বরগুনা সদর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বরগুনা সদর উপজেলা''' (বরগুনা জেলা)  আয়তন: ৪৫৪.৩৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫৮´ থেকে ২২°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৯´ থেকে ৯০°১৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বেতাগী, মির্জাগঞ্জ এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আমতলী উপজেলা, পূর্বে আমতলী উপজেলা, পশ্চিমে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা।
'''বরগুনা সদর উপজেলা''' ([[বরগুনা জেলা|বরগুনা জেলা]])  আয়তন: ৪৫৪.৩৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫৮´ থেকে ২২°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৯´ থেকে ৯০°১৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বেতাগী, মির্জাগঞ্জ এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আমতলী উপজেলা, পূর্বে আমতলী উপজেলা, পশ্চিমে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ২৩৭৬১৩; পুরুষ ১২০৮৩০, মহিলা ১১৬৭৮৩। মুসলিম ২২০০৫৭, হিন্দু ১৭৩৭৬, বৌদ্ধ ২৬, খ্রিস্টান ১৩৭ এবং অন্যান্য ১৭।
''জনসংখ্যা'' ২৩৭৬১৩; পুরুষ ১২০৮৩০, মহিলা ১১৬৭৮৩। মুসলিম ২২০০৫৭, হিন্দু ১৭৩৭৬, বৌদ্ধ ২৬, খ্রিস্টান ১৩৭ এবং অন্যান্য ১৭।
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| ১  || ১০  || ৫১  || ১৯১  || ২৬৯৫৪  || ২১০৬৫৯  || ৫২৩  || ৭১.৯  || ৫২.৯
| ১  || ১০  || ৫১  || ১৯১  || ২৬৯৫৪  || ২১০৬৫৯  || ৫২৩  || ৭১.৯  || ৫২.৯
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
|পৌরসভা
| colspan="9" | পৌরসভা
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড  || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড  || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ১৫.৫৮  || ৯  || ১৮  || ২৬৯৫৪  || ১৭৩০  || ৭১.৯
| ১৫.৫৮  || ৯  || ১৮  || ২৬৯৫৪  || ১৭৩০  || ৭১.৯
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪৩ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
|-  
|-  
| আয়লাপাতাকাটা ১৭  || ৭০৮৬  || ৯৪৯৭  || ৯৩০৯  || ৪৭.০৬
| আয়লাপাতাকাটা ১৭  || ৭০৮৬  || ৯৪৯৭  || ৯৩০৯  || ৪৭.০৬
|-
|-
| এম বালিয়াতলী ৮৫  || ১৫৪৯৫  || ১৩২৮৯  || ১৩২৩৭  || ৫০.০০
| এম বালিয়াতলী ৮৫  || ১৫৪৯৫  || ১৩২৮৯  || ১৩২৩৭  || ৫০.০০
|-
|-
| কেওড়াবুনিয়া ৭৬  || ৫৮৫৫  || ৮৪১৮  || ৮৩৯৪  || ৫০.৮০
| কেওড়াবুনিয়া ৭৬  || ৫৮৫৫  || ৮৪১৮  || ৮৩৯৪  || ৫০.৮০
|-
|-
| গৌরীচন্না ৬৬  || ৬৬১১  || ১১৪৩৮  || ১১১৭২  || ৬২.৩৬
| গৌরীচন্না ৬৬  || ৬৬১১  || ১১৪৩৮  || ১১১৭২  || ৬২.৩৬
|-
|-
| ঢলুয়া ৪৭  || ৭৪২১  || ১১৬৯৮  || ১১৯৮৫  || ৫১.২৪
| ঢলুয়া ৪৭  || ৭৪২১  || ১১৬৯৮  || ১১৯৮৫  || ৫১.২৪
|-
|-
| নলটোনা ৯৫  || ৮৪৩৫  || ৯২১১  || ৮৯৬৯  || ৪৭.৬৪
| নলটোনা ৯৫  || ৮৪৩৫  || ৯২১১  || ৮৯৬৯  || ৪৭.৬৪
|-
|-
| ফুলঝুড়ি ৫৭  || ৫২৪৪  || ৬৭৬৮  || ৭০০০  || ৬০.০৭
| ফুলঝুড়ি ৫৭  || ৫২৪৪  || ৬৭৬৮  || ৭০০০  || ৬০.০৭
|-
|-
| বদরখালী ১৯  || ৭৬১৬  || ১৩২৭৮  || ১২৫৬২  || ৫৩.৮৬
| বদরখালী ১৯  || ৭৬১৬  || ১৩২৭৮  || ১২৫৬২  || ৫৩.৮৬
|-
|-
| বরগুনা ২৮  || ৫৫৯৪  || ৯৩৮৯  || ৯৩৫৫  || ৫৫.০৬
| বরগুনা ২৮  || ৫৫৯৪  || ৯৩৮৯  || ৯৩৫৫  || ৫৫.০৬
|-
|-
| বুড়িরচর ৩৮  || ৮৬৬১  || ১৩০৯৩  || ১২৫৯৭  || ৫২.৩৩
| বুড়িরচর ৩৮  || ৮৬৬১  || ১৩০৯৩  || ১২৫৯৭  || ৫২.৩৩
৭৩ নং লাইন: ৫৬ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:BargunaSadarUpazila.jpg|thumb|400px|right]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ২৯ ও ৩০ নভেম্বর পাকবাহিনী বরগুনা কারাগারের অভ্যন্তরে শতাধিক লোককে হত্যা করে এবং কারাগারের পশ্চিম পাশে তাদের গণকবর দেয়। বরগুনা শহর সন্নিকটে পাকসেনারা বেশসংখ্যক লোককে হত্যা করে এবং ডিসেম্বর মাসে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবার পূর্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা করে। ৩ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ২৯ ও ৩০ নভেম্বর পাকবাহিনী বরগুনা কারাগারের অভ্যন্তরে শতাধিক লোককে হত্যা করে এবং কারাগারের পশ্চিম পাশে তাদের গণকবর দেয়। বরগুনা শহর সন্নিকটে পাকসেনারা বেশসংখ্যক লোককে হত্যা করে এবং ডিসেম্বর মাসে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবার পূর্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা করে। ৩ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (জেলখানার সন্নিকটে)।
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (জেলখানার সন্নিকটে)।


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৬১০, মন্দির ৬।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ৬১০, মন্দির ৬।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৫.২%; পুরুষ ৫৭.৬%, মহিলা ৫২.৭%। কলেজ ৭, এমএড কলেজ ১, বিএড কলেজ ১, পিটিআই ১, ভোকেশনাল স্কুল ৪, কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ ১, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৩৩, মাদ্রাসা ৫১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ছোট গৌরীচন্না মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৬)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৫.২%; পুরুষ ৫৭.৬%, মহিলা ৫২.৭%। কলেজ ৭, এমএড কলেজ ১, বিএড কলেজ ১, পিটিআই ১, ভোকেশনাল স্কুল ৪, কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ ১, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৩৩, মাদ্রাসা ৫১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ছোট গৌরীচন্না মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৬)।
[[Image:BargunaSadarUpazila.jpg|thumb|400px|right|বরগুনা সদর উপজেলা]]


''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: দ্বীপাঞ্চল, সৈকত সংবাদ; পাক্ষিক: বরগুনা; সাপ্তাহিক: বরগুনা, বরগুনা কণ্ঠ; অবলুপ্ত: দৈনিক আজকের কণ্ঠ, বরগুনার কণ্ঠ।
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: দ্বীপাঞ্চল, সৈকত সংবাদ; পাক্ষিক: বরগুনা; সাপ্তাহিক: বরগুনা, বরগুনা কণ্ঠ; অবলুপ্ত: দৈনিক আজকের কণ্ঠ, বরগুনার কণ্ঠ।
৯৫ নং লাইন: ৭৫ নং লাইন:
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' মিষ্টিআলু, তামাক, ফzুট, তরমুজ, তিল, সরিষা।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' মিষ্টিআলু, তামাক, ফzুট, তরমুজ, তিল, সরিষা।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, তাল, আনারস।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, তাল, আনারস।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১৬, গবাদিপশু ৫, হাঁস-মুরগি ২৬, হ্যাচারি ৪।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১৬, গবাদিপশু ৫, হাঁস-মুরগি ২৬, হ্যাচারি ৪।
১২৩ নং লাইন: ১০৩ নং লাইন:
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বরগুনা সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বরগুনা সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Barguna Sadar Upazila]]
[[en:Barguna Sadar Upazila]]
[[en:Barguna Sadar Upazila]]


[[en:Barguna Sadar Upazila]]
[[en:Barguna Sadar Upazila]]

০৫:১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বরগুনা সদর উপজেলা (বরগুনা জেলা)  আয়তন: ৪৫৪.৩৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫৮´ থেকে ২২°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৯´ থেকে ৯০°১৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বেতাগী, মির্জাগঞ্জ এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আমতলী উপজেলা, পূর্বে আমতলী উপজেলা, পশ্চিমে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৩৭৬১৩; পুরুষ ১২০৮৩০, মহিলা ১১৬৭৮৩। মুসলিম ২২০০৫৭, হিন্দু ১৭৩৭৬, বৌদ্ধ ২৬, খ্রিস্টান ১৩৭ এবং অন্যান্য ১৭।

