নিমসরাই মিনার

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:৫৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

নিমসরাই মিনার  ফতেহপুর সিক্রির মিনারের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এটি পুরাতন মালদায় কালিন্দি জংশনের নিচে মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। মিনারটির নিমসরাই নামকরণের কারণ হচ্ছে এটি গৌড়- লখনৌতি ও পান্ডুয়া-ফিরুজাবাদের মাঝপথে (নিম) অবস্থিত এবং এক সময় এখানে একটি সরাইখানা  (বিশ্রামাগার) ছিল।

উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট যে, দূরদূরান্ত থেকে আসা পথ যাত্রীদের নির্দেশ দেওয়ার জন্যই মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছিল। মনে করা হয়, দিক নির্দেশনার জন্য রাতে মিনারটির চূড়ায় বাতি (চিরাগ) ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। মিনারের গায়ে হাতির দাঁতের নকশা অঙ্কিত থাকায় মনে করা হয়, এটি ফতেহপুর সিক্রির হিরণ-মিনার থেকে অনুকরণ করা হয়েছে। উভয় মিনারই মুগল সম্রাট আকবরএর সময় নির্মিত। মিনারের গায়ে ঝোলানো মানুষের মাথা অলঙ্করণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও মনে করা হয় যে, নদীতে বণিকদের নৌকায় আক্রমণকারী দস্যুদের জন্য এটি ছিল হুঁশিয়ারী সংকেত। অষ্টভুজাকৃতি ভিত্তিভূমির উপর দাঁড়ানো মিনারটি ইট দ্বারা নির্মিত ছিল। প্রতি পার্শ্বের পরিমাপ ছিল ৫.৫০ মিটার এবং এর পরিধি ছিল ১৭.৫০ মিটার। মিনারের উপরের অংশটি অনেক আগেই পড়ে গিয়েছিল। নিচের দিকের দুটি ধাপ এখনও টিকে আছে, তবে কিছুটা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে। এ অংশটির উচ্চতা আঠারো মিটার। মিনারের নিচের দিকে গোলাকার কার্নিস রয়েছে এবং ভিতরে আলো বাতাস প্রবেশ করার জন্য মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে খোলা জানালা। নিচ থেকে সর্পিল সিঁড়ি মিনারের চূড়ায় উঠে গিয়েছে।

#চিত্র:নিমসরাই মিনার html 88407781.png

  1. নিমসরাই মিনার

নদীর তীরে দাঁড়ানো মিনারটি শুধু প্রয়োজন নির্বাহই করছে না, একই সঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে নগরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করছে।  [এ.বি.এম হোসেন]