জিনোম

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৬:৩৩, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

জিনোম (Genome) জিনোম হলো একটি জীবের জিনগত তথ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ সেট। একটি জিনোমে একটি জীবন সৃষ্টির এবং তা বজায় রাখার জন্য বংশগত নির্দেশাবলীর পাশাপাশি প্রজননের জন্য প্রযোজনীয় নির্দেশাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকে। মানুষের মধ্যে শরীরের প্রায় প্রতিটি কোষে জিনোমের একটি সম্পূর্ণ অনুলিপি থাকে। জিনোমের মধ্যে রয়েছে জিন (কোডিং অঞ্চল) এবং ননকোডিং ডিএনএ, সেসাথে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ এবং ক্লোরোপ্লাস্ট ডিএনএ। মানব জিনোম অন্যান্য সমস্ত কোষীয় জীবের মতো ডিএনএ নিয়ে গঠিত এবং এতে নিউক্লিয়ার এবং মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (RNA) ভাইরাসের জিনোম RNA দ্বারা গঠিত। ১৯৯০সালে, মানব জিনোমের ক্রম-বিণ্যাস নির্ধারণ এবং এতে অন্তর্ভূক্ত জিনগুলি সনাক্ত করার জন্য হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট (HGP) নামে পরিচিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। HGP-এর শুরুতে, মানব জিনোম ৫০,০০০ থেকে ১৪০,০০০টি জিন দ্বারা তৈরি বলে অনুমান করা হয়েছিল। এটি এখন জানা গেছে যে মানুষের জিনোম প্রায় ৩ বিলিয়ন জোড়া বেজ নিয়ে গঠিত এবং এতে ২০,৫০০টি জিন রয়েছে। ২০০৩ সালে মানব জিনোমের সম্পূর্ণ ক্রমবিন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল (বর্তমান প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে ১% বাদ দিয়ে)। HGP ১,৮০০টিরও বেশি রোগের জিন সনাক্তকরণে অবদান রেখেছে। প্রজাতি ভেদে জিনোমের আকার ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত হয়। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ছোট জিনোম থাকে যা অল্প সংখ্যক ট্রান্সপোজেবল উপাদানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অন্যদিকে, মাছ এবং উভচর প্রাণীদের মধ্যবর্তী আকারের জিনোম রয়েছে। আনুভূমিক জিন স্থানান্তর পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যায় কিভাবে দুটি জীবের জিনোমের ছোট অংশের মধ্যে চরম মিল বা খুব দূরের সম্পর্ক থাকে। [তাহিরা ইয়াসমিন]