ফরিদী, আবদুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ফরিদী, আবদুল হক''' (১৯০৩-১৯৯৬)  শিক্ষাবিদ, লেখক। ১৯০৩ সালের ২৫ মে  [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর]] জেলার  [[নড়িয়া উপজেলা|নড়িয়া]] উপজেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর প্রকৃত নাম আ.ফ.ম আবদুল হক ফরিদী। গ্রামের মকতবে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৯২৩ সালে তিনি নিউ স্কিম পদ্ধতির হাই মাদ্রাসা থেকে এন্ট্রান্স ও ১৯২৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পাস করেন। ১৯২৮ সালে  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইসলামিক স্টাডিজে বিএ অনার্স ও ১৯২৯ সালে এমএ পাস করেন। পরে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে  [[ফারসি|ফারসি]] সাহিত্যে দ্বিতীয়বার এমএ ডিগ্রি (১৯৩৩) লাভ করেন। পরে তিনি বিলেতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন এবং আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা প্রশাসনে অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
'''ফরিদী, আবদুল হক''' (১৯০৩-১৯৯৬)  শিক্ষাবিদ, লেখক। ১৯০৩ সালের ২৫ মে  [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর]] জেলার  [[নড়িয়া উপজেলা|নড়িয়া]] উপজেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর প্রকৃত নাম আ.ফ.ম আবদুল হক ফরিদী। গ্রামের মকতবে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৯২৩ সালে তিনি নিউ স্কিম পদ্ধতির হাই মাদ্রাসা থেকে এন্ট্রান্স ও ১৯২৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পাস করেন। ১৯২৮ সালে  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইসলামিক স্টাডিজে বিএ অনার্স ও ১৯২৯ সালে এমএ পাস করেন। পরে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে  [[ফারসি|ফারসি]] সাহিত্যে দ্বিতীয়বার এমএ ডিগ্রি (১৯৩৩) লাভ করেন। পরে তিনি বিলেতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন এবং আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা প্রশাসনে অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট অর্জন করেন।


চট্টগ্রাম কলেজে লেকচারার হিসেবে আবদুল হক কর্মজীবন শুরু করেন। পরে এডুকেশনাল সার্ভিসে উন্নীত হয়ে তিনি বর্ধমান বিভাগের মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তানের জনশিক্ষা পরিচালক (ডি.পি.আই) হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ট্রেজারার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ছয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নিযুক্ত হয়ে প্রায় দুবছর কাজ করেন। ফাউন্ডেশন থেকে বৃহদাকারে ইসলামী বিশ্বকোষ প্রণয়নের পরিকল্পনা তিনিই গ্রহণ করেন, যা পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা: বাংলাদেশ (১৯৭৬) তাঁর মৌলিক গ্রন্থ। এছাড়া তিনি কিছু মূল্যবান গ্রন্থের অনুবাদ করেন। ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম কলেজে লেকচারার হিসেবে আবদুল হক কর্মজীবন শুরু করেন। পরে এডুকেশনাল সার্ভিসে উন্নীত হয়ে তিনি বর্ধমান বিভাগের মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তানের জনশিক্ষা পরিচালক (ডি.পি.আই) হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ট্রেজারার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ছয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নিযুক্ত হয়ে প্রায় দুবছর কাজ করেন। ফাউন্ডেশন থেকে বৃহদাকারে ইসলামী বিশ্বকোষ প্রণয়নের পরিকল্পনা তিনিই গ্রহণ করেন, যা পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা: বাংলাদেশ (১৯৭৬) তাঁর মৌলিক গ্রন্থ। এছাড়া তিনি কিছু মূল্যবান গ্রন্থের অনুবাদ করেন। ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। [এ.কে.এম নূরুল আলম]


[এ.কে.এম নূরুল আলম]
[[en:Faridi, Abdul Haque]]
[[en:Faridi, Abdul Haque]]
[[en:Faridi, Abdul Haque]]


[[en:Faridi, Abdul Haque]]
[[en:Faridi, Abdul Haque]]

০৫:২৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ফরিদী, আবদুল হক (১৯০৩-১৯৯৬)  শিক্ষাবিদ, লেখক। ১৯০৩ সালের ২৫ মে  ফরিদপুর জেলার  নড়িয়া উপজেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর প্রকৃত নাম আ.ফ.ম আবদুল হক ফরিদী। গ্রামের মকতবে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৯২৩ সালে তিনি নিউ স্কিম পদ্ধতির হাই মাদ্রাসা থেকে এন্ট্রান্স ও ১৯২৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পাস করেন। ১৯২৮ সালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে বিএ অনার্স ও ১৯২৯ সালে এমএ পাস করেন। পরে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে  ফারসি সাহিত্যে দ্বিতীয়বার এমএ ডিগ্রি (১৯৩৩) লাভ করেন। পরে তিনি বিলেতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন এবং আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা প্রশাসনে অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট অর্জন করেন।

চট্টগ্রাম কলেজে লেকচারার হিসেবে আবদুল হক কর্মজীবন শুরু করেন। পরে এডুকেশনাল সার্ভিসে উন্নীত হয়ে তিনি বর্ধমান বিভাগের মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তানের জনশিক্ষা পরিচালক (ডি.পি.আই) হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ট্রেজারার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ছয় বছর সাফল্যের সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নিযুক্ত হয়ে প্রায় দুবছর কাজ করেন। ফাউন্ডেশন থেকে বৃহদাকারে ইসলামী বিশ্বকোষ প্রণয়নের পরিকল্পনা তিনিই গ্রহণ করেন, যা পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা: বাংলাদেশ (১৯৭৬) তাঁর মৌলিক গ্রন্থ। এছাড়া তিনি কিছু মূল্যবান গ্রন্থের অনুবাদ করেন। ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। [এ.কে.এম নূরুল আলম]