জলাশয় বুড়ীশ্বর, বিশখালী, খাগদোন ও নালীদোন নদী এবং ফুলঢলুয়া খাল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন বরগুনা থানা গঠিত হয় ১৯০৪ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১০ ৫১ ১৯১ ২৬৯৫৪ ২১০৬৫৯ ৫২৩ ৭১.৯ ৫২.৯
পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১৫.৫৮ ১৮ ২৬৯৫৪ ১৭৩০ ৭১.৯
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আয়লাপাতাকাটা ১৭ ৭০৮৬ ৯৪৯৭ ৯৩০৯ ৪৭.০৬
এম বালিয়াতলী ৮৫ ১৫৪৯৫ ১৩২৮৯ ১৩২৩৭ ৫০.০০
কেওড়াবুনিয়া ৭৬ ৫৮৫৫ ৮৪১৮ ৮৩৯৪ ৫০.৮০
গৌরীচন্না ৬৬ ৬৬১১ ১১৪৩৮ ১১১৭২ ৬২.৩৬
ঢলুয়া ৪৭ ৭৪২১ ১১৬৯৮ ১১৯৮৫ ৫১.২৪
নলটোনা ৯৫ ৮৪৩৫ ৯২১১ ৮৯৬৯ ৪৭.৬৪
ফুলঝুড়ি ৫৭ ৫২৪৪ ৬৭৬৮ ৭০০০ ৬০.০৭
বদরখালী ১৯ ৭৬১৬ ১৩২৭৮ ১২৫৬২ ৫৩.৮৬
বরগুনা ২৮ ৫৫৯৪ ৯৩৮৯ ৯৩৫৫ ৫৫.০৬
বুড়িরচর ৩৮ ৮৬৬১ ১৩০৯৩ ১২৫৯৭ ৫২.৩৩

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২৯ ও ৩০ নভেম্বর পাকবাহিনী বরগুনা কারাগারের অভ্যন্তরে শতাধিক লোককে হত্যা করে এবং কারাগারের পশ্চিম পাশে তাদের গণকবর দেয়। বরগুনা শহর সন্নিকটে পাকসেনারা বেশসংখ্যক লোককে হত্যা করে এবং ডিসেম্বর মাসে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবার পূর্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা করে। ৩ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ১ (জেলখানার সন্নিকটে)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৬১০, মন্দির ৬।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৫.২%; পুরুষ ৫৭.৬%, মহিলা ৫২.৭%। কলেজ ৭, এমএড কলেজ ১, বিএড কলেজ ১, পিটিআই ১, ভোকেশনাল স্কুল ৪, কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ ১, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৩৩, মাদ্রাসা ৫১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ছোট গৌরীচন্না মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৬)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: দ্বীপাঞ্চল, সৈকত সংবাদ; পাক্ষিক: বরগুনা; সাপ্তাহিক: বরগুনা, বরগুনা কণ্ঠ; অবলুপ্ত: দৈনিক আজকের কণ্ঠ, বরগুনার কণ্ঠ।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ২।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৫.৮২%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২১%, শিল্প ০.৬%, ব্যবসা ১৫.৬২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৬১%, চাকরি ৮.০৬%, নির্মাণ ১.৯৩%, ধর্মীয় সেবা ০.২৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৮.৫৯%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, চিনাবাদাম, খেসারি, মুগ, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি মিষ্টিআলু, তামাক, ফzুট, তরমুজ, তিল, সরিষা।

প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, তাল, আনারস।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১৬, গবাদিপশু ৫, হাঁস-মুরগি ২৬, হ্যাচারি ৪।

যোগাযোগ বিশেষত্ব কাঁচারাস্তা ১৮০; নৌপথ ৩৮ নটিক্যাল মাইল।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

শিল্প ও কলকারখানা চালকল, তেলকল, করাতকল, বরফকল, বিড়িকারখানা, ওয়েল্ডিং কারখানা।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, তাঁতশিল্প, দারুশিল্প।

হাটবাজার ও মেলা বরগুনা বৈশাখী মেলা এবং গৌরীচন্না, বাবুগঞ্জ ও চান্দখালী বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   তালের গুড়, ইলিশ মাছ, চিংড়ি পোনা।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.২৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯২.৬৮%, ট্যাপ ১.২৭%, পুকুর ৫.৮২% এবং অন্যান্য ০.২৪%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪৪.১৫% (গ্রামে ৩৮.৬৯% ও শহরে ৯০.৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫০.৯৭% (গ্রামে ৫৬.৩২% ও শহরে ৫.১৮%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.৮৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০, ক্লিনিক ১, স্যাটেলাইট ক্লিনিক ১, মা ও শিশু ক্লিনিক ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৭।

এনজিও কেয়ার, ব্র্যাক, আশা।  [শফিউদ্দিন আহমেদ]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বরগুনা সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।