দৌলত উজির বাহরাম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দৌলত উজির বাহরাম খান '''(আনু. ১৬শ শতক)  মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার কবি। তাঁর আত্মপরিচয় থেকে জানা যায় যে, তিনি চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ অথবা জাফরাবাদের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর পিতা মোবারক খান ছিলেন চট্টলাধিপতির উজির এবং জনৈক পূর্বপুরুষ হামিদ খান ছিলেন গৌড় সুলতান হুসেন শাহের প্রধান অমাত্য। হামিদ খানই দুটি পরগনার জায়গিরদার হয়ে প্রথম চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেন।  
'''দৌলত উজির বাহরাম খান''' (আনু. ১৬শ শতক)  মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার কবি। তাঁর আত্মপরিচয় থেকে জানা যায় যে, তিনি চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ অথবা জাফরাবাদের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর পিতা মোবারক খান ছিলেন চট্টলাধিপতির উজির এবং জনৈক পূর্বপুরুষ হামিদ খান ছিলেন গৌড় সুলতান হুসেন শাহের প্রধান অমাত্য। হামিদ খানই দুটি পরগনার জায়গিরদার হয়ে প্রথম চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেন।  


পীরভক্ত বাহরাম খানের প্রকৃত নাম আসাউদ্দীন। তিনি অল্প বয়সে পিতৃহীন হলে চট্টগ্রামের অধিপতি নেজাম শাহ সুর তাঁকে পিতৃপদ (উজির) প্রদান করেন। বাহরাম খান দুটি আখ্যানকাব্য রচনা করেন: লায়লী-মজন ও ইমাম''-''বিজয়। উভয় কাব্যের উৎস আরবি সাহিত্য। ভারতের আমির খসরু ১২৯৮ খ্রিস্টাব্দে, পারস্যের আব্দুর রহমান জামি ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দে এবং আব্দুল্লাহ হাতিভি ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে ফারসি ভাষায় এ কাব্য রচনা করেন। বাহরাম খান তাঁদের কারও একজনের কাব্য অনুসরণ করেছেন।  
পীরভক্ত বাহরাম খানের প্রকৃত নাম আসাউদ্দীন। তিনি অল্প বয়সে পিতৃহীন হলে চট্টগ্রামের অধিপতি নেজাম শাহ সুর তাঁকে পিতৃপদ (উজির) প্রদান করেন। বাহরাম খান দুটি আখ্যানকাব্য রচনা করেন: লায়লী-মজন ও ইমাম-বিজয়। উভয় কাব্যের উৎস আরবি সাহিত্য। ভারতের আমির খসরু ১২৯৮ খ্রিস্টাব্দে, পারস্যের আব্দুর রহমান জামি ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দে এবং আব্দুল্লাহ হাতিভি ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে ফারসি ভাষায় এ কাব্য রচনা করেন। বাহরাম খান তাঁদের কারও একজনের কাব্য অনুসরণ করেছেন।  


লায়লী''-''মজনু মূলত আধ্যাত্মিক কাব্য, কিন্তু বাংলা অনুবাদে তা পরিণত হয়েছে মানবিক প্রেমকাব্যে। বাহরাম খানই প্রথম লায়লী''-''মজনুর মতো বিশ্বখ্যাত বিরহমূলক প্রেমকাহিনী নিয়ে বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেন। এর ভাষা কবিত্বময়। একই কাহিনী অবলম্বনে মুহম্মদ খাতের ১৮৬৪ সালে দোভাষী পুথি এবং শেখ ফজলুল করিম ১৯০৩ সালে আখ্যানকাব্য রচনা করেন। ইমাম''-''বিজয়ের বিষয়বস্ত্ত আরবের কারবালার বিষাদময় যুদ্ধকাহিনী।  
লায়লী-মজনু মূলত আধ্যাত্মিক কাব্য, কিন্তু বাংলা অনুবাদে তা পরিণত হয়েছে মানবিক প্রেমকাব্যে। বাহরাম খানই প্রথম লায়লী-মজনুর মতো বিশ্বখ্যাত বিরহমূলক প্রেমকাহিনী নিয়ে বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেন। এর ভাষা কবিত্বময়। একই কাহিনী অবলম্বনে মুহম্মদ খাতের ১৮৬৪ সালে দোভাষী পুথি এবং শেখ ফজলুল করিম ১৯০৩ সালে আখ্যানকাব্য রচনা করেন। ইমাম-বিজয়ের বিষয়বস্ত্ত আরবের কারবালার বিষাদময় যুদ্ধকাহিনী। [ওয়াকিল আহমদ]  
 
[ওয়াকিল আহমদ]
 
Back to: [[Untitled Document1]]
 
<!-- imported from file: দৌলত উজির বাহরাম খান.html-->
 
[[en:Daulat Uzir Bahram Khan]]


[[en:Daulat Uzir Bahram Khan]]
[[en:Daulat Uzir Bahram Khan]]

০৪:৩৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দৌলত উজির বাহরাম খান (আনু. ১৬শ শতক)  মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার কবি। তাঁর আত্মপরিচয় থেকে জানা যায় যে, তিনি চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ অথবা জাফরাবাদের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর পিতা মোবারক খান ছিলেন চট্টলাধিপতির উজির এবং জনৈক পূর্বপুরুষ হামিদ খান ছিলেন গৌড় সুলতান হুসেন শাহের প্রধান অমাত্য। হামিদ খানই দুটি পরগনার জায়গিরদার হয়ে প্রথম চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেন।

পীরভক্ত বাহরাম খানের প্রকৃত নাম আসাউদ্দীন। তিনি অল্প বয়সে পিতৃহীন হলে চট্টগ্রামের অধিপতি নেজাম শাহ সুর তাঁকে পিতৃপদ (উজির) প্রদান করেন। বাহরাম খান দুটি আখ্যানকাব্য রচনা করেন: লায়লী-মজন ও ইমাম-বিজয়। উভয় কাব্যের উৎস আরবি সাহিত্য। ভারতের আমির খসরু ১২৯৮ খ্রিস্টাব্দে, পারস্যের আব্দুর রহমান জামি ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দে এবং আব্দুল্লাহ হাতিভি ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে ফারসি ভাষায় এ কাব্য রচনা করেন। বাহরাম খান তাঁদের কারও একজনের কাব্য অনুসরণ করেছেন।

লায়লী-মজনু মূলত আধ্যাত্মিক কাব্য, কিন্তু বাংলা অনুবাদে তা পরিণত হয়েছে মানবিক প্রেমকাব্যে। বাহরাম খানই প্রথম লায়লী-মজনুর মতো বিশ্বখ্যাত বিরহমূলক প্রেমকাহিনী নিয়ে বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেন। এর ভাষা কবিত্বময়। একই কাহিনী অবলম্বনে মুহম্মদ খাতের ১৮৬৪ সালে দোভাষী পুথি এবং শেখ ফজলুল করিম ১৯০৩ সালে আখ্যানকাব্য রচনা করেন। ইমাম-বিজয়ের বিষয়বস্ত্ত আরবের কারবালার বিষাদময় যুদ্ধকাহিনী। [ওয়াকিল আহমদ]