পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
বড় বড় কিছু নদীর গতিপথের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রেরও গতিপথ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে এখন সাম্প্রতিক কালের ভূ-গাঠনিক তৎপরতার ফলাফলকে দায়ী বলে মনে করা হয়। বৈজ্ঞানিক ধারণায় এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া ৩০ বছর সময়কালের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গারো পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে মধুপুর গড়ের পূর্বাঞ্চলীয় বেড় ধরে সমতলভূমি প্রশস্ত শৈলশিরা ও অবভূমি দ্বারা গঠিত এক শান্ত ও ক্রমান্বয়ী ভূভাগ। এই ভূ-প্রাকৃতিক ইউনিটের মাটি গত দুশ বছরে নতুন ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে গড়ে ওঠা মাটির চেয়ে অধিকতর জারিত ও কৃষ্ণাভ। এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থপানির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাসায়নিক গঠন রয়েছে।  [কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ]
বড় বড় কিছু নদীর গতিপথের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রেরও গতিপথ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে এখন সাম্প্রতিক কালের ভূ-গাঠনিক তৎপরতার ফলাফলকে দায়ী বলে মনে করা হয়। বৈজ্ঞানিক ধারণায় এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া ৩০ বছর সময়কালের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গারো পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে মধুপুর গড়ের পূর্বাঞ্চলীয় বেড় ধরে সমতলভূমি প্রশস্ত শৈলশিরা ও অবভূমি দ্বারা গঠিত এক শান্ত ও ক্রমান্বয়ী ভূভাগ। এই ভূ-প্রাকৃতিক ইউনিটের মাটি গত দুশ বছরে নতুন ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে গড়ে ওঠা মাটির চেয়ে অধিকতর জারিত ও কৃষ্ণাভ। এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থপানির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাসায়নিক গঠন রয়েছে।  [কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ]


''আরও দেখুন'' ব্রহ্মপুত্র নদ; ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী।
''আরও দেখুন'' [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র নদ]]; [[ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী|ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী]]।


''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী।
''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী|ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী]]।


[[en:Old Brahmaputra River]]
[[en:Old Brahmaputra River]]

০৮:১৮, ৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ (Old Brahmaputra River)  ব্রহ্মপুত্রের পূর্বতীর থেকে উৎপত্তি হয়ে বাহাদুরাবাদের উত্তরে প্রবাহিত নদীর নাম পুরাতন ব্রহ্মপুত্র। অল্পবিস্তর দক্ষিণ-পূর্বমুখী গতিপথে জামালপুর ও ময়মনসিংহ শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের কাছে এই নদীটি মেঘনায় এসে মিশেছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন বঙ্গীয় অববাহিকার এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এর ফলে নদীর অংশবিশেষ এবং সময় সময় নদীর সম্পূর্ণ গতিপথই বদলে যেতে পারে। বঙ্গীয় অববাহিকার নদীগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি গতি পরিবর্তন হয় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও নিম্ন গঙ্গার। কয়েক শতাব্দী আগের প্রণীত পুরানো মানচিত্র পর্যালোচনা করে এই গতিপথ পরিবর্তন চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এ সংক্রান্ত সবচেয়ে সঠিক মানচিত্রটি প্রণয়ন করেছিলেন মেজর জেমস রেনেল (১৭৬০)। এই মানচিত্র অনুযায়ী দেখা যায় যে সেসময় ব্রহ্মপুত্র মধুপুর গড়ের পূর্ব দিক দিয়ে নিম্নমুখী প্রবাহিত হয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত একটি খালে এসে মিলিত হয়েছিল। ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যবর্তী ব্রহ্মপুত্র খালের নিম্নাংশ পরবর্তীকালে ভরাট হয়ে যায়। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র এখন শীতলক্ষ্যা নদীতে মিশে ঢাকার দক্ষিণ-পূর্বে ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২৭৬ কিমি।

ব্রহ্মপুত্র নদের মধুপুর গড় ও বরেন্দ্র অঞ্চলের মধ্যকার বর্তমান গতিপথটি ১৭৮৭ সালে সৃষ্টি হয়। ঐ বছর নদীটি পূর্বের গতিপথ পরিবর্তন করে যমুনা নামে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করে। সে বছর একটি বড় ধরনের বন্যার কারণে এই নাটকীয় পরিবর্তনটি সংঘটিত হয়। ১৭৮২ সালে ময়মনসিংহ অঞ্চলে একটি তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। নদীর গতিপথ পরিবর্তনে এ ঘটনাটিও অবদান রাখতে পারে।

বড় বড় কিছু নদীর গতিপথের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রেরও গতিপথ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে এখন সাম্প্রতিক কালের ভূ-গাঠনিক তৎপরতার ফলাফলকে দায়ী বলে মনে করা হয়। বৈজ্ঞানিক ধারণায় এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া ৩০ বছর সময়কালের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গারো পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে মধুপুর গড়ের পূর্বাঞ্চলীয় বেড় ধরে সমতলভূমি প্রশস্ত শৈলশিরা ও অবভূমি দ্বারা গঠিত এক শান্ত ও ক্রমান্বয়ী ভূভাগ। এই ভূ-প্রাকৃতিক ইউনিটের মাটি গত দুশ বছরে নতুন ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে গড়ে ওঠা মাটির চেয়ে অধিকতর জারিত ও কৃষ্ণাভ। এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থপানির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাসায়নিক গঠন রয়েছে।  [কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ]

আরও দেখুন ব্রহ্মপুত্র নদ; ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী

মানচিত্রের জন্য দেখুন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালী