চৌধুরী, হুমায়ুন রশিদ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৫১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

চৌধুরী, হুমায়ুন রশিদ (১৯২৮-২০০১)  কুটনীতিক, জাতীয় সংসদের স্পীকার। তিনি ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ইংল্যান্ডে আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন এবং লন্ডনের ইনার টেম্পলের সদস্য হন। লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্লড অ্যাফেয়ার্স থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে হুমায়ুন রশিদ পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি ম্যাস্যাচুসেটসের ফ্লেচার স্কুল অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৭১ সালে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করেন। এর আগে তিনি রোম, বাগদাদ, প্যারিস, লিসবন ও জাকার্তায় কুটনীতিকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জার্মানিতে (১৯৭২-১৯৭৬), সৌদি আরবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৮৫-৮৬) ছিলেন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১-তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে তিনি পর পর জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পুনরায় তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন।

হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী

বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটি অব উইলিয়ম অ্যান্ড মেরী ১৯৮৪ সালে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীকে ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ প্রদান করে। তিনি লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।  [এনামুল হক]