প্রটোকল

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৩:০৫, ২০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

প্রটোকল শব্দটি দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়। পারিভাষিক অর্থে প্রটোকল হলো পদস্থ কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ও যথারীতি সত্যায়িত লেনদেন বা চুক্তি ইত্যাদি সংক্রান্ত মূল মন্তব্য বা কার্যবিবরণী। এই বিবরণী পরবর্তীতে যেকোন দলিলকে বৈধতা প্রদান করে। কূটনৈতিক ভাষায় প্রটোকল হলো সরকারি অনুষ্ঠানে এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান কর্তৃক পালনীয় আনুষ্ঠানিক শিষ্টাচারবিধি।

দেশের অভ্যন্তরীণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান এবং কার্যক্রমেও প্রটোকল থাকে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের রাজন্যবর্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বিস্তারিত প্রটোকল অনুসরণ করতেন। কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও আচরণবিধির ক্ষেত্রে প্রটোকল প্রণালী আধুনিক রাষ্ট্রে আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত। কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশন (১৯৬১, যাতে বাংলাদেশও স্বাক্ষরকারী) দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের সফরের সময় অনুসরণীয় বিধিমালা ও আনুষ্ঠানিকতা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশও কোনো বিদেশি রাষ্ট্র/সরকার প্রধানের সফরের সময় এবং কোনো বিদেশি দূতাবাস প্রধানের প্রথম বাংলাদেশে আগমনের সময় বিস্তারিত প্রটোকল ও আনুষ্ঠানিকতা পালন করে। এ ধরনের সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিমানবন্দরে ভি.ভি.আই.পি/ভি.আই.পি কক্ষের ব্যবহার এবং সকল কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তির পদমানক্রম অনুসরণ করে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনসমূহের প্রধানদের, যেমন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও বাংলাদেশে অবস্থানরত অন্যান্য দূতাবাস/হাইকমিশন/কনস্যুলেট, জাতিসংঘ ও বিশেষ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের পারস্পরিক ভিত্তিতে বিশেষ কিছু কূটনৈতিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের প্রটোকল সংক্রান্ত বিষয়সমূহ তদারকি এবং সেগুলোর সমন্বয় সাধন করে। [এ.কে.এম ফারুক]