ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৪:৫১, ১৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্রিওয়ে অথবা মোটরওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইডার বিশিষ্ট কিংবা আসা ও যাওয়ার জন্য পৃথকভাবে নির্দিষ্ট করা সুপার হাইওয়ে যাতে প্রত্যেক দিকে চলাচলের জন্য একটি ব্রেকডাউন লেন অথবা হার্ড সোলডারসহ কমপক্ষে ২টি লেন এবং হাইওয়েতে ওঠা বা তা থেকে নামার জন্য সীমিত সংযোগপথ থাকবে, কিন্ত সমলেভেলে কোনো ক্রসিং থাকবে না। এক্সপ্রেসওয়ে উন্নত জ্যামিতিক ডিজাইনের মাধ্যমে দ্রæত গাড়ি চলাচলের জন্য সব ঝুঁকি ও অসুবিধা দূর করে নির্মিত। এক্সপ্রেসওয়ে সাধারণত দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে দ্রæত ও কম সময়ে, অপেক্ষাকৃত কম খরচে, চালক ও যাত্রীর জন্য আরামদায়ক ও অধিকতর নিরাপদ যাতায়তের জন্য নির্মাণ করা হয়। শহর ও নগরে ভ‚মি লেভেলে প্রতিবন্ধকতা অথবা রাস্তা প্রশস্ত করার যথেষ্ট খালি জায়গা না থাকায় উঁচু লেভেলে নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বলা হয়।

ঢাকা এডিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কন্ট্রোল বিল্ডিং

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক এন-১-কে কুতুবখালী পয়েন্টে সংযুক্ত করবে। এটা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীর মধ্য দিয়ে যাবে এবং এক্সপ্রেসওয়েতে উঠানামার জন্য সংযোগ সড়কসহ নির্মাণ করা হবে। ভ‚মির লেভেলের রাস্তার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের ৩১টি পয়েন্টে প্রবেশ ও নির্গমনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং প্রত্যেক দিকে চলাচলের জন্য ডিভাইডার দিয়ে বিভক্ত ২ লেন ও একটি ব্রেকডাউন লেন থাকবে। এটি একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্প যার প্রাক্কলিত ব্যয় ৮৯.৪০০ বিলিয়ন টাকা। এই প্রকল্পের ৭৩ ভাগ ব্যয় বহন করবে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি এবং ২৭ ভাগ ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণমুখী যানবাহনের জট অনেকটা কমিয়ে আনবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এক্সপ্রেসওয়ের আশেপাশের এলাকাসহ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যে যাতায়তের সর্বোচ্চ সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট। এ ছাড়াও ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামে আরো একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প প্রস্তুতাধীন অবস্থায় আছে। [এম ফিরোজ আহমেদ]