দত্ত, ব্রজমোহন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দত্ত'''''', ''''''ব্রজমোহন''' (১৮২৬-১৮৮৬)  জনহিতৈষী ব্যক্তি ও সমাজকর্মী। তিনি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট এবং সাব-জজ উভয় পদই অলঙ্কৃত  করেন। তারঁ সমসাময়িককালে বাংলায় একজন ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ও সাব-জজ হওয়া ছিল সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আসন আরোহণ করা। ব্রজমোহন দত্ত সে-ই চূড়ায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত বাটাজোড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৭ সালে পটুয়াখালীকে মহকুমায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেন। চাকরি জীবনে তিনি পটুয়াখালী, যশোর, বিষ্ণুপুর ও রংপুরে কর্মরত ছিলেন। অতঃপর তিনি সাব-জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং অধিকাংশ সময় বেনারসে থাকেন। স্বাধীনচেতা ব্রজমোহন তাঁর পুত্র অশ্বিনী কুমারকে চাকুরিতে না পাঠিয়ে ওকালতি পেশায় আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন।  
'''দত্ত, ব্রজমোহন''' (১৮২৬-১৮৮৬)  জনহিতৈষী ব্যক্তি ও সমাজকর্মী। তিনি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট এবং সাব-জজ উভয় পদই অলঙ্কৃত  করেন। তারঁ সমসাময়িককালে বাংলায় একজন ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ও সাব-জজ হওয়া ছিল সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আসন আরোহণ করা। ব্রজমোহন দত্ত সে-ই চূড়ায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত বাটাজোড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৭ সালে পটুয়াখালীকে মহকুমায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেন। চাকরি জীবনে তিনি পটুয়াখালী, যশোর, বিষ্ণুপুর ও রংপুরে কর্মরত ছিলেন। অতঃপর তিনি সাব-জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং অধিকাংশ সময় বেনারসে থাকেন। স্বাধীনচেতা ব্রজমোহন তাঁর পুত্র অশ্বিনী কুমারকে চাকুরিতে না পাঠিয়ে ওকালতি পেশায় আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন।  


সমাজসেবা ও শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি বাটাজোর মাধ্রমিক ইংরেজি বিদ্যালয় পাকা করতে আর্থিক সহায়তা দান করেন এবং বাংলায় নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ৪০ রূপির (সমসাময়িক অর্থ মূল্যের) একটি বৃত্তি প্রবর্তন করেন। দয়ালু ব্রজমোহন দত্ত ১০,০০০ রূপি দিয়ে একটি স্টিমার ক্রয় করে পটুয়াখালী, শিকারপুর, তালতলা হয়ে জলপথে ঢাকায় যাতায়াতের পথ সুগম করেন। ব্রজমোহন দত্তের যোগ্য উত্তরসূরী অশ্বিনী কুমার বরিশালে বি.এম স্কুল ও বি.এম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।  [দেলওয়ার হোসেন ]
সমাজসেবা ও শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি বাটাজোর মাধ্রমিক ইংরেজি বিদ্যালয় পাকা করতে আর্থিক সহায়তা দান করেন এবং বাংলায় নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ৪০ রূপির (সমসাময়িক অর্থ মূল্যের) একটি বৃত্তি প্রবর্তন করেন। দয়ালু ব্রজমোহন দত্ত ১০,০০০ রূপি দিয়ে একটি স্টিমার ক্রয় করে পটুয়াখালী, শিকারপুর, তালতলা হয়ে জলপথে ঢাকায় যাতায়াতের পথ সুগম করেন। ব্রজমোহন দত্তের যোগ্য উত্তরসূরী অশ্বিনী কুমার বরিশালে বি.এম স্কুল ও বি.এম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।  [দেলওয়ার হোসেন ]
<!-- imported from file: দত্ত, ব্রজমোহন.html-->


[[en:Datta, Brajamohan]]
[[en:Datta, Brajamohan]]

০৪:৩৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দত্ত, ব্রজমোহন (১৮২৬-১৮৮৬)  জনহিতৈষী ব্যক্তি ও সমাজকর্মী। তিনি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট এবং সাব-জজ উভয় পদই অলঙ্কৃত  করেন। তারঁ সমসাময়িককালে বাংলায় একজন ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ও সাব-জজ হওয়া ছিল সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আসন আরোহণ করা। ব্রজমোহন দত্ত সে-ই চূড়ায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত বাটাজোড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৭ সালে পটুয়াখালীকে মহকুমায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেন। চাকরি জীবনে তিনি পটুয়াখালী, যশোর, বিষ্ণুপুর ও রংপুরে কর্মরত ছিলেন। অতঃপর তিনি সাব-জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং অধিকাংশ সময় বেনারসে থাকেন। স্বাধীনচেতা ব্রজমোহন তাঁর পুত্র অশ্বিনী কুমারকে চাকুরিতে না পাঠিয়ে ওকালতি পেশায় আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন।

সমাজসেবা ও শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি বাটাজোর মাধ্রমিক ইংরেজি বিদ্যালয় পাকা করতে আর্থিক সহায়তা দান করেন এবং বাংলায় নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ৪০ রূপির (সমসাময়িক অর্থ মূল্যের) একটি বৃত্তি প্রবর্তন করেন। দয়ালু ব্রজমোহন দত্ত ১০,০০০ রূপি দিয়ে একটি স্টিমার ক্রয় করে পটুয়াখালী, শিকারপুর, তালতলা হয়ে জলপথে ঢাকায় যাতায়াতের পথ সুগম করেন। ব্রজমোহন দত্তের যোগ্য উত্তরসূরী অশ্বিনী কুমার বরিশালে বি.এম স্কুল ও বি.এম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।  [দেলওয়ার হোসেন ]