বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
বিআইবিএম ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের মোট ৫৯,৯৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এর বাইরে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিআইবিএম থেকে ৪৯৭ এমবিএম গ্রাজুয়েট বের হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করছে। ইনস্টিটিউট-এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের মধ্যে ঋণ ব্যবস্থাপনা, কর্পোরেট প্ল্যানিং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণ, প্রকল্প অর্থায়ন ও পল্লী উন্নয়ন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং-এ কম্পিউটারের ব্যবহার, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং অপারেশন রিসার্স-ইন-ব্যাংকস উল্লেখযোগ্য।
বিআইবিএম ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের মোট ৫৯,৯৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এর বাইরে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিআইবিএম থেকে ৪৯৭ এমবিএম গ্রাজুয়েট বের হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করছে। ইনস্টিটিউট-এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের মধ্যে ঋণ ব্যবস্থাপনা, কর্পোরেট প্ল্যানিং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণ, প্রকল্প অর্থায়ন ও পল্লী উন্নয়ন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং-এ কম্পিউটারের ব্যবহার, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং অপারেশন রিসার্স-ইন-ব্যাংকস উল্লেখযোগ্য।


বিআইবিএম প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ দিন গড় মেয়াদের ৩০ থেকে ৪০টি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে। এতদ্ব্যতীত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বছরে একটি করে ৪০ দিন মেয়াদি ব্যাংক ব্যবস্থাপনা শীর্ষক উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। এই কোর্সটির পুনর্গঠন করে এর পুনঃনামকরণ করা হয়েছে সিনিয়র ব্যাংকার্স স্টাফ কোর্স। ১৯৯৯ সাল থেকে বিআইবিএম দেশের বিভাগীয় সদর দপ্তরসমূহে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে আসছে। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট একটি গবেষণা কর্মীদল ইনস্টিটিউট-এর প্রশিক্ষণদান ও গবেষণা কর্মে নিয়োজিত রয়েছে।
বিআইবিএম প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ দিন গড় মেয়াদের ৩০ থেকে ৪০টি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে। এতদ্ব্যতীত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বছরে একটি করে ৪০ দিন মেয়াদি ব্যাংক ব্যবস্থাপনা শীর্ষক উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। এই কোর্সটির পুনর্গঠন করে এর পুনঃনামকরণ করা হয়েছে সিনিয়র ব্যাংকার্স স্টাফ কোর্স। ১৯৯৯ সাল থেকে বিআইবিএম দেশের বিভাগীয় সদর দপ্তরসমূহে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে আসছে। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট একটি গবেষণা কর্মীদল ইনস্টিটিউট-এর প্রশিক্ষণদান ও গবেষণা কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। [আবুল কালাম আজাদ]
 
[আবুল কালাম আজাদ]


[[en:Bangladesh Institute of Bank Management]]
[[en:Bangladesh Institute of Bank Management]]

০৫:১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)  ১৯৭৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর  প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার একটি আদর্শ কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি সমিতিসমূহের নিবন্ধন আইন ১৮৬০-এর অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত হয়ে শুরু থেকে দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিনিয়র এবং মধ্যম পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে প্রশিক্ষণদানে নিয়োজিত রয়েছে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরে বাংলাদেশ সরকার দেশের ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং এ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করে। পুনর্গঠিত ব্যাংকিং খাতের জন্য ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির মাধ্যমে সরকার ১,০০০ নতুন অফিসার নিয়োগ করে। কিন্তু সদ্যনিয়োজিত এবং ব্যাংকিং-এ অনভিজ্ঞ অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য তখন কোন প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত সুবিধা ছিল না। ফলে এ সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের জন্য সরকার ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে। এ উদ্দেশ্যে জ্ঞানলাভ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য টাস্ক ফোর্সের সদস্যগণকে ভারতে পাঠানো হয় এবং তারা পুনে-তে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (NIMB)-এ প্রশিক্ষণ লাভ করেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তারা NIBM-এর অনুকরণে ব্যাংকার্সদের জন্য বাংলাদেশে একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের সুপারিশ পেশ করেন। সরকার তাদের সুপারিশ গ্রহণপূর্বক ১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (BIBM) প্রতিষ্ঠা করে।

শুরুতে বিআইবিএম একটি ভাড়া-করা বাড়িতে সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করে। এর সামগ্রিক প্রশিক্ষণ কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা নির্ধারণ ও উন্নয়ন, প্রশাসনিক বিষয়াদি তদারকি এবং নীতি-কৌশল অনুমোদনের জন্য দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণের সমন্বয়ে বিআইবিএম-এর প্রথম পরিচালক পর্ষদ গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর নবপ্রতিষ্ঠিত এই ইনস্টিটিউটে-র পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অপরদিকে ইনস্টিটিউটের জন্য একজন প্রধান নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে একজন মহাপরিচালক বিআইবিএম-এর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।

ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর বিভিন্ন ধরন ও মেয়াদের স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা ছাড়া বিআইবিএম এসকল বিষয়ের সমসাময়িক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলির উপর সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং বক্তৃতামালার আয়োজন করে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ইনস্টিটিউট-এর প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।

ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সে উচ্চতর শিক্ষা প্রবর্তনের অংশ হিসেবে বিআইবিএম ১৯৯৭ সালে ইনস্টিটিউটে ২ বৎসর মেয়াদি মাস্টার ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম) প্রোগ্রাম চালু করেছে। বিআইবিএম ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যাংক পরিক্রমা নামে একটি জার্নাল নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। এছাড়া বিআইবিএম বুলেটিন নামে একটি দ্বি-মাসিক পত্রিকাও ইনস্টিটিউট নিয়মিত প্রকাশিত হয়।

বিআইবিএম ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের মোট ৫৯,৯৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এর বাইরে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিআইবিএম থেকে ৪৯৭ এমবিএম গ্রাজুয়েট বের হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করছে। ইনস্টিটিউট-এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের মধ্যে ঋণ ব্যবস্থাপনা, কর্পোরেট প্ল্যানিং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণ, প্রকল্প অর্থায়ন ও পল্লী উন্নয়ন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং-এ কম্পিউটারের ব্যবহার, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং অপারেশন রিসার্স-ইন-ব্যাংকস উল্লেখযোগ্য।

বিআইবিএম প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ দিন গড় মেয়াদের ৩০ থেকে ৪০টি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে। এতদ্ব্যতীত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বছরে একটি করে ৪০ দিন মেয়াদি ব্যাংক ব্যবস্থাপনা শীর্ষক উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। এই কোর্সটির পুনর্গঠন করে এর পুনঃনামকরণ করা হয়েছে সিনিয়র ব্যাংকার্স স্টাফ কোর্স। ১৯৯৯ সাল থেকে বিআইবিএম দেশের বিভাগীয় সদর দপ্তরসমূহে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে আসছে। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট একটি গবেষণা কর্মীদল ইনস্টিটিউট-এর প্রশিক্ষণদান ও গবেষণা কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। [আবুল কালাম আজাদ]