বিসমিল্লাহখানি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:BismillahkhaniCeremony.jpg|thumb|right|400px|বিসমিল্লাহখানি উৎসব]]
'''বিসমিল্লাহখানি'''  মুসলিম শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হওয়ার দিনে পালিত উৎসব। এ উৎসবের আয়োজন সাধারণত শিশুর ৪ বছর ৪ মাস ও ৪ দিন বয়সে করা হয়। বিসমিল্লাহখানি অনুষ্ঠান ধর্মীয় শিক্ষাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
'''বিসমিল্লাহখানি'''  মুসলিম শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হওয়ার দিনে পালিত উৎসব। এ উৎসবের আয়োজন সাধারণত শিশুর ৪ বছর ৪ মাস ও ৪ দিন বয়সে করা হয়। বিসমিল্লাহখানি অনুষ্ঠান ধর্মীয় শিক্ষাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।


এ অনুষ্ঠানে কুরআন শরীফ পাঠ শেখানোর লক্ষে শিশুকে আরবি বর্ণমালা ও কায়দাসহ সিপারা বইয়ের ছবক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের দিন স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা বিশিষ্ট আলেম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে শিশুকে যথাসম্ভব পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিয়ে ইমামের সম্মুখে বসানো হয়। ইমাম তখন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শিশুকে আরবি বর্ণমালার ছবক দেন। এ সময়ে তিনি শিশুর হাত ধরে ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখিয়ে থাকেন। পরে তিনি দোয়াদরূদ পাঠ করেন এবং সকলের জন্য, বিশেষ করে শিশুর জন্য কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
এ অনুষ্ঠানে কুরআন শরীফ পাঠ শেখানোর লক্ষে শিশুকে আরবি বর্ণমালা ও কায়দাসহ সিপারা বইয়ের ছবক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের দিন স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা বিশিষ্ট আলেম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে শিশুকে যথাসম্ভব পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিয়ে ইমামের সম্মুখে বসানো হয়। ইমাম তখন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শিশুকে আরবি বর্ণমালার ছবক দেন। এ সময়ে তিনি শিশুর হাত ধরে ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখিয়ে থাকেন। পরে তিনি দোয়াদরূদ পাঠ করেন এবং সকলের জন্য, বিশেষ করে শিশুর জন্য কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
[[Image:BismillahkhaniCeremony.jpg|thumb|right|বিসমিল্লাহখানি উৎসব]]


এভাবে অনুষ্ঠান শেষ করে আমন্ত্রিত আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সামর্থ অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়।এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ আশীর্বাদের নিদর্শনস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের উপহার প্রদান করেন।  [রফিকুল ইসলাম রফিক]
এভাবে অনুষ্ঠান শেষ করে আমন্ত্রিত আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সামর্থ অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়।এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ আশীর্বাদের নিদর্শনস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের উপহার প্রদান করেন।  [রফিকুল ইসলাম রফিক]

০৪:২৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বিসমিল্লাহখানি উৎসব

বিসমিল্লাহখানি  মুসলিম শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হওয়ার দিনে পালিত উৎসব। এ উৎসবের আয়োজন সাধারণত শিশুর ৪ বছর ৪ মাস ও ৪ দিন বয়সে করা হয়। বিসমিল্লাহখানি অনুষ্ঠান ধর্মীয় শিক্ষাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

এ অনুষ্ঠানে কুরআন শরীফ পাঠ শেখানোর লক্ষে শিশুকে আরবি বর্ণমালা ও কায়দাসহ সিপারা বইয়ের ছবক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের দিন স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা বিশিষ্ট আলেম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে শিশুকে যথাসম্ভব পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিয়ে ইমামের সম্মুখে বসানো হয়। ইমাম তখন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শিশুকে আরবি বর্ণমালার ছবক দেন। এ সময়ে তিনি শিশুর হাত ধরে ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখিয়ে থাকেন। পরে তিনি দোয়াদরূদ পাঠ করেন এবং সকলের জন্য, বিশেষ করে শিশুর জন্য কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

এভাবে অনুষ্ঠান শেষ করে আমন্ত্রিত আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সামর্থ অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়।এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ আশীর্বাদের নিদর্শনস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের উপহার প্রদান করেন।  [রফিকুল ইসলাম রফিক]