পাগলা শাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''পাগলা শাহ''' সোনারগাঁয়ের একজন দরবেশ। এ দরবেশ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। এমনকি তাঁর নাম ও পরিচয়ও অজ্ঞাত। কথিত আছে, কঠোর আধ্যাত্মিক সাধনার ফলে একসময় তিনি মস্ত্ হয়ে যান, তাঁর জাগতিক চেতনা লোপ পায়। এ কারণে তাঁকে পাগলা শাহ বলে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে যে, চোর ধরার কাজে তিনি ছিলেন খুবই পারঙ্গম। চোরদের পাকড়াও করে তিনি একটি দেয়ালে হাতে পেরেক মেরে তাদের আটকে রাখতেন। এরপর তাদের শিরচ্ছেদ করতেন। চোরদের ছিন্নমস্তক মালার আকারে গেঁথে তিনি একসময় নিকটস্থ একটি খালে ছুড়ে ফেলতেন। তখন থেকেই নাকি ঐ খালটি মুন্ডমালা খাল নামে পরিচিত হয়ে আসছিল।
'''পাগলা শাহ''' সোনারগাঁয়ের একজন দরবেশ। এ দরবেশ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। এমনকি তাঁর নাম ও পরিচয়ও অজ্ঞাত। কথিত আছে, কঠোর আধ্যাত্মিক সাধনার ফলে একসময় তিনি মস্ত্ হয়ে যান, তাঁর জাগতিক চেতনা লোপ পায়। এ কারণে তাঁকে পাগলা শাহ বলে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে যে, চোর ধরার কাজে তিনি ছিলেন খুবই পারঙ্গম। চোরদের পাকড়াও করে তিনি একটি দেয়ালে হাতে পেরেক মেরে তাদের আটকে রাখতেন। এরপর তাদের শিরচ্ছেদ করতেন। চোরদের ছিন্নমস্তক মালার আকারে গেঁথে তিনি একসময় নিকটস্থ একটি খালে ছুড়ে ফেলতেন। তখন থেকেই নাকি ঐ খালটি মুন্ডমালা খাল নামে পরিচিত হয়ে আসছিল।


মোগরাপাড়ার উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত হাবিবপুর গ্রামে পাকা সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি ছোট বর্গাকার ইমারতের অভ্যন্তরে পাগলা শাহ সমাহিত আছেন। তাঁর মাযারের পুরাতন ইমারতের ভিতের উপর সম্প্রতি নতুন ইমারত নির্মিত হয়েছে। মাযার-সৌধের দক্ষিণদিকে নির্মিত হয়েছে টিনের চালা বিশিষ্ট একটি উন্মুক্ত অঙ্গন। পাগলা শাহের মাযারে স্থানীয় লোকেরা প্রতিনিয়ত ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোকেরা তাদের কঠিন ব্যাধিগ্রস্ত শিশুদের রোগ মুক্তির কামনায় পাগলা শাহের মাযারে শিশুদের চোঁটি উৎসর্গ করে থাকেন।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
মোগরাপাড়ার উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত হাবিবপুর গ্রামে পাকা সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি ছোট বর্গাকার ইমারতের অভ্যন্তরে পাগলা শাহ সমাহিত আছেন। তাঁর মাযারের পুরাতন ইমারতের ভিতের উপর সম্প্রতি নতুন ইমারত নির্মিত হয়েছে। মাযার-সৌধের দক্ষিণদিকে নির্মিত হয়েছে টিনের চালা বিশিষ্ট একটি উন্মুক্ত অঙ্গন। পাগলা শাহের মাযারে স্থানীয় লোকেরা প্রতিনিয়ত ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোকেরা তাদের কঠিন ব্যাধিগ্রস্ত শিশুদের রোগ মুক্তির কামনায় পাগলা শাহের মাযারে শিশুদের চোঁটি উৎসর্গ করে থাকেন।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Pagla Shah]]
[[en:Pagla Shah]]

১৬:০৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পাগলা শাহ সোনারগাঁয়ের একজন দরবেশ। এ দরবেশ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। এমনকি তাঁর নাম ও পরিচয়ও অজ্ঞাত। কথিত আছে, কঠোর আধ্যাত্মিক সাধনার ফলে একসময় তিনি মস্ত্ হয়ে যান, তাঁর জাগতিক চেতনা লোপ পায়। এ কারণে তাঁকে পাগলা শাহ বলে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে যে, চোর ধরার কাজে তিনি ছিলেন খুবই পারঙ্গম। চোরদের পাকড়াও করে তিনি একটি দেয়ালে হাতে পেরেক মেরে তাদের আটকে রাখতেন। এরপর তাদের শিরচ্ছেদ করতেন। চোরদের ছিন্নমস্তক মালার আকারে গেঁথে তিনি একসময় নিকটস্থ একটি খালে ছুড়ে ফেলতেন। তখন থেকেই নাকি ঐ খালটি মুন্ডমালা খাল নামে পরিচিত হয়ে আসছিল।

মোগরাপাড়ার উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত হাবিবপুর গ্রামে পাকা সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি ছোট বর্গাকার ইমারতের অভ্যন্তরে পাগলা শাহ সমাহিত আছেন। তাঁর মাযারের পুরাতন ইমারতের ভিতের উপর সম্প্রতি নতুন ইমারত নির্মিত হয়েছে। মাযার-সৌধের দক্ষিণদিকে নির্মিত হয়েছে টিনের চালা বিশিষ্ট একটি উন্মুক্ত অঙ্গন। পাগলা শাহের মাযারে স্থানীয় লোকেরা প্রতিনিয়ত ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোকেরা তাদের কঠিন ব্যাধিগ্রস্ত শিশুদের রোগ মুক্তির কামনায় পাগলা শাহের মাযারে শিশুদের চোঁটি উৎসর্গ করে থাকেন।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]