ভূ-কম্পন বলয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
|-
|-
| বলয়সমূহ  || এলাকা  || সংশোধিত মারকলী (গবৎপধষষর)মাপনী
| বলয়সমূহ  || এলাকা  || সংশোধিত মারকলী (গবৎপধষষর)মাপনী
|-
|-
| ১ || বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল (ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে সর্বাধিক সক্রিয়) || ৯
| ১ || বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল (ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে সর্বাধিক সক্রিয়) || ৯
|-
|-
| ২ || লালমাই, বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর গড়, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম বলিত বলয়ের পশ্চিমাংশ || ৮
| ২ || লালমাই, বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর গড়, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম বলিত বলয়ের পশ্চিমাংশ || ৮
|-
|-
| ৩ || বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও খুলনা বিভাগ (ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে তুলনামূলক শান্ত) || ৭
| ৩ || বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও খুলনা বিভাগ (ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে তুলনামূলক শান্ত) || ৭
২২ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
[আ.স.ম উবাইদ উল্লাহ]
[আ.স.ম উবাইদ উল্লাহ]


''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' ভূমিকম্প।
''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[ভূমিকম্প|ভূমিকম্প]]।


[[en:Seismic Zone]]
[[en:Seismic Zone]]

০৬:৪৯, ১ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ভূ-কম্পন বলয় (Seismic Zone)  ভূমিকম্প সংঘটনের ঐতিহাসিক উপাত্তের ভিত্তিতে কোন অঞ্চলের ভূ-কম্পন প্রবণতা প্রকাশ। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ঐ অঞ্চলে আরও ভূ-কম্পন সংঘটিত হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। ঘন ঘন এবং বৃহৎ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন অঞ্চলে ভূ-কম্পন প্রবণতা কম এবং মৃদু ভূমিকম্প সংঘটনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অঞ্চলে তা অধিক। সুতরাং একটি অঞ্চলের অতীত ভূকম্পন আচরণ নির্ণয় এবং ভবিষ্যৎ প্রবণতা নির্ণয়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সংঘটিত মৃদু ও বৃহৎ উভয় মাত্রার ভূ-কম্পনের কালিক (temporal) ও পারিসরিক বণ্টনের রীতিবদ্ধ বর্ণনা অত্যাবশ্যক।

ভূ-কম্পন বলয় মানচিত্র প্রণয়নে ভূ-কম্পন প্রবণতার পাশাপাশি ভূমি গতির তনুকরণও (ground motion attenuation) প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচ্য। যেসকল এলাকায় ভূমিকম্পের নিবিড়তার উপাত্ত পাওয়া যায় না সেসকল এলাকায় বৃহৎ মাত্রার কোন ভূমিকম্প সংঘটনের পর সৃষ্ট ভূমি গতিসমূহ থেকে ভূ-কম্পন বলয় মানচিত্রের পরিমার্জনের জন্য ভূমি গতির তনুকরণ প্রয়োজন হয়। ভূ-কম্পন বলয় মানচিত্র প্রণয়নে বিবেচিত সাধারণ উপাত্তসমূহ হচ্ছে: মৃত্তিকা ধরন এবং উৎসবস্ত্তর অবস্থা, ভূগঠন ও এর গতিশীলতার অবস্থা, বিগত ভূমিকম্পসমূহের নিবিড়তার বণ্টন, ভূমি গতির তনুকরণ বৈশিষ্ট্যসমূহ, প্রস্তাবিত উন্নয়ন ও প্রধান প্রধান নগরীর অবস্থান, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রভৃতি।

ভূমিকম্প উপকেন্দ্রসমূহের বণ্টন এবং বিভিন্ন ভূগাঠনিক (tectonic) ব্লকসমূহের ভূরূপগাঠনিক (morphotectonic) আচরণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে তিনটি সাধারণীকৃত ভূ-কম্পন বলয়ে বিভক্ত করা হয়েছে। দেশের উত্তরপূর্বের ভাঁজগ্রস্ত অঞ্চল (folded region) সর্বাধিক সক্রিয় অঞ্চল এবং এই অঞ্চল জোন-১ (zone-I)-এর অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের বাস্ক ভূ-কম্পন সহগমাত্রা (Bask seismic coefficient) ০.০৮। বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চলের নবীন উত্থিত প্লাইসটোসিন সোপান অঞ্চল এবং বলিত বলয়ের পশ্চিমের সম্প্রসারিত অঞ্চল ভূ-কম্পন বলয়-২ (zone-II)-এর অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের বাস্ক ভূ-কম্পন সহগমাত্রা ০.০৫। বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে অনেকটা শান্ত এবং এই অঞ্চল ভূ-কম্পন বলয়-৩ (zone-III)-এর অন্তর্ভুক্ত, যার বাস্ক ভূ-কম্পন সহগমাত্রা ০.০৪। বাংলাদেশের ভূ-কম্পন বলয় মানচিত্র প্রস্ত্ততকালে ভূমির অবস্থা (ground condition) বিবেচনায় আনা হয় নি। নিম্নের সারণিতে বাংলাদেশের ভূ-কম্পন বলয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ উপস্থাপন করা হলো:

সারণি  বাংলাদেশের ভূ-কম্পন বলয়সমূহ

বলয়সমূহ এলাকা সংশোধিত মারকলী (গবৎপধষষর)মাপনী
বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল (ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে সর্বাধিক সক্রিয়)
লালমাই, বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর গড়, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম বলিত বলয়ের পশ্চিমাংশ
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও খুলনা বিভাগ (ভূ-কম্পনীয় দিক থেকে তুলনামূলক শান্ত)

[আ.স.ম উবাইদ উল্লাহ]

মানচিত্রের জন্য দেখুন ভূমিকম্প