নাজিরপুর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| -  || ৮  || ৬৮  || ১৬৯  || ৪৪৪১  || ১৭৪৩৭৯  || ৭৬৫  || ৫৭.৬  || ৫৭.৫  
| -  || ৮  || ৬৮  || ১৬৯  || ৪৪৪১  || ১৭৪৩৭৯  || ৭৬৫  || ৫৭.৬  || ৫৭.৫  
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" |  উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৩.৩৩  || ১  || ৪৪৪১  || ১৩৩৪  || ৫৭.৬  
| ৩.৩৩  || ১  || ৪৪৪১  || ১৩৩৪  || ৫৭.৬  
 
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন  
| colspan="9" |  ইউনিয়ন  
 
|-
|-
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || আয়তন(একর)  || লোকসংখ্যা  || শিক্ষার হার(%)  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || rowspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)  
 
|-
|-
| <nowiki> ||  || </nowiki>পুরুষ  || মহিলা ||
| পুরুষ  || মহিলা


|-
|-
৬৪ নং লাইন: ৬০ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:NazirpurUpazila.jpg|thumb|400px|right]]
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' কুমারখালীর কালীমন্দির (অষ্টাদশ শতাব্দি)।  
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' কুমারখালীর কালীমন্দির (অষ্টাদশ শতাব্দি)।  


৭০ নং লাইন: ৬৭ নং লাইন:
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' ভাস্কর্য ১ (স্বর্গবাণী)।
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' ভাস্কর্য ১ (স্বর্গবাণী)।


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ২৮১, মন্দির ৩২০, তীর্থস্থান ২, মাযার ১।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ২৮১, মন্দির ৩২০, তীর্থস্থান ২, মাযার ১।
 
[[Image:নাজিরপুর উপজেলা_html_88407781.png]]
 
[[Image:NazirpurUpazila.jpg]]


শিক্ষার হার'', ''শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৫৭.৫%; পুরুষ ৫৯.৯%, মহিলা ৫৫.১%। কলেজ ৫, টেকনিক্যাল কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, মাদ্রাসা ৪।  উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:  মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), শহীদ জিয়া কলেজ (১৯৮২), শহীদ জননী মহিলা মহাবিদ্যালয় (২০০০), এসএস হালদার টেকনিক্যাল কলেজ (২০০১), মালিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০৭), শাখারীকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), ডুমুরিয়া নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৮০)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান''  গড় হার ৫৭.৫%; পুরুষ ৫৯.৯%, মহিলা ৫৫.১%। কলেজ ৫, টেকনিক্যাল কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, মাদ্রাসা ৪।  উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:  মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), শহীদ জিয়া কলেজ (১৯৮২), শহীদ জননী মহিলা মহাবিদ্যালয় (২০০০), এসএস হালদার টেকনিক্যাল কলেজ (২০০১), মালিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০৭), শাখারীকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), ডুমুরিয়া নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৮০)।


পত্রপত্রিকা সাময়িকী  অপরাজেয় বাংলা (১৯৯৪), রক্তকমল (২০০০), অনির্বাণ (২০০১), দিশারী (২০০১), বিজয় স্মরণিকা (১৯৯৪) ও রক্তাক্ত ফাল্গুন।
''পত্র-পত্রিকা সাময়িকী''  অপরাজেয় বাংলা (১৯৯৪), রক্তকমল (২০০০), অনির্বাণ (২০০১), দিশারী (২০০১), বিজয় স্মরণিকা (১৯৯৪) ও রক্তাক্ত ফাল্গুন।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ২৭, ক্লাব ১০, নাট্যদল ২,  সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৮।  
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ২৭, ক্লাব ১০, নাট্যদল ২,  সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৮।  
৮৪ নং লাইন: ৭৭ নং লাইন:
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৭০.০২%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৩%, ব্যবসা ১৩.৬৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.১৭%, চাকরি ৬.২২%, নির্মাণ ০.৭২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২২% এবং অন্যান্য ৪.৮৭%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৭০.০২%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৩%, ব্যবসা ১৩.৬৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.১৭%, চাকরি ৬.২২%, নির্মাণ ০.৭২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২২% এবং অন্যান্য ৪.৮৭%।


কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭৬.১০%, ভূমিহীন ২৩.৯০%। শহরে ৬৭.৮৮% এবং গ্রামে ৭৬.৩০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।  
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৭৬.১০%, ভূমিহীন ২৩.৯০%। শহরে ৬৭.৮৮% এবং গ্রামে ৭৬.৩০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।  


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আখ, ডাল, মিষ্টি আলু, শাকসবজি।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আখ, ডাল, মিষ্টি আলু, শাকসবজি।
৯০ নং লাইন: ৮৩ নং লাইন:
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' পাট, তিল, তিসি, চিনা, কাউন।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' পাট, তিল, তিসি, চিনা, কাউন।


