পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি  পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সংগঠন। পাহাড়িদের দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠনটি বিশ শতকের সত্তরের দশকে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করে। ১৯৭৩ সালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পর থেকে জনসংহতি সমিতির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। তখন থেকে ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও শান্তি বাহিনী দীর্ঘকাল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়। রাজমোহন দেওয়ানের নেতৃত্বে ১৯১৫ সালে সর্বপ্রথম চাকমা যুবক সমিতি গঠিত হয়। ১৯১৯ সালে ঘনশ্যাম দেওয়ানের নেতৃত্বে গঠিত হয় চাকমা যুবক সংঘ। ১৯২০ সালে কামিনী মোহন দেওয়ান গঠন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসমিতি। প্রায় দু’দশক ধরে এ সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ১৯৩৯ সালে যামিনী রঞ্জন দেওয়ান ও স্নেহকুমার চাকমা এ সংগঠনের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। তখন থেকেই জনসমিতির রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে জনসমিতি পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করে।

পাকিস্তান আমলে ১৯৫৬ সালে পাহাড়ি ছাত্রদের দাবি আদায় সংক্রান্ত একটি সংগঠন হিল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতীয় কল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন অনন্ত বিহারী খীসা ও জে বি লারমা। এ সমিতির সমর্থনে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি চারু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে একটি পাহাড়ি প্রতিনিধি দল বিভিন্ন দাবিদাওয়াসহ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু দাবি আদায়ে তারা সক্ষম হন নি। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণেতাদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ মোট চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো ছিল: (১) পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসন এবং নিজস্ব আইন পরিষদ গঠন; (২) সংবিধানে ১৯০০ সালের রেগুলেশনের অনুরূপ সংবিধির অন্তর্ভুক্তি; (৩) উপজাতীয় রাজাদের দপ্তর সংরক্ষণ; (৪) ১৯০০ সালের রেগুলেশন সংশোধনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বিধিনিষেধ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের বসতি স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এবারকার চার দফা দাবিও সরকার কর্তৃক প্রত্যাখাত হলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এবং জুম্ম জাতীয়তাবাদ ও জুম্মল্যান্ড ধারণা জন্ম নেয়। পাহাড়িদের স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল: মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং চাকমা, মারমা (মগ), ত্রিপুরা, বম, মুরং, পাঙ্খো, খুমি, চাক, খিয়াং, লুসাই প্রভৃতি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জন। সমিতির সহযোগী সংগঠন ছিল এর সামরিক শাখা শান্তি বাহিনী, গ্রাম পঞ্চায়েত, যুব সমিতি ও মহিলা সমিতি।

উপজাতীয়রা ১৯০০ সালের যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধিকে নিজেদের রক্ষাকবচ বলে মনে করত ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে সে সম্পর্কে কোনো উল্লেখ করা হয় নি। উপরন্তু পৃথক জাতিসত্তার স্বীকৃতির পরিবর্তে সবাইকে বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এমন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী নিজেদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েন। শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে দাবি আদায় সম্ভব নয় মনে করে ১৯৭৩ সালে জনসংহতি সমিতির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনী গঠিত হয়।

খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা থানার বাট্টি (ছদ্মনাম) নামক স্থানে শান্তি বাহিনী ও জনসংহতি সমিতির সদর দফতর স্থাপিত হয়। সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে ছয়টি সামরিক সেক্টরে বিভক্ত করে সদর দফতরকে বিশেষ সেক্টররূপে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিটি সেক্টর ৪টি জোনে এবং প্রতিটি জোন কয়েকটি সাব-জোনে বিভক্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের পতন হলে মানবেন্দ্র লারমা গোপনে ভারতে চলে যান। ১৯৭৩ সালে গঠিত হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েক বছর শান্তি বাহিনী কোনো সামরিক তৎপরতা শুরু করে নি। ১৯৭৬ সাল থেকে শান্তি বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা শুরু করে। অন্য যেকোন গেরিলা সংগঠনের মতো জনসংহতি সমিতিও পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনসংহতি সমিতির অভ্যন্তরে দুটি মতাদর্শ বিদ্যমান ছিল। একদিকে মানবেন্দ্র লারমার নেতৃত্বাধীন বামপন্থী লারমা গ্রুপ, অন্যদিকে প্রীতিকুমার চাকমার নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী প্রীতি গ্রুপ। ১৯৮২ সালের ২৪ অক্টোবর আদর্শগত সংঘাত থেকে শান্তি বাহিনী দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের হামলায় মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা নিহত হন। এরপর তাঁর ছোট ভাই জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালের এপ্রিলে প্রীতি গ্রুপের ২৩৬ জন সদস্য সরকারের নিকট আত্মসমর্পণ করলে ঐ গ্রুপের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। অবশ্য প্রীতি কুমার চাকমা আত্মসমর্পণ করেন নি।

জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার জনসংহতি সমিতির মূল দাবি পূরণের পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে অর্থনৈতিক সমস্যারূপে চিহ্নিত করেন। এ লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়। কিন্তু পাহাড়িদের কাছে এ বোর্ড গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ১৯৭৭ সালে গঠিত হয় উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিরসনের জন্য চাকমা রাজমাতা বিনতা রায় এবং পরবর্তী সময়ে অংশু প্রু চৌধুরী ও সুবিমল দেওয়ানকে রাষ্ট্রপতির উপজাতি বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তারা জনসংহতি সমিতির বিকল্প হিসেবে পাহাড়ি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাননি। ১৯৭৬ সাল থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি বাহিনীর আক্রমণ তীব্র হতে থাকে। সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে মধ্যস্থতার লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ২ জুলাই ট্রাইবাল কনভেনশন গঠিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় জনসংহতি সমিতি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরে তারা পিছিয়ে যায়। ১৯৮১ সালের শুরুতে মেজর জেনারেল মঞ্জুরের উদ্যোগে সরকার এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে সংলাপের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ঐ বছর মে মাসে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে প্রক্রিয়াটি বিঘ্নিত হয়। শান্তি বাহিনীকে দমনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে যথেষ্ট সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করা হয়।

জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এসে প্রথমদিকে তার পূর্বসূরীর মতোই পার্বত্য সমস্যার সমাধান চেয়েছিলেন। এছাড়াও এরশাদ সরকার জনসংহতি সমিতি ও শান্তি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কাজে লাগাতে চেষ্টা করে। কিন্তু এসব প্রচেষ্টার তেমন কোনো সুফল না পেয়ে সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৮৫ সালের ২১ অক্টোবর জনসংহতি সমিতি এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে প্রথম আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মোট ছয়টি আলোচনা বৈঠক হয়। অবশ্য এ সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাত অব্যাহত ছিল। ১৯৮৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর জনসংহতি সমিতি সরকারের নিকট ৫-দফা দাবি পেশ করে। দাবিগুলো ছিল: (১) নিজস্ব আইন পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসন এবং জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের স্বীকৃতি; (২) ১৯০০ সালের রেগুলেশনের সংশোধন রহিতকরণের লক্ষ্যে সংবিধানে ধারা সংযোজন; (৩) ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্টের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে আগত অ-উপজাতীয় বাশিন্দাদের অপসারণ; (৪) পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র থেকে অর্থ বরাদ্দ; (৫) বিদ্যমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি করা। মূল এই পাঁচ দফার সঙ্গে আরও ২৫-দফা সহায়ক দাবি সংযুক্ত হয়। কিন্তু ১৯৮৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এরশাদ সরকার একতরফাভাবে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার পরিষদ সংক্রান্ত তিনটি বিল পেশ করেন এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০০ সালের অ্যাক্ট বাতিল করে পার্বত্য জেলা আইন প্রণীত হয়। অতঃপর পৃথকভাবে তিনটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ বিল সংসদে গৃহীত হয়। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দাবিপূরণ না হওয়ায় জনসংহতি সমিতি স্থানীয় সরকার পরিষদকে প্রত্যাখ্যান করলেও সরকার ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন পার্বত্য পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে। একতরফা সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে শান্তি বাহিনী সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে। একাধিকবার সরকার কর্তৃক সাধারণ ক্ষমার ঘোষণায়ও অবস্থার তেমন উন্নতি হয় নি।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি.এন.পি) পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ নেয়। ১৯৯১ সালের ১৫ এপ্রিল একটি যোগাযোগ কমিটি গঠিত হয়। ১৯৯২ সালের ৯ জুলাই সংসদ-সদস্যদের সমন্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কমিটি গঠিত হয়। ৫ নভেম্বর সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত উভয় পক্ষ মোট ১৩টি দফা নিয়ে আলোচনা করে। জনসংহতি সমিতি পূর্বেকার পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবির পরিবর্তে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে নমনীয় হয়। এছাড়াও সামরিক তৎপরতা পরিচালনায় সরকারের নমনীয় ভূমিকা পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করে। ১৯৯৬ সালের ১৪ অক্টোবর ১১-সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি গঠিত হয়। একদিকে জনসংহতি সমিতির দাবিদাওয়া ও পাহাড়ি জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি সরকারের ইতিবাচক মূল্যায়ন এবং অন্যদিকে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ পরিহার করে রাজনৈতিক সমাধানে জনসংহতি সমিতির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষ শান্তিচুক্তি স্থাপনে ঐক্যমতে পৌঁছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটে। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর জনসংহতি সমিতি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।  [শান্তনু মজুমদার]