ বাজার, রবির বাজার, বরমচাল, ভবানিগঞ্জ, কামিনীগঞ্জ, শাহবাজপুর, চান্দগ্রাম, দাশের বাজার, দক্ষিণভাগ ইত্যাদি। মেলা : সৈয়দ শাহ মোস্তফার (রঃ) মেলা, শেরপুরের মাছমেলা, রাসমেলা, কালভৈরবের মেলা, নির্ম্মাই শিববাড়ির মেলা, বাগিরপারের পৌষমেলা, পালিতকোনা রাজদীঘিরপার চড়ক মেলা, ছয়চিরির চড়ক মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য চা, শাকসবজি, সাতকড়া, লেবু, নাগা মরিচ, কাঁচ বালি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র জেলা সদর হাসপাতাল ১, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৪, ইউনিয়ন পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২০, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩৮, মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ৫০-শয্যা হাসপাতাল ১, টিবি ক্লিনিক ১, চক্ষু হাসপাতাল ১, মিশন হাসপাতাল ৪, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১, পুলিশ হাসপাতাল ১, আন্ডার ফাইভ ক্লিনিক ১, জেল হাসপাতাল ১, দাতব্য চিকিৎসালয় ৯।

এনজিও কেয়ার, ব্র্যাক, আশা, কারিতাস, উন্নয়ন সহায়ক সংস্থা (উসস), এফআইভিডিবি, সহায়তা, আউস, জনকল্যাণ কেন্দ্র। [শাহ আবদুল ওদুদ]


আরও দেখুন সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মৌলভীবাজার জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭, মৌলভীবাজার জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।