প্রধান ফল''-''ফলাদি  আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, তরমুজ, সুপারি, আমড়া।
''প্রধান ফল-ফলাদি''  আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, তরমুজ, সুপারি, আমড়া।


''মৎস্য'', ''গবাদিপশু ও হাঁস''-''মুরগির খামার'' মৎস্য ১০৮৬, গবাদিপশু ৬৯, হাঁস-মুরগি ৪০, হ্যাচারি ১।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১০৮৬, গবাদিপশু ৬৯, হাঁস-মুরগি ৪০, হ্যাচারি ১।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৬১.৩৫ কিমি এবং কাঁচারাস্তা ৩৬২.৮৫ কিমি।  
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৬১.৩৫ কিমি এবং কাঁচারাস্তা ৩৬২.৮৫ কিমি।  
১০৪ নং লাইন: ৯৭ নং লাইন:
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩০, মেলা ৪। তুলার মেলা (সদর), পূর্ণচাঁদ সাধুর বাড়ি মেলা (লরা গ্রাম), মতুয়া সম্প্রদায়ের মেলা (কেনুয়াভাঙ্গা গ্রাম)।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩০, মেলা ৪। তুলার মেলা (সদর), পূর্ণচাঁদ সাধুর বাড়ি মেলা (লরা গ্রাম), মতুয়া সম্প্রদায়ের মেলা (কেনুয়াভাঙ্গা গ্রাম)।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   নারিকেল, সুপারি, ধান, হোগলা।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  নারিকেল, সুপারি, ধান, হোগলা।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১২.৮৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।  
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১২.৮৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।  
১১২ নং লাইন: ১০৫ নং লাইন:
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' ৩৬.৭০% (গ্রামে ৩৫.৯৫% ও শহরে ৬৮.৩৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.০১% (গ্রামে ৫৩.৫৫% ও শহরে ৩০.২৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.২৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' ৩৬.৭০% (গ্রামে ৩৫.৯৫% ও শহরে ৬৮.৩৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.০১% (গ্রামে ৫৩.৫৫% ও শহরে ৩০.২৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.২৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' হাসপাতাল ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৩, ইপিআই কেন্দ্র ১৯২, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' হাসপাতাল ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৩, ইপিআই কেন্দ্র ১৯২, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪।


''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৭৬২ সালের ভূমিকম্পে এ উপজেলার নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়, কোনো কোনো খাল-বিল ভরে যায়, আবার অনেক নতুন জলাভূমির সৃষ্টি হয়। ১৮২২, ১৮৩১, ১৯০৯, ১৯৬০, ১৯৭০ ও ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং ১৭৭০ ও ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে এখানকার বহু লোক মারা যায়। ১৭৮৬,  ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যায় উপজেলার উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়।
''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৭৬২ সালের ভূমিকম্পে এ উপজেলার নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়, কোনো কোনো খাল-বিল ভরে যায়, আবার অনেক নতুন জলাভূমির সৃষ্টি হয়। ১৮২২, ১৮৩১, ১৯০৯, ১৯৬০, ১৯৭০ ও ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং ১৭৭০ ও ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে এখানকার বহু লোক মারা যায়। ১৭৮৬,  ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যায় উপজেলার উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়।
১১৯ নং লাইন: ১১২ নং লাইন:


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  নাজিরপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  নাজিরপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
<!-- imported from file: নাজিরপুর উপজেলা.html-->
[[en:Nazirpur Upazila]]
[[en:Nazirpur Upazila]]


[[en:Nazirpur Upazila]]
[[en:Nazirpur Upazila]]

১০:০৬, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নাজিরপুর উপজেলা (পিরোজপুর জেলা)  আয়তন: ২৩৩.৬৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪০র্ থেকে ২২°৫২র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫২র্ থেকে ৯০°০৩র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া ও উজিরপুর উপজেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর সদর ও কচুয়া উপজেলা (বাগেরহাট), পূর্বে নেছারাবাদ ও বানারীপাড়া উপজেলা, পশ্চিমে চিতলমারী উপজেলা।

জনসংখ্যা ১৭৮৮২০; পুরুষ ৯১২৬২, মহিলা ৮৭৫৫৮। মুসলিম ১১৬৫৮০, হিন্দু ৬২১২৫, বৌদ্ধ ৫৩ এবং অন্যান্য ৬২।

