তদ্ভব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''তদ্ভব  '''বাংলা ভাষায় ব্যবহূত সংস্কৃতজাত শব্দ। ‘তৎ’ মানে তা থেকে অর্থাৎ [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] শব্দ থেকে এবং ‘ভব’ মানে জাত। অতএব ‘তদ্ভব’ শব্দের অর্থ সংস্কৃত থেকে জাত শব্দ। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার আদি রূপ হচ্ছে বৈদিক বা সংস্কৃত। কালে কালে ধ্বনিগত পরিবর্তনের ফলে এ ভাষার অনেক শব্দ প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষায় অনুপ্রবেশ করে। পূর্বভারতীয় বাংলা ভাষায়ও এ ধরনের অনেক শব্দ প্রবেশ লাভ করে। বাংলা ভাষার উদ্ভব মাগধী প্রাকৃত থেকে।  
'''তদ্ভব''' বাংলা ভাষায় ব্যবহূত সংস্কৃতজাত শব্দ। ‘তৎ’ মানে তা থেকে অর্থাৎ [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] শব্দ থেকে এবং ‘ভব’ মানে জাত। অতএব ‘তদ্ভব’ শব্দের অর্থ সংস্কৃত থেকে জাত শব্দ। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার আদি রূপ হচ্ছে বৈদিক বা সংস্কৃত। কালে কালে ধ্বনিগত পরিবর্তনের ফলে এ ভাষার অনেক শব্দ প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষায় অনুপ্রবেশ করে। পূর্বভারতীয় বাংলা ভাষায়ও এ ধরনের অনেক শব্দ প্রবেশ লাভ করে। বাংলা ভাষার উদ্ভব মাগধী প্রাকৃত থেকে।  


সংস্কৃত শব্দগুলি পূর্বভারতে প্রথমে মাগধী প্রাকৃতের রূপ লাভ করে এবং পরে তা বাংলায় রূপান্তরিত হয়। যেমন: চাঁদ<চান্দ  <চন্দ<চন্দ্র, দই<দহি<দধি, বৌ<বউ<বহু<বধূ, মাছি<মাচ্ছি <মচ্ছি<মচ্ছিঅ<মচ্ছিআ<মক্ষিকা ইত্যাদি। এ তদ্ভব শব্দগুলি বাংলা ভাষার মূল উপাদান। বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে যে শব্দগুলি ব্যবহূত হয় তার অধিকাংশই তদ্ভব শব্দ। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও খ্যাতনামা লেখকদের রচনার শতকরা ৬০ ভাগ শব্দই তদ্ভব।  [দুলাল ভৌমিক]
সংস্কৃত শব্দগুলি পূর্বভারতে প্রথমে মাগধী প্রাকৃতের রূপ লাভ করে এবং পরে তা বাংলায় রূপান্তরিত হয়। যেমন: চাঁদ<চান্দ চন্দ<চন্দ্র, দই<দহি<দধি, বৌ<বউ<বহু<বধূ, মাছি<মাচ্ছি মচ্ছি<মচ্ছিঅ<মচ্ছিআ<মক্ষিকা ইত্যাদি। এ তদ্ভব শব্দগুলি বাংলা ভাষার মূল উপাদান। বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে যে শব্দগুলি ব্যবহূত হয় তার অধিকাংশই তদ্ভব শব্দ। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও খ্যাতনামা লেখকদের রচনার শতকরা ৬০ ভাগ শব্দই তদ্ভব।  [দুলাল ভৌমিক]  
 
Back to: [[Untitled Document2]]


[[en:Tadbhaba]]
[[en:Tadbhaba]]

০৫:১৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

তদ্ভব বাংলা ভাষায় ব্যবহূত সংস্কৃতজাত শব্দ। ‘তৎ’ মানে তা থেকে অর্থাৎ সংস্কৃত শব্দ থেকে এবং ‘ভব’ মানে জাত। অতএব ‘তদ্ভব’ শব্দের অর্থ সংস্কৃত থেকে জাত শব্দ। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার আদি রূপ হচ্ছে বৈদিক বা সংস্কৃত। কালে কালে ধ্বনিগত পরিবর্তনের ফলে এ ভাষার অনেক শব্দ প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষায় অনুপ্রবেশ করে। পূর্বভারতীয় বাংলা ভাষায়ও এ ধরনের অনেক শব্দ প্রবেশ লাভ করে। বাংলা ভাষার উদ্ভব মাগধী প্রাকৃত থেকে।

সংস্কৃত শব্দগুলি পূর্বভারতে প্রথমে মাগধী প্রাকৃতের রূপ লাভ করে এবং পরে তা বাংলায় রূপান্তরিত হয়। যেমন: চাঁদ<চান্দ চন্দ<চন্দ্র, দই<দহি<দধি, বৌ<বউ<বহু<বধূ, মাছি<মাচ্ছি মচ্ছি<মচ্ছিঅ<মচ্ছিআ<মক্ষিকা ইত্যাদি। এ তদ্ভব শব্দগুলি বাংলা ভাষার মূল উপাদান। বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে যে শব্দগুলি ব্যবহূত হয় তার অধিকাংশই তদ্ভব শব্দ। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও খ্যাতনামা লেখকদের রচনার শতকরা ৬০ ভাগ শব্দই তদ্ভব।  [দুলাল ভৌমিক]