পোঁকাই দেওয়ানা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''পোঁকাই দেওয়ানা'''  সোনারগাঁয়ের এক বিখ্যাত পীর। তাঁর প্রকৃত নাম শাহ আবদুল আলা। তবে তিনি পোঁকাই দেওয়ানা নামেই সমধিক পরিচিত। সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়ার উত্তরে দহরপাড়া মহল্লায় (গোহাট্টা নামেও পরিচিত) তিনি সমাহিত আছেন। কথিত আছে, এক সময় তিনি সংসার ত্যাগ করে বনে গিয়ে একটি জাফরি পাথরের উপর বসে বারো বছর কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন; তাঁর কোনো সময়জ্ঞান ছিল না। আত্মীয়-স্বজন যখন বনে তাঁর সন্ধান পান তখন দেখা যায় যে, শাহ আবদুল আলার ঘাড় পর্যন্ত প্রায় সারা দেহ উঁই পোকার ঢিবিতে ঢাকা। উঁইপোকার ঢিবি খুঁড়ে তাঁকে তুলে আনতে হয়েছিল। এ কারণে তিনি পোঁকাই দেওয়ানা নামে পরিচিত।
'''পোঁকাই দেওয়ানা'''  সোনারগাঁয়ের এক বিখ্যাত পীর। তাঁর প্রকৃত নাম শাহ আবদুল আলা। তবে তিনি পোঁকাই দেওয়ানা নামেই সমধিক পরিচিত। সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়ার উত্তরে দহরপাড়া মহল্লায় (গোহাট্টা নামেও পরিচিত) তিনি সমাহিত আছেন। কথিত আছে, এক সময় তিনি সংসার ত্যাগ করে বনে গিয়ে একটি জাফরি পাথরের উপর বসে বারো বছর কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন; তাঁর কোনো সময়জ্ঞান ছিল না। আত্মীয়-স্বজন যখন বনে তাঁর সন্ধান পান তখন দেখা যায় যে, শাহ আবদুল আলার ঘাড় পর্যন্ত প্রায় সারা দেহ উঁই পোকার ঢিবিতে ঢাকা। উঁইপোকার ঢিবি খুঁড়ে তাঁকে তুলে আনতে হয়েছিল। এ কারণে তিনি পোঁকাই দেওয়ানা নামে পরিচিত।


আঠারো শতকের শেষদিকে কোনো এক সময়ে শাহ আবদুল আলার মুত্যু হয়। সোনারগাঁয়ে তিনি সমাহিত হন। তাঁর সমাধির শিরোভাগে জাফরি পাথর খন্ডটি স্থাপন করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও পুত্র শাহ ইমাম বখশও (চুলু মিয়া) এখানে সমাহিত আছেন।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
আঠারো শতকের শেষদিকে কোনো এক সময়ে শাহ আবদুল আলার মুত্যু হয়। সোনারগাঁয়ে তিনি সমাহিত হন। তাঁর সমাধির শিরোভাগে জাফরি পাথর খন্ডটি স্থাপন করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও পুত্র শাহ ইমাম বখশও (চুলু মিয়া) এখানে সমাহিত আছেন।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Ponkai Diwana]]
[[en:Ponkai Diwana]]

১৬:১৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পোঁকাই দেওয়ানা  সোনারগাঁয়ের এক বিখ্যাত পীর। তাঁর প্রকৃত নাম শাহ আবদুল আলা। তবে তিনি পোঁকাই দেওয়ানা নামেই সমধিক পরিচিত। সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়ার উত্তরে দহরপাড়া মহল্লায় (গোহাট্টা নামেও পরিচিত) তিনি সমাহিত আছেন। কথিত আছে, এক সময় তিনি সংসার ত্যাগ করে বনে গিয়ে একটি জাফরি পাথরের উপর বসে বারো বছর কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন; তাঁর কোনো সময়জ্ঞান ছিল না। আত্মীয়-স্বজন যখন বনে তাঁর সন্ধান পান তখন দেখা যায় যে, শাহ আবদুল আলার ঘাড় পর্যন্ত প্রায় সারা দেহ উঁই পোকার ঢিবিতে ঢাকা। উঁইপোকার ঢিবি খুঁড়ে তাঁকে তুলে আনতে হয়েছিল। এ কারণে তিনি পোঁকাই দেওয়ানা নামে পরিচিত।

আঠারো শতকের শেষদিকে কোনো এক সময়ে শাহ আবদুল আলার মুত্যু হয়। সোনারগাঁয়ে তিনি সমাহিত হন। তাঁর সমাধির শিরোভাগে জাফরি পাথর খন্ডটি স্থাপন করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও পুত্র শাহ ইমাম বখশও (চুলু মিয়া) এখানে সমাহিত আছেন।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]