জলাশয় প্রধান নদী: শৈলধা, কালীগঙ্গা, বলেশ্বর ও বিষারকান্দি। এছাড়া চাতার বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন নাজিরপুর থানা গঠিত হয় ১৯০৩ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ৬৮ ১৬৯ ৪৪৪১ ১৭৪৩৭৯ ৭৬৫ ৫৭.৬ ৫৭.৫
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৩.৩৩ ৪৪৪১ ১৩৩৪ ৫৭.৬
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
দীর্ঘা ১০ ৭৪০৪ ৯৫০২ ৮৯৭৪ ৬৫.৬১
নাজিরপুর ৫২ ৫১৯১ ৯২৯৮ ৯০৫০ ৫৩.৫৪
পূর্ব দেউলবাড়ী ডোবড়া ২১ ১১১৭১ ১৯৬৯৬ ১৮৭১৩ ৫৮.৬২
মালিখালী ৩১ ৭৩৯৬ ১১২৪৬ ১০৪৪০ ৫৬.০৯
মাটিভাঙ্গা ৪২ ৫৯৭৬ ১০৭০৮ ১০৫০১ ৫৪.১১
শাখারীকাঠী ৭৩ ৬০৯৯ ৮৮২৪ ৮৬৭৭ ৫৩.৩৪
সেখমাটিয়া ৬৩ ৬৯৩২ ১১৬০৫ ১১৪০৬ ৫৩.৮০
শ্রীরামকাঠী ৮৪ ৬৩৪৪ ১০৩৮৩ ৯৭৯৭ ৬৩.৯৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ কুমারখালীর কালীমন্দির (অষ্টাদশ শতাব্দি)।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ১৫ মে পাকসেনারা দীর্ঘা ইউনিয়নে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যা চালায়। ৩ ডিসেম্বর রাজাকার ও পাকসেনারা সাতকাছেমিয়া ও বাইনকাঠি গ্রামে ৭ জন লোককে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ভাস্কর্য ১ (স্বর্গবাণী)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ২৮১, মন্দির ৩২০, তীর্থস্থান ২, মাযার ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৫৭.৫%; পুরুষ ৫৯.৯%, মহিলা ৫৫.১%। কলেজ ৫, টেকনিক্যাল কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, মাদ্রাসা ৪।  উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:  মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), শহীদ জিয়া কলেজ (১৯৮২), শহীদ জননী মহিলা মহাবিদ্যালয় (২০০০), এসএস হালদার টেকনিক্যাল কলেজ (২০০১), মালিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০৭), শাখারীকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), ডুমুরিয়া নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৮০)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী  অপরাজেয় বাংলা (১৯৯৪), রক্তকমল (২০০০), অনির্বাণ (২০০১), দিশারী (২০০১), বিজয় স্মরণিকা (১৯৯৪) ও রক্তাক্ত ফাল্গুন।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২৭, ক্লাব ১০, নাট্যদল ২,  সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৮।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭০.০২%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৩%, ব্যবসা ১৩.৬৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.১৭%, চাকরি ৬.২২%, নির্মাণ ০.৭২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২২% এবং অন্যান্য ৪.৮৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭৬.১০%, ভূমিহীন ২৩.৯০%। শহরে ৬৭.৮৮% এবং গ্রামে ৭৬.৩০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আখ, ডাল, মিষ্টি আলু, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পাট, তিল, তিসি, চিনা, কাউন।

প্রধান ফল-ফলাদি  আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, তরমুজ, সুপারি, আমড়া।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১০৮৬, গবাদিপশু ৬৯, হাঁস-মুরগি ৪০, হ্যাচারি ১।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৬১.৩৫ কিমি এবং কাঁচারাস্তা ৩৬২.৮৫ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

শিল্প ও কলকারখানা আইসফ্যাক্টরি ২, স’মিল ৫, ফ্লাওয়ার মিল ২০, রাইসমিল ৪২, অয়েল মিল ২, ওয়েল্ডিং কারখানা।

কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁত, বাঁশের কাজ, সেলাই কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩০, মেলা ৪। তুলার মেলা (সদর), পূর্ণচাঁদ সাধুর বাড়ি মেলা (লরা গ্রাম), মতুয়া সম্প্রদায়ের মেলা (কেনুয়াভাঙ্গা গ্রাম)।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  নারিকেল, সুপারি, ধান, হোগলা।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১২.৮৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৬.৪৮%, পুকুর ৮.২৭%, ট্যাপ ০.২৮% এবং অন্যান্য ৪.৯৭%। এ উপজেলায় ২০১৪ টি অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৩৬.৭০% (গ্রামে ৩৫.৯৫% ও শহরে ৬৮.৩৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.০১% (গ্রামে ৫৩.৫৫% ও শহরে ৩০.২৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.২৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৩, ইপিআই কেন্দ্র ১৯২, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৭৬২ সালের ভূমিকম্পে এ উপজেলার নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়, কোনো কোনো খাল-বিল ভরে যায়, আবার অনেক নতুন জলাভূমির সৃষ্টি হয়। ১৮২২, ১৮৩১, ১৯০৯, ১৯৬০, ১৯৭০ ও ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং ১৭৭০ ও ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে এখানকার বহু লোক মারা যায়। ১৭৮৬,  ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যায় উপজেলার উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়।

এনজিও ব্র্যাক, আশা।  [মো. মিজানুর রহমান]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  নাজিরপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।