চৌধুরী, মাহমুদুন্নবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
মাহমুদুন্নবী চৌধুরী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৩ সালে এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে ডবলমুরিং-সীতাকুন্ড আসন হতে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের গণযোগাযোগ মন্ত্রী এবং পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ও টেস্ট রিলিফের প্রচলন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে তিনি আইয়ুব বিরোধী অবস্থান নেন। ১৯৬২ সালে মাহমুদুন্নবী চৌধুরী চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠিত হলে তিনি প্রাদেশিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি হন। ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে মিস ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন দেন।
মাহমুদুন্নবী চৌধুরী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৩ সালে এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে ডবলমুরিং-সীতাকুন্ড আসন হতে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের গণযোগাযোগ মন্ত্রী এবং পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ও টেস্ট রিলিফের প্রচলন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে তিনি আইয়ুব বিরোধী অবস্থান নেন। ১৯৬২ সালে মাহমুদুন্নবী চৌধুরী চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠিত হলে তিনি প্রাদেশিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি হন। ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে মিস ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন দেন।


তিনি পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পি ডি এম)-এর চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটির (ডাক) মাধ্যমে তিনি আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পিডিপি’র প্রার্থী হিসেবে এম এন এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মাহমুদুন্নবী চৌধুরী অখন্ড পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চট্টগ্রাম জেলা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন।
তিনি পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)-এর চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটির (ডাক) মাধ্যমে তিনি আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পিডিপি’র প্রার্থী হিসেবে এম এন এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মাহমুদুন্নবী চৌধুরী অখন্ড পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চট্টগ্রাম জেলা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন।


১৯৯৫ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল]
১৯৯৫ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল]


[[en:Chowdhury, Mahmudun Nabi]]
[[en:Chowdhury, Mahmudun Nabi]]

১০:২৩, ২৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মাহমুদুন্নবী চৌধুরী

চৌধুরী, মাহমুদুন্নবী (১৯০৮-১৯৯৫)  রাজনীতিক, সমাজসেবক। জন্ম ১৯০৮ সালের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার উত্তর কাট্টলীর নাজির বাড়িতে। পিতার নাম খাদেম আলী চৌধুরী এবং মাতা আলফুন নেছা। তিনি সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে ১৯৩০ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৩২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আই এসসি এবং ১৯৩৪ সালে একই কলেজ থেকে বি এসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

মাহমুদুন্নবী চৌধুরী ১৯৩৪ সালে কলকাতা মেট্রোলজিক্যাল বিভাগে চাকরি গ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি কলকাতার মওলানা কোম্পানিতে খন্ডকালীন একাউন্টেন্ট ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালে কলকাতার লোয়ার চিতপুর রোডে চৌধুরী অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে দোকান খুলে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ সালে দেওয়ানহাটে নবি অ্যান্ড সন্স নামে পেট্রোল পাম্প ও মটর পার্টসের ব্যবসা শুরু করেন।

মাহমুদুন্নবী চৌধুরী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৩ সালে এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে ডবলমুরিং-সীতাকুন্ড আসন হতে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের গণযোগাযোগ মন্ত্রী এবং পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ও টেস্ট রিলিফের প্রচলন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে তিনি আইয়ুব বিরোধী অবস্থান নেন। ১৯৬২ সালে মাহমুদুন্নবী চৌধুরী চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠিত হলে তিনি প্রাদেশিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি হন। ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে মিস ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন দেন।

তিনি পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)-এর চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটির (ডাক) মাধ্যমে তিনি আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পিডিপি’র প্রার্থী হিসেবে এম এন এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। মাহমুদুন্নবী চৌধুরী অখন্ড পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চট্টগ্রাম জেলা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন।

১৯৯৫ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল]